রাতারাতি বাণিজ্য শুল্ক বাড়ানো নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের(United States) সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্ক এমনিতেই বেশ খানিকটা শিথিল হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এবার খোদ মার্কিন(United States) মুলুকে পুলিশের গুলি মারা গেলেন ভারতীয় যুবক। তেলাঙ্গানার মহবুবনগর জেলার ৩০ বছর বয়সী মহম্মদ নিজামুদ্দিন পেশায় ছিলেন প্রযুক্তিবিদ। ২০১৬ সালে ফ্লোরিডা কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে (United States) গিয়েছিলেন তিনি। তারপর সেখান থেকে এমএস ডিগ্রি অর্জনের পর, তিনি সেখানকারই একটি কোম্পানিতে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ শুরু করেন। পরে পদোন্নতির ফলে তিনি ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান।
মহম্মদ নিজামুদ্দিনের বাবা মহম্মদ হাসনুদ্দিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর তাঁর ছেলের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে। সম্ভবত সেদিন রুমমেটের সাথে এসি নিয়ে ঝগড়া হয় নিজামুদ্দিনের। সেই ঝামেলা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ছুরি নিয়ে একে অন্যের দিকে তেড়ে যায়। সেসময় নাকি পুলিশ এসে ঘরে থাকা ব্যক্তিদের হাত দেখাতে বলে। তাতে একজন রাজি হলেও, অন্যজন রাজি হয়নি। এরপরই নাকি পুলিশ চার রাউন্ড গুলি চালায় এবং তখনই গুলিবিদ্ধ হন নিজামুদ্দিন। তবে ঘটনার বিস্তারিত তথ্য নিজামুদ্দিনের বাবারও অজানা। তাঁর ছেলের মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে আনার জন্য সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদনও জানিয়েছেন মহম্মদ হাসনুদ্দিন।
বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে লেখা একটি চিঠিতে মহম্মদ হাসনুদ্দিন বলেছেন, “আজ সকালে, আমি জানতে পারি যে আমার ছেলেকে সান্তা ক্লারা পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে এবং তাঁর মৃতদেহ ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা ক্লারার কোনও এক হাসপাতালে রয়েছে। পুলিশ তাঁকে কেন গুলি করে হত্যা করেছে তার আসল কারণ আমি জানি না। তাই আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ আপনারা যদি ওয়াশিংটন ডিসির ভারতীয় দূতাবাস এবং সান ফ্রান্সিসকোতে ভারতের কনস্যুলেট জেনারেলের সঙ্গে যোগাযোগ করে আমার ছেলের মৃতদেহ মাহাবুবনগরে ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করেন।”
গত বৃহস্পতিবার মজলিদ বাঁচাও তাহরিক (MBT) মুখপাত্র আমজেদ উল্লাহ খান এক্স হ্যান্ডেলে মৃত নিজামুদ্দিনের বাবা হাসনুদ্দিনের তরফে জয়শঙ্করকে লেখা চিঠিটি শেয়ার করেন, যেখানে তিনি বিদেশমন্ত্রীকে এই বিষয়ে ওই পরিবারকে সাহায্য করার অনুরোধও জানান। সব মিলিয়ে মৃতের বাবার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এটা অনেকটাই স্পষ্ট যে, মৃত নিজামুদ্দিনের বিষয়ে তাঁর পরিবারও অনেকটাই ধোঁয়াশায়। এখন দেখার, এ বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।







