বাংলায় এসআইআর(SIR) নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) পাঁচ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারল না জাতীয় নির্বাচন কমিশন! দীর্ঘ বৈঠক সেরে বেড়িয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের জাবী এমনটাই। শুক্রবার দিল্লিতে তৃণমূলের(TMC) দশ সদস্যের কমিটি মুখোমুখি হয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশনের(Election Comission)। সেখানেই নাকি তাদের করা পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। এদিন প্রায় দুই ঘন্টা দীর্ঘ বৈঠক হয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে।
তৃণমূলের(TMC) তরফ থেকে দুবার চিঠি দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনের(Election Comission) তরফে তাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা জানানো হয়েছিল। সেই মতোই চলতি সপ্তাহে সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দশজনের একটি দল গঠন করে দিয়েছিলেন। শুক্রবার সকালেই নির্বাচন কমিশিনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক সারেন তারা। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) তৈরি করা সেই কমিটিতে ছিলেন ডেরেক ও ব্রায়েন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, শতাব্দী রায়, দোলা সেন, মহুয়া মৈত্র, প্রকাশ চিক বরাইক, সাজদা আহমেদ, মমতাবালা ঠাকুর, প্রতিমা মণ্ডল, সাকেত গোখলে।
প্রায় দু ঘন্টা ধরে চলে সেই বৈঠক। বৈঠক শেষে তৃণমূলের(TMC) তৈরি করা কমিটির তরফ থেকে জানানো হয় যে তারা যে পাঁচ প্রশ্ন নির্বাচন কমিশনের(Election Comission) ফুল বেঞ্চের সামনে তুলে ধরে ছিল তার নাতি সদুত্তর তারা পায়নি।
এরপরই সংসদে তৃণমূলের উপ দলনেতা শতাব্দী রায় তাদের প্রশ্নগুলি সম্বন্ধে জানান, যে পাঁচটি প্রশ্ন করা হয়েছিল সেগুলির মধ্যে প্রথম হল, এই এসআইআর প্রক্রিয়া কি অনুপ্রবেশকারীদের রুখতে? সেটাই যদি হয়, তাহলে আলাদা করে বাঙালিদের টার্গেট করা হচ্ছে কেন? দেশজুড়ে বাঙালিদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে কেন? মিজোরাম, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে কেন এসআইআর হচ্ছে না? বলা হচ্ছে অবৈধ ভোটার বাছতে এসআইআর, তাহলে এই অবৈধ ভোটারদের দ্বারা নির্বাচিত মোদি সরকারের বৈধতা কী? শতাব্দীদের আরও প্রশ্ন, “এসআইআর-এর ফলে এ পর্যন্ত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত্যুর দায় কি কমিশন নেবে? তাঁদের পরিবারের জন্য কী ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন? এতদিন এসআইআর নিয়ে তৃণমূল যা যা অভিযোগ করেছে, সেটার ভিত্তিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?”
নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততই যে এসআইআর নিয়ে তড়জা বাড়তে শুরু করেছে তা বেশ স্পষ্ট।







