বিরাটদের শতরানের দিনে বিশ্রী বোলিংয়েই হার ভারতের

বিশ্রী বোলিং। বড় রান করেও ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে জিততে পারল না ভারত। রায়পুরে ৪ উইকেটে হারল টিম ইন্ডিয়া। এমন হারের পর গম্ভীরের দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটাই স্বাভাবিক। বারবার দাবী উঠলেও হর্ষিত রানার সুযোগ থেকে প্রসিধ কৃষ্ণাকে খেলিয়ে যাওয়া। সবকিছুতেই গম্ভীরের ভূমিকা নিয়ে যে প্রশ্ন উঠতেই পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিরাট(Virat Kohli), রুতুরাজরা(Ruturaj Gaekwad) দুরন্ত ইনিংস খেললেও, বোলারদের ব্যর্থতাতে সব শেষ। টস জিতে ভারতকে এদিন প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। রোহিত ফেরেন ১৪ রানে। যশস্বীও করেন ২২রান। কিন্তু এদিনও গত ম্যাচের মতো দুরন্ত ফর্মে ছিলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সঙ্গে যোগ্য সঙ্গত রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের(Ruturaj Gaekwad)। কার্যত তাদের হাত ধরেই এদিন প্রোটিয় বোলারদের বিরুদ্ধে সময় যত এগোয় ততই যেন চাপ বাড়াতে শুরু করে ভারতীয় দল। বিরাট কোহলি(Virat Kohli) এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ১৮৮ রানের পার্টনারশিপ। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক মেজাজে ছিলেন বিরাট কোহলি। সঙ্গে রুতুরাজের ব্যাট থেকেও ছিল বড় শটের ঝলক। ৮৩ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলে থামেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের সেঞ্চুরি করেন বিরাট কোহলি। অবশ্য তিনি ফেরেন ৯৩ বলে ১০২ রানে। বিরাট কোহলি যখন ফেরেন সেই সময় ভারতের রান ৪ উইকেটে ২৮৪। বাকিটা কেএল রাহুল এবং রবীন্দ্র জাদেজার হাত ধরে ভারত পৌঁছয় ৩৫৮ রানে। জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাও শুরুটা বেশ ভালোভাবেই করেছিল। মার্করামের(Aiden Markram) ক্যাচ মিসটাই বোধহয় ম্যাচের ভবিষ্য বদলে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ভারতীয় বোলারদের খারাপ বোলিং। ১০ ওভারে হর্ষিত রানা(Harshit Rana) দিয়েছেন একাই ৭০ রান। উইকেট তুলতে পেরেছেন মাত্র একটা। তার থেকেও খারাপ বোলিং প্রসিধ কৃষ্ণার(Prasidh Krishna)। তিনি ২টো উইকেট তুলেছেন ঠিকই, কিন্তু রান দিয়েছেন ৮.২ ওভারে ৮৫। আর এডেন মার্করাম এদিন যেন ভারতীয় বোলারদের সামনে ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। ১১০ রানের ইনিংস খেলে রানার বলে মার্করাম যখন ফেরেন সেই সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ১৯৭। সুযোগ ছিল ভারতীয় বোলারদের সামনে। কিন্তু বিশ্রী বোলিং পারফরম্যান্সে কোনওরকম চাপই তারা তৈরি করতে পারেননি। কুলদীপও ১০ ওভারে ৭০ রান দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ উইকেট তারা তুলতে পেরেছিল ঠিকই, কিন্তু ততক্ষণে ভারতের হাত থেকে ম্যাচ বেড়িয়ে গিয়েছিল।
তৈরি ইস্টবেঙ্গল, শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে চান অস্কার

