অনুপস্থিত দিমি, ঘরের মাঠে প্রস্তুতি শুরু মোহনবাগানের

সবকিছু ঠিকঠাক চললে আগামী ৮ জানুয়ারী থেকেই শুরু হতে চলেছে দেশের সর্বোচ্চ ফুটবল লিগ। তারই প্রস্তুতিতে এবার নেমে পড়ল মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG)। দীর্ঘ এক মাস ছুটি কাটানোর সোমবার মোহনবাগান মাঠেই শুরু হয় প্রস্তুতি। কিন্তু প্রথম দিনের প্রস্তুতিতেই অনুপস্থিত মোহনবাগানের তারকা ফুটবলার দিমিত্রি পেত্রাতস(Dimitri Petratos)। কিন্তু কেন তিনি সময়ে আসেননি তার কোনও সদুত্তর অবশ্য দিতে পারছে না মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG) টিম ম্যানেজমেন্ট। গত সপ্তাহেই বদলে গিয়েছে মোহনবাগানের কোচের নাম। হোসে মোলিনা(Jose Molina) নয়, এখন সবুজ-মেরুনের দায়িত্বে এসেছেন সের্জিও লোবেরা(Sergio Lobera)। যদিও তাঁর তত্ত্বাবধানে এখনই প্রস্তুতি শুরু করতে পারছে না মোহনবাগান সুপারজায়ান্ট(MBSG) ফুটবলাররা। তাঁর আসতে নাকি এখনও দশ দিন মতো সময় লাগবে। সেই কারণে সোমবার গোলকিপার কোচ, বাস্তব রায়দের তত্ত্বাবধানেই শুরু হয়ে গে কামিন্স, ম্যাকলরেনদের প্রস্তুতি। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে দিমিত্রি পেত্রাতস(Dimitri Petratos) কেন এলেন না। অ্যালবার্তো রডরিগেজও আসতে পারেননি। তিনি অবশ্য বিমান ধরতে পারেননি। এছাড়া পরের বিমান লেট। সেই কারণেই তাঁর আসতে দেরী হবে। কিন্তু দিমির দেরীর জন্য কোনও ব্যখ্যা এখনও পর্যন্ত দিতে পারেনি মোহনবাগান ম্যানেজমেন্ট। তবে এটুকু জানানো হয়েছে আগামী ৩ ডিসেম্বর থেকে নাকি প্রস্তুতিতে নামবেন দিমিত্রি পেত্রাতস। এবার কোচ বদল হওয়ার পর থেকেই যে ফুটবলারকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি চর্চা শুরু হয়েছিল, তিনি হলেন জেসন কামিন্স। শোনাযাচ্ছিল তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। তবে কামিন্স এদিন প্রস্তুতিতে নামলেই, সমর্থকদের গলা থেকে ফের বেড়িয়ে এল সেই চেনা আরামসে স্লোগান। ম্যাকলরেন, অ্যালবার্তোদের নিয়ে সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো। আপাতত প্রথম কয়েকদিন হাল্কা প্রস্তুতিতেই থাকবেন মোহনবাগান ফুটবলাররা। লোবেরা যোগ দেওয়ার পরই শুরু হবে জোরকদমে অনুশীলন।
হাল্কা চোট, সেমিফাইনালে খেলবেন জয় গুপ্তা

দুশ্চিন্তা নয়, সেমিফাইনালে পঞ্জাব এফসির(Punjab Fc) বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই দেখা যেতে চলেছে জয় গুপ্তাকে(Jay Gupta)। গত রবিবারের অনুশীলনে হাল্কা চোট পেয়েছিলেন জয় গুপ্তা। না বড়সড় কিছু নয়। পা মোচকে গিয়েছিল লাল-হলুদের এই ডিফেন্ডারের। সেই থেকেই অনেকে দুশ্চিন্তা করতে শুরু করেছিলেন। তার ওপর সোমবারের অনুশীলনে যখন নামলেন না জয় গুপ্তা(Jay Gupta)। তখন লাল-হলুদ সমর্থকদের চিন্তা বাড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে খবর ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। একে তো পা মোচকে গিয়েছে, সেইসঙ্গে হাতে সময়ও রয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই সোমবার জয় গুপ্তাকে বাড়তি বিশ্রাম দিয়েছিলেন কোচ অস্কার ব্রুজোঁ(Oscar Bruzon)। সোমবারও দলের ফুটবলারদের নিয়ে বেশিরভাগ সময় ম্যাচ সিচুয়েশন প্রস্তুতিতেই কাটালেন লাল-হলুদ কোচ। আগামী ৪ ডিসেম্বর পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে নামবে ইস্টবেঙ্গল(Eastbengal)। যদিও তার আগে দলকে চাপমুক্ত থাকার পরামর্শই দিয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ হেডকোচ। এছাড়া ফুটবলাররাও বেশ খোশ মেজাজেই রয়েছেন গোয়াতে। এই মুহূর্তে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশ কী সাজাবেন তা নিয়েই একটু বেশি চিন্তিত অস্কার। শেষপর্যন্ত ফাইনালের টিকিট ইস্টবেঙ্গল কাটতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
SIR নিয়ে রাজ্য নির্বাচনী কমিশনে স্মারকলিপি প্রদেশ কংগ্রেসের, দুষলেন তৃণূল, বিজেপকে

