সারা বিশ্বে যেখানেই সংঘর্ষ বাঁধছে, সেখানেই মাথা গলিয়ে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছড়িয়ে দিচ্ছেন শান্তির বার্তা। প্রাচীন কালে রাজাদের মধ্যে যুদ্ধের পর যেমন শান্তির বার্তা হিসাবে সাদা পায়রা ওড়ানো হত, অনেকটা যেন সেরকমই। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই যেখানে যুদ্ধ বেঁধেছে, সেখানেই শান্তির দূত হিসাবে সংঘর্ষ বিরতির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর তাঁর কথা অমান্য করলে বাজিণ্য বন্ধের সেই মোক্ষম দাওয়াই শোনানো হয়েছে।
এর আগে ‘অপারেশন সিঁদুরে’ ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির সময়ই তিনি একাধিকবার দাবি করেছিলেন যে, তাঁর মধ্যস্থতাতেই নাকি থেমেছিল দুই দেশের যুদ্ধ। যদিও ভারতের তরফ থেকে সেই দাবি খারিজ করে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তৃতীয় কোনও পক্ষের হস্তক্ষেপে নয়, বরং ১০ মে পাকিস্তানে ভারত চূড়ান্ত আঘাত হানার পর ডিজিএমও পর্যায়ে লড়াই থামানোর আর্জি জানিয়েছিল পাকিস্তান। সে কারণেই ভারত যুদ্ধ বিরতিতে গেছে। আমেরিকার দাবি ছিল, ট্রাম্প নাকি বাণিজ্যকে হাতিয়ার করে ভারত ও পাকিস্তানের সংঘাত থামিয়েছেন। তবে আশ্চর্যের বিষয় এই যে ভারতের সঙ্গে সেই বাণিজ্য চুক্তি এখনও করে উঠতে পারেনি আমেরিকা। সে কথাও সে সময় স্পষ্ট করে জানিয়েছিল ভারত। এর আগে ইরান ও ইজরালের মধ্যে সংঘর্ষেও জড়িয়েছিল আমেরিকা। ইরানে বোমা ফেলে সংঘর্ষ বিরতির কৃতিত্ব নিজেই নিয়েছিল ট্রাম্প।
এবার থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়াকে লড়াই থামাতে বললেন ট্রাম্প। এক্ষেত্রেও তাঁর দাওয়াই সেই একই, যুদ্ধ না থামালে বাণিজ্য করবেন না তিনি। পাশাপাশি এই আবহে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির প্রসঙ্গও টেনে এনেছেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের ফোন করে বলেছেন, সংঘাত না থামালে তিনি কোনও দেশের সঙ্গেই বাণিজ্য করবেন না। তবে কি পাকিস্তান যে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তি নোবেল দেওয়ার দাবি তুলেছিল তা অমূলক নয়। তবে কী ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও চাইছেন শান্তি নোবেল পেতে? কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর থাইল্যান্ড এবং কম্বোডিয়ার মধ্যে যুদ্ধ থামা তো দূরের কথা, দু দেশের মধ্যে পারস্পরিক উত্তাপ আরও বেড়েছে বলেই খবর। কম্বোডিয়ার সেনারা থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশের ‘তা কোয়াই’ মন্দিরের কাছে থাই বাহিনীর উপর গুলি চালিয়েছে। পাল্টা প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে থাইল্যান্ডও। তবে কি ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি নোবেল এ যাত্রায় ফস্কে গেল? উঠছে প্রশ্ন।







