বুধবার কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী(Central Sports Minstry) বসছেন অচলায়তনে পৌঁছে যাওয়া ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে! তার সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা আইএসএল ক্লাবগুলোর, আই লিগ ক্লাবগুলোর, কয়েকটি টেলিভিশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচারকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে, আইএসএল(ISL) ও আই লিগের(I League) স্বত্ব কিনতে আগ্রহী কয়েকটি বাণিজ্যিক সংস্থার সঙ্গে এবং এফএসডিএলের(FSDL) সঙ্গে।
মনে করা হছে এফএসডিএলের(FSDL) সঙ্গে বৈঠকটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এআইএফএফের(AIFF) বর্তমান প্রশাসনের সঙ্গে এফএসডিএল(FSDL) মাস্টার্স রাইট এগ্রিমেন্টের(MRA) পুর্নবীকরণ নিয়ে আর আলোচনায় বসতে চায় না। সেই অনীহার কথা তারা জানিয়েও দিয়েছে।
এই অবস্থায় ফেডারেশনের(AIFF) ভরসা কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী। তার উদ্যোগে শেষপর্যন্ত এফএসডিএল(FSDL) যদি রাজি হয় এই মরশুমের আইএসএল আয়োজন করতে। এমনকী, নিজেদের দেওয়া অধিকাংশ শর্ত মেনেও যদি তারা রাজি হয় তাহলে জানুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে আইএসএল(ISL) হতে পারে।
কিন্তু ক্রীড়ামন্ত্রীও যদি তাদের রাজি না করাতে পারেন? এবং অন্য বিডারও যদি না এগিয়ে আসে শেষপর্যন্ত দেশের সর্বোচ্চ লিগে বিনিয়োগ করতে?
ফেডারেশন(AIFF) সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার নিজে উদ্যোগ নিতে পারে আইএসএল আয়োজনে। কিন্তু পেছন থেকে। কারণ, তাদের উদ্যোগের কথা সরকারিভাবে জানা গেলে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে ফিফা(FIFA) আবার তৃতীয় পার্টির হস্তক্ষেপে বির্বাসিত করতে পারে। দ্বিতীয়ত, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের উদ্যোগে দুরদর্শন রাজি হতে পারে আইএসএল এবং আই লিগ সম্প্রচার করতে।
এরকমও শোনা গিয়েছে, যে রাজ্যগুলোতে আইএসএলে খেলা দল আছে সেই সরকারগুলোকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক অনুরোধ করতে পারে আইএসএল আয়োজনে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা করতে। আই লিগ আয়োজনেও জটিলতা একইরকম। গত মরশুমে আই লিগের অবনমন এখনো সরকারিভাবে ঘোষণা করেনি ফেডারেশন। এরই মধ্যে পুরোনো আপিল কমিটির বদল হচ্ছে। ১৩ ডিসেম্বর নতুন আপিল কমিটি এই বিষয়ে প্রথম মিটিং ডেকেছে। সবমিলিয়ে ভারতীয় ফুটবলের অচলাতয়ন কাটবে কি না তার আভাষ পাওয়া যেতে পারে বুধবারের বৈঠকে।