কয়েক দফা দাবী নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল এবার কংগ্রেস(Pradesh Congress)। কংগ্রেসের এই স্মারকলিপিতে যেমন মতুয়াদের(Motua) পাশে দাঁড়ানোর কথা উল্লেখ আছে, তেমনই এসআইআরের সময়সীমা বাড়ানোর দাবীও জানানো হয়ছে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের(Pradesh Congress) তরফে। সেইসঙ্গে বিএলও-দের ওপর যে বাড়তি চাপ পড়েছে সেদিকেই বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের কতা জানানো হয়েছে রাজ্য কংগ্রেসের তরফে। একইসঙ্গে মতুয়াদের নিয়ে তৃণমূল(TMC) এবং বিজেপির(BJP) দ্বিচারিতার কথাও জানানো হয়েছে। এদিন পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের(Pradesh Congress) সভাপতি শুভঙ্কর সরকারের(Shubhankar Sarkar) নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের এক উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষক ( রোল-রিভিশন) সুব্রত গুপ্তের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁকে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক স্মারকলিপি প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন কংগ্রেস নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রশান্ত দত্ত, পার্থ ভৌমিক, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় এবং রোহন মিত্র কয়েকদিন আগেই দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের(TMC) দশ দলের কমিটির সদস্যরা। এবার রাজ্যে সরব হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস(Pradesh Congress)। তাদের জোরালো দাবী মতুয়াদের স্বার্থরক্ষা নিয়েই। এসআইআরের নামে যেন মতুয়াদের কোনওরকম অসুবিধা না হয় সেই কথাই জাদের স্মারকলিপিতে রয়েছে। প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের সাফ বক্তব্য মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে দ্বিচারিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি। মতুয়াদের কোনওরকম অসুবিধা যে রাজ্য কংগ্রেস মেনে নেবে না সেই কথাও সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রদেশ কংগ্রেসের(Pradesh Congress) স্মারকলিপিতে। মতুয়াদের নাগরিকত্ব নিয়ে যে দ্বিচারিতা করছে বিজেপি(BJP) ও তৃণমূল(TMC) তা উল্লেখ করে কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয় যে, মতুয়ারা এদেশেরই নাগরিক, তাঁদের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার নিয়ে কোনো নেতিবাচক পদক্ষেপ কংগ্রেস বরদাস্ত করবেনা। মতুয়া সম্প্রদায়ের ভোটাধিকার ক্ষুন্ন করার যেকোনো অপচেষ্টা কংগ্রেস রুখবে বলেও এদিন দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এদিন স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয় দেশভাগের আগে যাঁরা বিভিন্ন কারণে উদ্বাস্তু হয়ে এদেশের মাটিতে এসেছেন তাঁরা এদেশেরই নাগরিক। সুতরাং ভোটার তালিকা থেকে মতুয়াদের নাম বাদ দেওয়া হলে তা হবে একটা বেআইনি ও অনৈতিক কাজ।
বেঙ্গালুরুতে শুভমন গিল, টি টোয়েন্টি সিরিজেই ফিরতে পারেন

শুভমন গিলকে(Shubman Gill) নিয়ে আশার আলো। টি টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই ফের ভারতীয় দলে ফিরতে পারেন শুভমন গিল। সোমবারই বেঙ্গালুরুতে বিসিসিআইয়ের সেন্টার অব এক্সিলেন্সে যোগ দিলেন ভারতের টেস্ট ও ওডিআই দলের অধিনায়ক শুভমন গিল(Shubman Gill)। এদিন থেকেই বোর্ডের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রিহ্যাব শুরু করে দিয়েছেন ভারতীয় ওডিআই ও টেস্ট দলের অধিনায়ক শুভমন গিল। শোনাযাচ্ছে সবকিছু ঠিকঠাক চললে দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে টি টোয়েন্টি সিরিজ দিয়েই ফের ভারতীয় দলের(India Team) জার্সিতে নামতে চলছেন শুভমন গিল। ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনই ঘাঁড়ে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন শুভমন গিল(Shubman Gill)। এরপর থেকেই আর মাঠে ফিরতে পারেননি তিনি। একদিন টানা হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছিল ভারতীয় দলের তরুণ অধিনায়ককে। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন। এমনকি টানা বিমানে চলালও করেছেন। সেখানেও তাঁর চোট নিয়ে কোনওরকম সমস্যা দেখা দেয়নি। এটাই যেন ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্টকে খানিকটা স্বস্তি দিচ্ছে। তবে এখনও বেশ কিছু পরীক্ষা নীরিক্ষা বাকি রয়েছে শুভমন গিলের। সোমবারই চন্ডীগড় থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরুতে সেন্টার অব এক্সিলেন্সে যোগ দিয়েছেন শুভমন গিল। শোনাযাচ্ছে এদিন থেকেই নাকি তাঁর রিহ্যাবও জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘাঁড়ের চোটের জন্য শুধুমাত্র টেস্টই নয়, ওডিআই দলের হয়েও খেলতে পারছেন না শুভমন গিল। তবে সেন্টার অব এক্সিলেন্সের চিকিৎসকরা মনে করছেন বিমান যাত্রার সময় যখন তাঁর কোনওরকম সমস্যা হয়নি, সেক্ষেত্রে সেরে উঠতে খুব একটা বেশি সময় লাগবে না শুভমন গিলের।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পাল্টা আক্রমণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের

সামনেই শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-র করা একটি মন্তব্যে সোরগোল পড়ে গেছে জাতীয় রাজনীতিতে। প্রধানমন্ত্রী শীতকালীন অধিবেশন শুরুর আগে স্পষ্টতই বার্তা দিয়েছেন, এই অধিবেশন চলাকালীন সংসদের ভিতর কোনও ধরনের নাটক বরদাস্ত করা হবে না। এবার প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর অভিযোগ, “সাধারণ মানুষের দাবি নিয়ে বিরোধীরা যদি সংসদে প্রশ্ন তোলে, সেটা কি নাটক?” এরই পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক এদিন নোটবন্দির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, “নোটবন্দির সময় যখন সাধারণ মানুষকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড় করিয়ে মারা হয়েছিল, তখনও তো তার দায় চাপানো হয়েছিল অন্যদের উপর। সরকার তাহলে কীসের দায় নেবে?” পাশাপাশি দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিস্ফোরণ, হামলা ও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের মতো ঘটনা বেড়ে যাওয়ায়— এ বিষয়ে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, “দেশে যে এত এত বিস্ফোরণ, হামলার ঘটনা ঘটছে, তার দায় কার?” একই সঙ্গে বাংলায় SIR চলাকালীন ৪০ জনের উপর মানুষের মৃত্যুর প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এত মৃত্যুর পরেও দায় এড়াতে চাইছে কেন্দ্র।” ২৬শে বাংলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে নিজের সংসদীয় এলাকা ডায়মন্ড হারবারে ‘সেবাশ্রয় ২’ প্রকল্পের সূচনা করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সহ কেন্দ্রীয় সরকারকে দ্বৈতহীন ভাষায় আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। তাঁর স্পষ্ট দাবি, “আমরা SIR প্রক্রিয়ার বিরোধী নই। সময় নিয়ে, যথাযথ পদ্ধতি মেনে SIR পরিচালনা করুক নির্বাচন কমিশন।” এদিন SIR প্রক্রিয়া ও পদ্ধতিগত প্রয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন,”বিএলও(BLO)দের নির্দিষ্ট কোনও ট্রেনিং নেই। বিএলও অ্যাপ যথাযথ কাজ করছে না। অমানুসিক চাপে কাজ করতে হচ্ছে বিএলওদের।” সোমবার নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করার পাশাপাশি আসন্ন নির্বাচনের দামামাও বাজিয়ে দিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জোর গলায় বলেন, “বাংলার মানুষ সব দেখছে। আগামী নির্বাচন মানুষ বিজেপিকে তার যোগ্য জবাব দেবে।” পাশাপাশি রাজ্যে SIR-এর ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বাড়বে বলেও আশ্বাস দেন তিনি। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের কর্মী-সমর্থকদের মনোবল আরও বাড়াতে এটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কেননা বাংলা বিজেপি এক ইঞ্চি জমিও যে ছেড়ে দিতে রাজি নয় তৃণমূল, তা আজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যেই স্পষ্ট।
