“গতবারের চেয়ে এগিয়ে আমরা”, ফাইনালে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত ক্রেসপো

গতবারের চেয়ে মানসিকভাবে এবার এগিয়ে থাকাটাই তাদের সাফল্যের চাবিকাঠি। ফাইনালে পৌঁছনোর পরই বলছেন ইস্টবেঙ্গলের তারকা ফুটবলার সওল ক্রেসপো(Saul Crespo)। এদিন পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জিতে ফাইনালের টিকিট পাকা করেছে লাল-হলুদ ব্রিগেড(Eastbengal)। ঠোট আর কাপের মধ্যে এখন শুধুই একটা ম্যাচের দুরত্ব। সেখানেই অবশ্য অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী এখন ইস্টবেঙ্গল ফুটবলাররা। বিশেষ করে পঞ্জাব এফসিকে(Punjab Fc) হারিয়ে তাদের শরীরি ভাষাতেই সেটাই ধরা পড়ছে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। ম্যাচের ১২ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল। মাঝে পেনাল্টি থেকে একটা গোল তারা হজম করলেও, ঘুরে দাঁড়াতে এই ইস্টবেঙ্গলের খুব একটা বেশি সময় নেয়নি। আর এই সবকিছুর পিছনেই স্বাধীন মানসিকতা এবং ড্রেসিংরুমের পরিবেশই নাকি ইস্টবেঙ্গলকে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে দিচ্ছে। মেনে নিচ্ছেন সওল ক্রেসপো(Saul Crespo)। ম্যাচ শেষে সওল ক্রেসপো জানান, আবারও একটা ফাইনাল। আমরা আবার সেখানে পৌঁছেছি। আমিই শুধু নই, গোটা দল আমাদের অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। এখন শুধুই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশায় আছি। এই মরসুমে আমি মনে করি গতবারের চেয়ে সাইকলজিকালি আমরা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছি। সেইসঙ্গে আমাদের মানসিক স্বাধীনতাটাও রয়েছে। ফাইনালে মুম্বই এফসি(Mumbai Fc) কিংবা এফসি গোয়ার(FC Goa) বিরুদ্ধে খেলতে হবে লাল-হলুদ ব্রিগেডকে। যদিও ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) ক্রেসপোর দাবী, যেকেউই তাদের ফাইনালে প্রতিপক্ষ হোক না, তারা নাকি সেসব নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চাইছে না। ইস্টবেঙ্গল যে প্রস্তুত, তারই বার্তা পঞ্জাব বধের পর দিয়ে গেলেন ক্রেসপো। এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে রশিদ, কেভিনের পাশাপাশি তৃতীয় গোলটা এসেছিল সওল ক্রেসপোর(Saul Crespo) পা থেকেই।
সাসপেন্ড হুমায়ুন, বহরমপুরের সভা থেকে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে(Humayun Kabir) সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল(TMC)। তার কয়েক ঘন্টা পরই বহরমপুরের সভায় তৃণমূল নেত্রী তথা মুক্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই নাম না করেই হুমায়ুন কবীরকে(Humayun Kabir) বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার(Mamata Banerjee) সাফ বক্তব্য একটা ধান পচে গেলে বাকিদের বাঁচাতে সেই ধানকে সরিয়ে দেওয়াই নাকি উচিৎ। তৃণমূলের এই পদক্ষেপের পরই বঙ্গ রাজনীতি মহলে শুরু হয়ে গিয়েছে নানান কানাভুসো। বেশ কয়েক মাস ধরেই দল বিরোধি মন্তব্য করে তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) অস্বস্তি বারবার বাড়াচ্ছিলেন হুমায়ুন কবীর। সম্প্রতি বহরমপুরে বাবরি মসজিদ তৈরি নিয়েও একের পর এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছিলেন এই তৃণমূল বিধায়ক। অবশেষে তাঁকে সরিয়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস। এরপরই বহরমপুরের সভা থেকে নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) বার্তা। তিনি জানিয়েছেন, একটা ধান পচে গেলে সরিয়ে দিতে হয়। নইলে বাকি গুলোও পচে যায়। বৃহস্পতিবার সকালেই সাংবাদিক সম্মেলন করেছিলেন ফিরহাজ হাকিম। সেখান থেকেই তিনি হুমায়ুন কবীরকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন। সেখানেই ফিরহাদ জানিয়েছিলেন, “দল হুমায়ুনের সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক রাখবে না।”
