প্যারালাল নিউজ ডেস্ক: দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে বিজেপির ডাকা বন্ধে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি এমনকী কার্যত দাদাগিরি করতে দেখা গেল বনধ সমর্থকদের। ‘ খেজুরি’তে ‘ গায়ের জোরে জনজীবন ব্যাহত করার চেষ্টা করে তারা। বিজেপি কর্মীদের বাধা দিতে আসে পুলিশ। পুলিশের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়ে বিজেপি সমর্থকরা। হয় ধস্তাধস্তিও । খেজুরি বিদ্যাপীঠের কাছে ফলের পেটি রেখে হেঁড়িয়া-খেজুরি রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু হয়। সমস্যায় পড়েন সাধারণ মানুষ। অবরোধ তুলতে গেলে কর্মী-সমর্থকদের সরাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসা বাঁধে। অভিযোগ বাঁশগোড়াতে গাড়ি ভাঙচুর করা হয় । এখনও পর্যন্ত পুলিশ ৯ জন ব সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে মহরমের অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে সুজিত দাস (২৩) এবং চন্দ্র পাইক ( ৬৫) এর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় খেজুরি থানার পুলিশ। প্রাথমিক অনুমান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয়দেরও একই দাবি। তাঁরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলের কাছে একটি হ্যালোজেন লাইট খুলে পড়ে দুই ব্যক্তির উপর। তার জেরে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল এটি পরিকল্পনা করে খুনের ঘটনা। বিজেপির দাবি, মৃতদেহ গুলিতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি জালাউদ্দিন খান বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী বরাবর লাশের রাজনীতি করতে ভালোবাসেন। শকুনের মতো চেয়ে থাকেন কখন লাশ পড়বে আর তিনি সাম্প্রদায়িক রাজনীতি শুরু করবেন। এবারেও তার অন্যথা হয়নি। রাতে অনুষ্ঠান দেখতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু ঘটেছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই। নিছক একটা দুর্ঘটনাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে রাজনীতি করতে শুরু করেন বিরোধী দলনেতা। কিন্তু অনুষ্ঠান মঞ্চের যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে সত্য ঘটনা প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এরপরেও বিজেপির লজ্জা করে না?” কাঁথির এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “অভিযোগের তদন্ত চলছে। অনুষ্ঠানের কোনও অনুমোদন ছিল না। কার গাফিলতিতে মৃত্যু ঘটেছে দেখা হচ্ছে। “







