আশঙ্কাটাই সত্যি হল। শেখ হাসিনাকে(Sheikh Hasina) মৃত্যুদন্ড দিল ডাকার আন্তর্জাতিক ক্রাইম টার্বুনাল। তাঁর বিরুদ্ধে মনুষ্যত্বের বিরোধী কাজ এবং গণ হত্যার অভিযোগ এনেই শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদন্ড দেওয়ার শাস্তি ঘোষণা করা হল। এই শাস্তি ঘোষণার পর থেকেই হৈচৈ পড়ে গিয়েছে। দীর্ঘ তিন মাস ধরে মামলা চলার পর শেষপর্যন্ত বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শাস্তি ঘোষণার সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের জেরে শেষপর্যন্ত দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিলেন শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina)। এই মুহূর্তে মোহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে। সেখানেই শেখ হাসিনা(Sheikh Hasina) সহ সেই সময়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সহ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধেও তদন্ত শুরু হয়েছিল। মুজিব কন্যার সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধেও মৃত্যু দন্ডের শাস্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা দেশে ফেরে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে।
হাসিনার(Sheikh Hasina) বিরুদ্ধ গণ হত্যা এবং মানবতা বিরোধী কাজের অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলদেশে যে ছাত্র আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তাদেরকে রাজাকার হিসাবে সেই সময় চিহ্নিত করেছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আর তাতেই আরও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন বাংলাদশের ছাত্র সমাজ। এরপরই শুরু হয়েছি জোদার আন্দোলন।
এমন পরিস্থিতিতে হাসিনার বিরুদ্ধে তাদের সঙ্গে কথাবার্তার বদলে দমন পীড়নের পথ বেছে নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেইসঙ্গে ছাত্রদের ওপর গুলি চালানোর নির্দেশের অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে নাকি ছাত্রদের মারতে দ্রোন এবং অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে।
তিনি দেশ ছাড়লেও তাঁর বিরুদ্ধে ঢাকার আন্তর্জাতিক ক্রাইম ট্রাইবুনালে নাকি শুরু হয়েছিল মামলা। দীর্ঘ তিন মাসের শুনানির পর এবার তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু দন্ডের শাস্তিই দেওয়ার নির্দেষ আদালতের।