দেশে এইডস সংক্রমণের হার রেকর্ডভাবে হ্রাস পেয়েছে, বিশ্ব এইডস দিবসেই জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

বিশ্ব এইডস(HIV) দিবসে সুখবর ভারতের। একসময় যে দেশকে বিশ্ব এইডসের(HIV) রাজধানী বলা হত, সেখানেই শেষ ১৪ বছরে অর্ধেকেরও বেশি সংক্রমণের হার কমে গিয়েছে। একইসঙ্গে মৃত্যু হার কমেছে প্রায় ৮১ শতাংশ। পয়লা ডিসেম্বরই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ মন্ত্রকের(Central Heal Ministry) তরফে এই সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে ২০১০ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে রেকর্ড পরিমান দেশে এইচআইভি(HIV) সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। একইসঙ্গে মৃত্যু হারও হ্রাস পেয়েছে দেশে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ব্যাপক প্রচারের পাশাপাশি গর্ভবতী মহিলাদের বর্ধিত স্ক্রিনিং এবং আগে চিকিৎসা শুরু ফলে নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে এইডসের মতো মারণ ব্যাধি। ২০২০-২১ সালে যেখানে এইচআইভি পরীক্ষা হয়েছিল ৪১.৩ মিলিয়ন সেটাই ২০২৪-২৫ সালে বেড়ে হয়েছে ৬৬.২ মিলিয়ন। যার জেরে বেড়েছে প্রাথমিক রোগ নির্ণয়। অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি (এআরটি) বেড়েছে ব্যাপকভাবে। এই সময়ে চিকিৎসাধীন মানুষের সংখ্যা ১.৪৯ মিলিয়ন থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১.৮৬ মিলিয়ন। যার জেরেই গত ১৪ বছরে আক্রান্তের হার আগের চেয়ে ৪৯ শতাংশ কমেছে। মৃত্যুহারও হ্রাস পেয়েছে ৮১ শতাংশ। মা ও শিশুদের সংক্রমণের হার ৭৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এইচআইভি(HIV) হল এমন একটি ভাইরাস যা মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে সরাসরি তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আক্রমণ করে। এরফলে আক্রান্ত ব্যক্তির ইমিউনিটে ক্রমশই কমতে থাকে। সামান্য অসুখও বড়সড় আকার ধারণ করতে পারে। দীর্ঘদিন ধরেই এই রোগ প্রতিরোধের ওষুধ আবিস্কার করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। এখনও পর্যন্ত অবশ্য সাফল্য দেখতে পায়নি তারা।
বোর্ডের তলব আগরকর, গম্ভীরকে

দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওডিআই ম্যাচে নামার আগে হঠাৎই প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর(Gautam Gambhir) এবং প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরকে(Ajit Agarkar) ডেকে পাঠালো বিসিসিআই(BCCI)। শোনাযাচ্ছে আগামী ওডিআই বিশ্বকাপ এবং সেখানে রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির(Virat Kohli) ভবিষ্যৎ নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের কী পরিকল্পনা রয়েছে তা নিয়েই নাকি আলোচনা হবে। বিশেষ করে রোহিত এবং কোহলির পারফরম্যান্স দেখার পর থেকেই এমন আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার(South Africa) বিরুদ্ধে প্রথম ওডিআই ম্যাচেই বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন ভারতীয় দলের তারকা বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। ওডিআই কেরিয়ারের ৫২ তম সেঞ্চুরিটা পেয়েছেন রাঁচিতেই। একইসঙ্গে ৫১ বলে ৫৭ রানের দুরন্ত অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন রোহিত শর্মাও(Rohit Sharma)। এরপর থেকেই তাদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ প্রাক্তন থেকে বিশেষজ্ঞরা। এরপরই যেন খানিকটা নড়ে চড়ে বসেছে বিসিসিআই। বেশ কয়েকদিন ধরেই বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মার আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপ খেলা ঘিরে একটা জল্পনা চলছে। বিশেষ করে তাদের