রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর খুব বেশি বাকি নেই। এই আবহে নেতা-মন্ত্রীদের পারফরম্যান্স কার্ড প্রকাশ করে একপ্রকার যেন নির্বাচনী দামামা বাজিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই আসরে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতারা। শুক্রবার বনগাঁ পৌরসভার সব কটি ওয়ার্ড নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস (Biswajit Das) ও মন্ত্রী সুজিত বসু (Sujit Bose)।
তৃণমূলের বিইআরএস(BERS), টিইআরএস(TERS), ডব্লুইআরএস(WERS) নিয়ে তৃণমূলের বৈঠকে তাদের কাজ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা। তাদের জন্য বেঁধে দেওয়া হল মাত্র তিনদিন সময়। এর মধ্যে কাজ না করলে সরিয়ে দেওয়ার বার্তাও দিয়ে রাখলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি। এর মধ্যে সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া গাইঘাটা এবং বনগাঁ দক্ষিণ ওয়ার্ডের সদস্যদের নিয়ে রবিবার আবারও বৈঠক করবেন সুজিত বসু।
উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক, অঞ্চল ও পৌরসভায় এসআইআর(SIR)-এর দায়িত্বে থাকা কর্মীদেরকে নিয়ে বনগাঁ নীলদর্পণ প্রেক্ষাগৃহে শুক্রবার দুপুরে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী সুজিত বসু। উপস্থিত ছিলেন বনগাঁর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। এদিনের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এসআইআর(SIR) নিয়ে ব্লক, অঞ্চল ও পৌরসভার দায়িত্বে থাকা কর্মীদের একাংশের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। আগামী তিন দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন না হলে তাদেরকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।
পরবর্তীতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মন্ত্রী সুজিত বসুর গলাতেও এদিনের সভায় কর্মীদের উপস্থিতি নিয়ে আক্ষেপের সুরই শোনা গেল। আগামীতে সঠিকভাবে কাজ সম্পন্ন করবার জন্য কর্মীদেরকে আবেদন জানালেন তিনি। সব মিলিয়ে বাংলায় বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি যে ইতিমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে শাসক শিবির, তা বলাই বাহুল্য।