বৃহস্পতিবার সুপার কাপের(Super Cup) সেমিফাইনালে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে নামছে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। প্রতিপক্ষ শিবিরের দুজন প্রধান ডিফেন্ডারই নেই। আর সেটাই সুযোগটাই সেমিফাইনালের মঞ্চে কাজে লাগাতে চাইছে লাল-হলুদ(Eastbengal) ব্রিগেড। বরং শুরু থেকেই কাউন্ডটার অ্যাটাকের কথা শোনা গেল ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোঁর মুখে। বছর শেষের আগে ইস্টবেঙ্গলের(Eastbengal) হাতে ট্রফি দেখাই এখন তাঁর কাছে অন্যতম প্রধঝান লক্ষ্য। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটা তো সময়ই বলবে। শেষবারের আইএসএলের(ISL) সাক্ষাতে দুবারই জিতেছিল ইস্টবেঙ্গল। এই ম্যাচের আগে সেটা যেমন তাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। তেমনি প্রতিপক্ষের দুর্বলতা সম্বন্ধেও বেশ ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল ইস্টবেঙ্গল থিঙ্ক ট্যাঙ্ক। সেই কারণে শুরু থেকই তো কাউন্টার অ্যাটাকে যেতে চাইছেন অস্কার(Oscar Bruzon)। তবে তাঁর প্রধান নজর হল ম্যাচের দখল নিজেদের হাতে রাখা। ম্যাচের শুরু থেকেই যাতে লাল-হলুদ ফুটবলাররা ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে রাখতে পারে সেই দিকেই এখন প্রধান নজর ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal) কোচের। জয় গুপ্তার(Jay Gupta) চোট থাকলেও এখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ। ম্যাচের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলনেও তিনিই এসেছিলেন। কার্ড সমস্যার জন্য পঞ্জাবের সেরা দুই স্টপার নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তুলতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। রশিদ(Mohammed Rashid), হামিদদের(Hamid Ahadad) নিয়ে সেরকমই ছক কষছেন লাল-হলুদ কোচ। তবে এই ম্যাচেও বোধহয় প্রথম একাদশে দেখার সম্ভাবনা নেই হিরোশি ইবুসুকিকে(Hiroshi Ibusuki)। তাঁকে রিজার্ভেই রাখছেন তিনি। সেমিফাইনালের আগে অবশ্য নিজের দল নিয়েও বেশ আত্মবিশ্বাসী কোচ অস্কার(Oscar Bruzon)। তাঁর দল শারীরিক, মানসিক এবং ট্যাকটিকাল দিক থেকে একেবারে প্রস্তুত বলেই জানাচ্ছেন কোচ। একইসঙ্গে আবার একটু সতর্কও। প্রতিপক্ষের সেরা দুটো স্টপার না থাকলেও, সেখানে নতুন ফুটবলাররা খেলবেন। তবে লাল-হলুদ যে প্রস্তুত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রাথমিকে ৩২ হাজারের চাকরিই বহাল, বিশেষ বার্তা ব্রাত্যর

প্রাথমিকের(Primry Teachers) ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়। মঙ্গলবার সিঙ্গল বেঞ্চের রায় খারিজ করে রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। আর এতেই যেন খানিকটা স্বস্তি রাজ্য সরকারের। সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই রায় যে তৃণমূল শিবিরে বাড়তি অক্সিজেন যোগাচ্ছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই রায়কে স্বাগত জানানোর সঙ্গেই বিশেষ বার্তাও দিয়ে রাখলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)। তাঁর সাফ বার্তা এবার লক্ষ্য এসএসসি(SSC)। ব্রাত্য বসু বলেন, “আমাদের এখন কাজ এসএসসি-র যোগ্য চাকরিহারা শিক্ষকরা যাতে স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতার সঙ্গে চাকরি ফিরে পান, তা সুনিশ্চিত করা। গত ৫ বছর ধরে আমাদের দপ্তর সঙ্গে কোর্ট, কাছারি, বিরোধীদের আক্রমণ নিয়ে কাজ করেছে। প্রাথমিকের পর এসএসসির যোগ্য চাকরিহারাদের হাতে যদি নিয়োগপত্র তুলে দিতে পারি তাহলে আমাদের বৃত্ত সম্পূর্ণ হবে। তাহলে খুব নিশ্চিন্ত মনে আমাদের রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে।” ২০২৩ সালের মে মাসে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়(Avijit Ganguly) প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের(Primary Teachers) চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরই সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল পর্ষদ। গত ১২ নভেম্বর মামলাচির শুনানি শেষ হয়। তবে রায়দান স্থগিত ছিল। বুধবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী(Tapobrato Chakraborty) ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ রায় দান করেছেন। প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, প্রাথমিকের ৩২ হাজার চাকরি বাতিল নয়। স্বপদে বহাল রইলেন প্রত্যেকে। বুধবার বিচারপতির এই রায়ে যে ৩২ হাজার শিক্ষক এখন স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছেন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও মামলাকারীদের একাংশ সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা বলা শুরু করেছে।
বিরাট সেঞ্চুরিতে সচিনের আরও কাছে পৌঁছলেন কোহলি

