বালি পাচার কাণ্ড নিয়ে আবারও সক্রিয় হয়ে উঠল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ED)। সোমবার সাতসকালেই রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযান চলল। একই সঙ্গে বেহালা ও ঝাড়গ্রামে অভিযান চালালো ইডি আধিকারিকরা। এর আগে এই মামলা নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট অফিসারদের এত তদ্বির চোখে পড়েনি রাজ্যবাসীর।
সোমবার সকালে বেহালার জেমস লং সরণীর একটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি আধিকারিকরা। সেই বাড়িতে ডিজি মাইনিং নামক একটি সংস্থার অফিস রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তারাও নাকি বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সেখানেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সংস্থার আরও একটি অফিস রয়েছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভে। তবে সেখানে এখনও পর্যন্ত ইডি আধিকারিকরা যাননি।
অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে শেখ জহিরুল আলি নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি আধিকারিকরা। ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরে সুবর্ণরেখা নদীর তীরে তাঁর বাড়ি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নাকি দীর্ঘদিন ধরে সুবর্ণরেখা নদী থেকে বালি তুলে পাচার করতেন। জহিরুল নামের এই ব্যক্তি আগে ভিলেজ পুলিশে চাকরি করতেন। তারপর পাকাপাকি ভাবে চাকরি ছেড়ে বালি ব্যবসায় নামেন। এদিন একেবারে সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়েই তল্লাশি অভিযানে নামে ইডি। শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরে রেখেছে গোটা গ্রাম। সব মিলিয়ে ইডির মোট ৪-৫টি টিম একই সঙ্গে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে।







