২১-এর মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী ঠিক কী বার্তা দেন? তা নিয়ে আগ্রহ দিল্লির অন্দরেও। এমনকী জাতীয় রাজনীতিতেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ আজকের এই সভা। এককথায় বিজেপি-বাম-কংগ্রেস-সহ সমস্ত রাজনৈতিক দলই তাকিয়ে রয়েছেন আজ একুশের দিকে। হাতে আর মাত্র কয়েকমাস। সব ঠিক থাকলে ২০২৬-এর মে-জুন মাস নাগাদ রাজ্যে নির্বাচন। অর্থাৎ আগামী বছর বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে এটাই শেষ ২১শে জুলাই। আর তাই এবারের সভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নিতে পারে তা নিয়ে আগ্রহ রয়েছে দিল্লির রাজনৈতিক অলিন্দেও। রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছরের বিধানসভা ভোটের একটা প্রাথমিক রূপরেখা ধর্মতলার মঞ্চ থেকেই তৃণমূল নেত্রী ঠিক করে দেবেন। ইতিমধ্যেই নিজেদের ‘আঞ্চলিক’ তকমা থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় সর্বভারতীয় দলের মর্যাদা পেতে মরিয়া রাজ্যের শাসক দল। মেঘালয়ে কংগ্রেস ভেঙে মুকুল সাংমার হাত ধরে কিছুটা মুখ রক্ষা হলেও, ত্রিপুরা, অসম, কেরল, গোয়াতে রীতিমত হতাশাজনক ফলাফল হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দলের। তাই
আগামী দিনে জাতীয় রাজনীতির মঞ্চে তৃণমূলের ভূমিকা কী হতে চলেছে, সেই প্রশ্নের উত্তরও আজই মিলবে বলেই মনে করছে শাসক-বিরোধী দুই রাজনৈতিক শিবির। তবে প্রতি বছরের মতো এই মঞ্চ থেকে বিজেপিকে এক ইঞ্চি জায়গাও যে তৃণমূল নেত্রী ছাড়বেন না, তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত বিজেপি শিবির। তাই বিধানসভার আগে আগে মমতার আক্রমণ ঠিক কীভাবে সামলাবে? তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবিরও। বিজেপির সোশাল মিডিয়া সেল ইতিমধ্যেই এ নিয়ে তৎপর। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের ক্লিপিংস কেটে নিয়ে পালটা অভিযোগ, তীব্র আক্রমণ করার নির্দেশও দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির রাজ্যস্তরের তো বটেই, অনেক জাতীয় স্তরের নেতাদেরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্রমণের পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য তৈরি থাকতে বলেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব ।
তবে শুধু বিজেপি নয়, অন্যদিকে, জাতীয় রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, বলা ভালো ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূল কংগ্রেসের উপস্থিতি কতটা সক্রিয় থাকবে, সেই উত্তরও মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ থেকে স্পষ্ট হবে বলেই মনে করছে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে মমতার ভাষণের সমালোচনা করা হলেও জাতীয় স্তরের নেতারা তা থেকে বিরত থাকবেন বলেই সূত্রের খবর। সদ্য ‘ইন্ডিয়া’ জোটের ভার্চুয়াল বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি ও সক্রিয় ভূমিকা পালনের পরে সংসদে কংগ্রস ও তৃণমূলের মধ্যে সমন্বয় থাকবে বলেই তাঁরা আশা করছেন। যা বিজেপিকে কোণঠাসা করার জন্য প্রয়োজনীয় বলেই মত কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের।







