সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ধান জমা দিচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু বাস্তবে প্রতি কুইন্টালে প্রায় ৪ কেজি করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠল বীরভূমের (Birbhum) শ্রীনিকেতন কিষান মান্ডি(Sriniketan Kisan Mandi)। দীর্ঘদিন ধরেই এই কাটাকাটি, মাপজোকে গরমিল ও প্রশাসনিক আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন চাষিরা। আজ সেই ক্ষোভই বিস্ফোরিত হল মান্ডির মধ্যে।
কৃষকদের অভিযোগ, একজন কৃষকের ধান জমা দেওয়ার মোট অধিকার ৪৫ কুইন্টাল। অথচ পুরো ধান একবারে নেওয়ার পরিবর্তে তিন দফায় ১৫ কুইন্টাল করে জমা দিতে হচ্ছে। এর ফলে একেকজন কৃষককে দু’-তিনবার করে লেবার দিতে হচ্ছে। তার ফলে বাড়তি খরচ যেমন পড়ছে, তেমনই সময় নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে ধান পরিবহনের ঝক্কি। এতে চাষিদের আর্থিক ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রশাসনিক নীতিকেও প্রশ্নের মুখে ফেলছে।
এই ইস্যুতে কৃষকরা যখন সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে যান, তখনই শুরু হয় উত্তপ্ত তর্কাতর্কি। তাদের অভিযোগ, ধান কাটাকাটি ও মাপজোকের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি এতটাই গরম হয় যে পুলিশের সামনেই এক সরকারি ফুড অফিসারের কলার ধরে ফেলেন ক্ষুব্ধ কৃষকরা। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয়।
এই ঘটনার জেরে মান্ডি চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কৃষকদের দাবি—একদিকে কম দামে ধান বিক্রি, তার ওপর মাপজোকের গরমিল ও প্রশাসনিক জটিলতা—সব মিলিয়ে তাঁদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও কাটাকাটি বন্ধ করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে আজকের বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।







