আবারও রাজস্থানের সিআইডি গোয়েন্দা সংস্থা গ্রেফতার পাকিস্তানী গুপ্তচর। মঙ্গলবার জয়সলমীরের চন্দন ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে অবস্থিত ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (DRDO) গেস্ট হাউস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই গেস্ট হাউসেরই চুক্তিভিত্তিক ম্যানেজার ছিল মহেন্দ্র প্রসাদ নামে বছর ৩২-এর ওই যুবক। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। মহেন্দ্র প্রসাদ সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে ভারত সম্পর্কে গোপনীয় তথ্য পাচার করত বলেই অভিযোগ। তার বাড়ি উত্তরাখণ্ডের আলমোড়ার পালিয়ুঁতে।
উল্লেখ্য, গত জুনেও পাক গুপ্তচর সন্দেহে বিশাল যাদব নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজস্থান সিআইডি। দিল্লিতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলেন তাকে। তার বিরুদ্ধেও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে কাজ করার অভিযোগ ছিল। এমনকী অপারেশন সিঁদুরের সময়েও সে পাকিস্তানে তথ্য পাচার করেছিল।
রাজস্থানের সিআইডি-র সূত্রে জানানো হয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই ওই ম্যানেজারের গতিবিধির উপর নজর রাখছিল তারা। সিআইডি-র কাছে খবর ছিল, ভারতে আবারও নাশকতার ছক কষছে জঙ্গিরা। সে বিষয়ে নজরদারির সময়ই মহেন্দ্রর গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকে পুলিশের কাছে। তখনই ট্র্যাক করা শুরু হয় তার সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। সেখান থেকে সিআইডি জানতে পারে পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে ওই ব্যক্তি।
রাজস্থান পুলিশের সিআইডি-র আইজি বিষ্ণুকান্ত জানান, “স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের আগে সর্বত্র কড়া নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। রাজস্থান সিআইডি ইন্টেলিজেন্স দেশবিরোধী এবং নাশকতামূলক কার্যকলাপ নিয়ে সতর্ক গোয়েন্দারাও। তা রুখতে চারিদিকে চলছে কড়া নজরদারি। সেই সময়েই, ডিআরডিও গেস্ট হাউসের ওই চুক্তিভিত্তিক কর্মী মহেন্দ্র প্রসাদের সম্পর্কে সন্দেহজনক তথ্য মেলে। তদন্তের পরই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে।” মহেন্দ্রর বিরুদ্ধে DRDO-র বিজ্ঞানী ও সেনাবাহিনীর কর্তারা কখন কোথায় যাচ্ছেন, কার সঙ্গে কী কথা বলছেন সেই সব তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দাদের জানিয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রাথমিক জেরায় মহেন্দ্রর থেকে আরও অনেক তথ্যই জানতে পেরেছেন রাজস্থান সিআইডি-র অফিসাররা।