রাঁচির পর এবার রায়পুর। বিরাট কোহলির(Virat Kohli) দুরন্ত পারফরম্যান্সের ধারা অব্যহত। সেইসঙ্গেই গড়লেন এক নতুন রেকর্ড। কেরিয়ারের ৮৪তম সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি, ১১ তমবার পরপর দু ম্যাচে সেঞ্চুরি করার রেকর্ডটাও গড়ে ফেললেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে ১০২ রানের দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরি ইনিংস খেললেন বিরাট কোহলি। সেখানেই বিরাটের(Virat Kohli) গোটা ইনিংসটি সাজানো রয়েছে ৭টি চার এবং ২টো ওভার বাউন্ডারি দিয়ে। ২০১৬-১৮ সালের পরপর ম্যাচে সেঞ্চুরি করাটা বিরাটের কাছে ছিল অভ্যাসের মতো। মাঝে অবশ্য খানিকটা খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু চলতি বছরে ফের ফর্মে বিরাট কোহলি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৯৩ বলে ১০২ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। প্রায় একমাস পর ভারতীয় দলের জার্সিতে মাঠে নেমেছে। সেইসঙ্গে অনেকেই বলেছিলেন যে আগামী ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের দলে সুযোগ পেতে এই সিরিজটা নাকি বিরাট কোহলিদের(Virat Kohli) কাছে বড় পরীক্ষা। সেইসঙ্গে গৌতম গম্ভীরকে(Gautam Gambhir) জবাব দেওয়ার মঞ্চও এটা ছিল। সেখানেই কার্যত ফুল মার্কস পেয়ে পাশ করে গেলেন বিরাট কোহলি। তাঁর সেঞ্চুরি ইনিংসের সামনে ফের একবার মাথা নত করতে বাধ্য হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বোলাররা। বিরাট কোহলি(Virat Kohli) যে সময় মাঠে আসেন ভারতীয় দলে বেশ চাপে ছিল। এরপরই যশস্বী(Yashasvi Jaiswal) ফিরে যাওয়ায় দুই উইকেট হারিয়ে ভারতীয় দল বেশ চিন্তাতেই পড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ফের ভারতীয় দলের হাল ধরেন বিরাট কোহলি। সঙ্গে রিতিরাজ গায়কোয়াড় অবশ্যই ছিলেন। তবে বিরাট কোহলি(Virat Kohli) এদিনও ছিলেন বিধ্বংসী মেজাজে। সচিন তেন্ডুলকরের(Sachin Tendulkar) সেঞ্চুরির রেকর্ড ভাঙার থেকে এই মুহূর্তে খুব একটা দূরে নেই বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সেখানেই এদিন যেন আরও একধাপ এগোলেন ভারতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার। কেরিয়ারের ৮৪ তম সেঞ্চুরিটা করে ফেললেন। সচিনের রেকর্ড ছুঁতে এখন আর মাত্র ১৬টি সেঞ্চুরি দূরে রয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সর্বোচ্চ ভেন্যুতে ৩৪টি সেঞ্চুরিও করার রেকর্ড গড়েছেন বিরাট। সেখানেও সচিনের রেকর্ড ছুঁয়ে ফেললেন তিনি।
ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় গিলকে টপকে গেলেন কোহলি

রাঁচির পর এবার রায়পুর। সেখানেও দুরন্ত ফর্মে বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। সেইসঙ্গেই টপকে গেলেন শুভমন গিলকেও(Shubman Gill)। আইসিসি ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় শুভমন গিলকে(Shubman Gill) সরিয়ে চার নম্বর পজিশনে উঠে এলেন বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। রায়পুরে ওডিআই(ODI) চলাকালীনই বিরাট কোহলির র্যাঙ্কিংয়ে এই উন্নতি। যদিও রোহিত শর্মার থেকে এখনও বেশ খানিকটা পিছিয়েই রয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। তবে গিলকে সরিয়ে সেই জায়গাটা দখল করে নিলেন তিনি। প্রায় এক মাস পর রাঁচিতেই ভারতীয় দলের জার্সিতে ফিরেছেন বিরাট কোহলি। প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি ইনিংস খেলা হয়ে গিয়েছে তাঁর। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচেও বিরাটের ব্যাট থেকে সেই একই ধারা অব্যহত। আর তাতেই বিরাট কোহলির(Virat Kohli) হাতে নতুন পুরস্কার। আইসিসির ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় বিরাট কোহলি উঠে এলেন এবার চার নম্বর পজিশনে। এতদিন সেই জায়গায় ছিলেন শুভমন গিল। সেখানেই তাঁর পয়েন্ট ছিল ৭৩৮। রাঁচিতে সেঞ্চুরি করার পরই বিরাট কোহলির পয়েন্ট এখন ৭৫১। আর তাতই ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় চার নম্বরে চলে এলেন বিরাট কোহলি। প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন বিরাট। সেই পারফরম্যান্সের জোরেই এবার টপকে গেলেন ভারতীয় ওডিআই দলের অধিনায়ককেও। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায়। এই মুহূর্তে ওডিআই ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষস্থানে রয়েছেন রোহিত শর্মা। বিরাট কোহলির থেকে ৩২ পয়েন্টে এগিয়ে রয়েছেন রোহিত শর্মা।