প্রাথমিকের(Primry Teachers) ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়। মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। আর এতেই যেন খানিকটা স্বস্তি রাজ্য সরকারের। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই রায় যে তৃণমূল শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই রায়কে স্বাগত জানানোর সঙ্গেই বিশেষ বার্তাও দিয়ে রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তাঁর সাফ বার্তা এবার লক্ষ্য এসএসসি(SSC)।
ব্রাত্য বসু বলেন, “আমাদের এখন কাজ এসএসসি-র যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা যাতে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতার সঙ্গে চাকরি ফিরে পান, তা সুনিশ্চিত করা। গত ৫ বছর ধরে আমাদের দপ্তর সঙ্গে কোর্ট, কাছারি, বিরোধীদের আক্রমণ নিয়ে কাজ করেছে। প্রাথমিকের পর এসএসসির যোগ্য চাকরিহারাদের হাতে যদি নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারি তাহলে আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। তাহলে খুব নিশ্চিন্ত মনে আমাদের রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।”
২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Avijit Ganguly) প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের(Primary Teachers) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। গত ১২ নভেম্বর মামলাচির শুনানি শেষ হয়। তবে রায়দান স্থগিত ছিল।
বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী(Tapobrato Chakraborty) ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দান করেছেন। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়। স্বপদে বহাল রইলেন প্রত্যেকে।
বুধবার বিচারপতির এই রায়ে যে ৩২ হাজার শিক্ষক এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও মামলাকারীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলা শুরু করেছে।