তিন বিদেশির গোলে ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল

পঞ্জাব এফসিকে হেলায় হারিয়ে সুপার কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। তিন বিদেশির গোলেই বাজিমাত লাল-হলুদের। ৩-১ গোলে জয়ী ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর শোনা গিয়েছিল অস্কারের(Oscar Bruzon) মুখে। সেই কারণটা মাঠে নেমে ভালোভাবেই বুঝিয়ে দিলেন কেভিন সিবিলে(Cavin) থেকে ক্রেসপো(Saul Crespo), মিগুয়েলরা। প্রতিপক্ষ শিবিরের দুই সেরা ডিফেন্ডার নেই। সেই সুযোগটা প্রথম থেকেই কাজে লাগানো শুরু করেছিল লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ম্যাচের ১২ মিনিটেই প্রথম সাফল্য। মিগুয়েলের বাড়ানো লং বল। রশিদের জোরালো শটে ১২ মিনিটের মধ্যেই এগিয়ে যায় লাল-হলুদ ব্রিগেড। সেই থেকেই প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ বাড়ানো শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। প্রতিদিনের চেনা ছক ভেঙে এদিন আবার শুরু থেকে হিরোশিকে মাঠে নামিয়েছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। তিনি আক্রমণে গেলেও সেভাবে অবশ্য খুব একটা কিছু করতে পারেনি। বরং ম্যাচের বয়স যখন আধ ঘন্টা পেড়িয়েছে সেই সময় বিপিনের ভুলেই পেনাল্টি পেয়ে যায় পঞ্জাব এফসি(Punjab Fc)। র্যামিরেজ যা জালে জড়াতে ভুল করেননি। তবে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) এদিন দমে যাওয়ার দল ছিল না। বরং সেই সময় থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়ে। কর্ণার আদায় করে নেয় ইস্টবেঙ্গল। এবার লাল-হলুদের হয়ে গোলদাতা কেভিন সিবিলে(Cavin)। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে ফের এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। এই সময়ই আবার খারাপ আচরণের জন্য দ্বিতীয় হলুদ কার্ড ডাগ আউট ছাড়তে হয় অস্কার ব্রুজোঁকে। যদিও ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের সেটা কোনও বাধা হয়নি। বিরতির পর থেকে পঞ্জাব আক্রমণের চেষ্টা করলেও, বড্ড অগোছালো ফুটবলটাই খেলছিল তারা। সেখানেই মিগুয়েল(Miguel Ferrierra), ক্রেসপোদের(Saul Crespo), বিপিনদের(Bipin Singh) ভয়ঙ্কর আক্রমণ পঞ্জাবের রক্ষণে ক্রমাগত চাপ বাড়াতে শুরু করেছিল। এরই মাঝে অবশ্য হিরোশি সহ মিগুয়েল একাধিক সুযোগ পান, কিন্তু তা কাজে লাগাতে পারেননি। ৭১ মিনিটের মাথায় বক্সে ফের আক্রমণ ইস্টবেঙ্গলের। এবারও বল বাড়ান সেই মিগুয়েল। সেখানেই সওল ক্রেসপোর জোরালো শট। পঞ্জাব গোলরক্ষক এবারও ব্যর্থ। ম্যাচের ভবিষ্যৎ তখনই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। লাল-হলুদ গোলের ব্যবধান বাড়াতে পারে কিনা সেটাই দেখার ছিল। হিরোশি, এডমুন্ড, বিষ্ণুরা সুযোগ পেলেও সেই কাজটা আর করতে পারেনি। ফাইনালে পৌঁছনোর পরই যেন লাল-হলুদ(Eastbengal) ফুটবলারদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে।
মুস্তাক আলিতে খেলবেন রোহিত শর্মা!

সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি(Syed Mustaq Ali Trophy) খেলতে চান রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)! হঠাৎই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। শোনাযাচ্ছে ঘনিষ্ঠমহলে নাকি ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সেরা টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে নাকি খেলতে চেয়েছেন দ্য হিটম্যান। সবকিছু ঠিকঠাক চলল্ নক আউট পর্বে মুম্বইয়ের হয়ে ফের একবার টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে দেখা যেতে পারে প্রাক্তন ভারতীয় দলের অধিনায়ককে। কিন্তু কেন হঠাৎ টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে ফিরতে চাইছেন রোহিত(Rohit Sharma)? এই নিয়েই নাকি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ২০২৪ সালের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পরই টি টোয়েন্টি ফর্ম্যাট থেকে অবসর নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। এরপর আইপিএলের মঞ্চ থেকেই টেস্ট ফর্ম্যাটের অবসরের ঘোষণা করেছিলেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। দেশের জার্সিতে শুধুমাত্র ওডিআই ফর্ম্যাটেই খেলছেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma)। এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে খেলছেন রোহিত শর্মা। তার মাঝেই রোহিতের সৈয়দ মুস্তাক আলি(Syed Mustaq Ali Trophy) খেলা ঘিরে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর জল্পনা। শোনাযাচ্ছে তিনি মুস্তাক আলির নকআউট পর্বে খেলতে চেয়েছেন। যদিও সরকারীভাবে রোহিত শর্মা এখনও পর্যন্ত কিছু জানাননি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলবেন রোহিত(Rohit Sharma)। ইতিমধ্যেই বিজয় হাজারে ট্রফিতে খেলার কথা রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলি জানিয়ে দিয়েছেন। এবার সেইসঙ্গে মুস্তাক আলিতেও রোহিত শর্মা খেলবেন বলে শোনাযাচ্ছে। তিনি নাকি ইতিমধ্যেই মুস্তাক আলিতে খেলার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। শেষপর্যন্ত তিনি মাঠে নামেন কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
অ্যাশেজের মঞ্চেই আক্রমের রেকর্ড ভাঙলেন স্টার্ক

অ্যাশেজে(Ashes) দাপুটে পারফরম্যান্সের ধারা অব্যহত মিচেল স্টার্কের(Mitchell Starc)। এবার ওয়াসিম আক্রমের(Wasim Akram) রেকর্ড ভেঙে দিলেন অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক(Mitchell Starc)। বাঁহাতি পেসার হিসাবে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে পিছনে ফেললেন ওয়াসিম আক্রমকে। এই মুহূর্তে ১০২ টেস্ট খেলে মিচেল স্টার্কের উইকেট ৪১৫। এদিনও প্রথম ইনিংসের শুরু থেকেই স্টার্কের ঝুলি কিন্তু ভরপুর। ইতিমধ্যে চার উইকেট তুলেও নিয়েছেন তিনি। অ্যাশেজের(Ashes) শুরু থেকেই এবার দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন মিচেল স্টার্ক(Mitchell Starc)। প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে একাই তুলে নিয়েছিলেন দশ উইকেট। সেখানে প্রথম ইনিংসে স্টার্কের শিকার ছিল সাত উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই তারকা পেসার। সেই ধারাটা দ্বিতীয় টেস্টেও ধরে রেখেছেন স্টার্ক। এদিনও ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটারদের দ্রুতই সাজঘরের রাস্তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন স্টার্ক। দ্বিতীয় টেস্টের শুরুতেই প্রথম উইকেটটা তুলে নিয়েছিলেন মিচেল স্টার্কই(Mitchell Starc)। প্রথম উইকেটটাই তুলেছিলেন বেন ডাকেটের। এরপর একে একে অলি পোপ, হ্যারি ব্রুকদের সাজঘরে ফেরানোর রাস্তাটাও দেখিয়ে দিয়েছিলেন মিচেল স্টার্কই। কার্যত এদিনও ব্রিটিশ ব্যাটিং বাহিনীকে চাপের মুখে ফেলে দিয়েছিলেন স্টার্ক। আর সেইসঙ্গে ওয়াসিম আক্রমের নতুন বহু পুরনো রেকর্ডও ভেঙে দিলেন তিনি। এর আগে বাঁহাতি পেসার হিসাবে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক ছিলেন ওয়াসিম আক্রম। ৪১৪টি উইকেট ছিল তার। এদিন হ্যারি ব্রুককে ফেরাতেই সেই রেকর্ড গড়লেন তিনি। স্টার্কের পিছনে এই তালিকায় রয়েছেন ওয়াসিম আক্রম, চামিন্ডা ভাস, ট্রেন্ট বোল্ট, মিচেল জনসন, জাহির খানদের মতো তারকারা।