টেস্ট থেকে অবসরের পর আদৌ গৌতম গম্ভীরের পরিকল্পনায় তারা রয়ছেন কিনা। এরই মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নেমেছে ভারত। সেখানেই ওডিআই সিরিজে খেলছে তারা। শোনাযাচ্ছিল এই সিরিজের ওপর নাকি রোহিত এবং বিরাটের ওডিআই বিশ্বকাপ খেলার ভবিষ্যৎও অনেকটা নির্ভর করছে। সেখানে প্রথম ম্যাচে নেমেই সেঞ্চুরি ইনিংস বিরাটের। অর্ধশতরানের ইনিংস রোহিত শর্মার। এরপরই বোর্ডের তলব বোর্ডের নির্বাচক থেকে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্বীরকে। যদিও সেখানে আরও অনেক বিষয় নিয়েই হবে আলোচনা। তবে মনে করা হচ্ছে যে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিই সেখানে প্রধান আলোচনার বিষয়। শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
কোহলি ও রোহিতকে ছাড়া বিশ্বকাপের দল অসম্পূর্ণ, মত শ্রীকান্থের

২০২৭ সালে ওডিআই বিশ্বকাপ। তাও আবার ঘরের মাঠে। সেখানেই রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli) ছাড়া ভারতের বিশ্বকাপ(Odi World Cup 2027) স্কোয়াড ভাবাই যায়না। মনে করছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার কৃষ্ণ্মাচারিয়া শ্রীকান্ত(Kris Srikkanth)। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে রাঁচিতে প্রথম ওডিআই-এ দুই তারকার পারফরম্যান্স দেখার পর থেকেই রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli) নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জোর চর্চা। বিশ্বকাপের মঞ্চেও এই দুই তারকাকে দেখতে চান ভারতীয় দলের প্রাক্তন ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষবার ওডিআই ম্যাচে নেমেছিল টিম ইন্ডিয়া(Team India)। সেখানেই খেলেছিলেন রোহিত শর্মা(Rohit Sharma) এবং বিরাট কোহলি(Virat Kohli)। প্রায় একমাস পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নেমেছে তারা। প্রথম ম্যাচেই বিধ্বংসা পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের দুই তারকা ক্রিকেটারের। প্রথম ম্যাচেই রাঁচিতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বিরাট কোহলি। কার্যত ভারতীয় দলের এই বিরাট রান যে কোহলির(Virat Kohli) সেঞ্চুরির জন্যই সম্ভব হয়েছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একইসঙ্গে রোহিত শর্মার অর্ধশতরানের ইনিংস। ভারতের ৩৪৯ রানের মধ্যে এই দুই ব্যটারের মিলিত রান ১৯২। রোহিত এবং কোহলির এই পারফরম্যান্স দেখার পর থেকেই উচ্ছ্বসিত শ্রীকান্থ। বেশ কয়েকদিন ধরেই তাদের বয়স, ফিটনেস নিয়ে নানান কথাবার্তা হচ্ছিল। কিন্তু বিরাটদের ক্ষেত্রে যে এই সব নিয়ে আলোচনার করার সময় এখনও আসেনি, সেটা যেন প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে মাঠে নেমেই বুঝিয়ে দিলেন দুই তারকা। শ্রীকান্থ বিশ্বকাপের মঞ্চে রোহিত এবং কোহলিকে ছাড়া ভারতীয় দল ভাবতেই পারছেন না। প্রাক্তন এই ক্রিকেটারের মতে, “কোহলি এবং রোহিত আলাদাই লেভেলে ক্রিকেটটা খেলছে। তাদের ছাড়া ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের কোনও পরিকল্পনাই যেন ভাবা যাবে না। একদিকে রোহিত এবং অন্যদিকে বিরাট কোহলিকে রাখতেই হবে। যদি বিরাট এবং রোহিত ২০ ওভারও ব্যাটিং করে ফেলেন, তবে প্রতিপক্ষ যে শেষ সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচেই সেটা দেখা গেল”। ২০২৭ সালের ওডিাই বিশ্বকাপের মঞ্চে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলিকে(Virat Kohli) দেখা যাবে কিনা সেটা নিয়েই এখন জোর চর্চা। শোনাযাচ্ছে ভারতের ওডিআই সিরিজে তাদের পারফর্ম্যান্স দেখে এবং ফিটনেস বোঝার পরই নাকি সিদ্ধান্ত নেবেন কোচ থেকে নির্বাচকরা। কিন্তু রাঁচিতে প্রথম ম্যাচেই বিধ্বংসী ফর্ম দেখিয়েছেন দুই তারকা। একজনের বয়স ৩৭ তো আরেকজনের বয়স ৩৮। কিন্তু তাদের খেলা দেখে সেসব কিছুই যেন বোঝা যাচ্ছে না। সাফ বার্তা শ্রীকান্থের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এখনও দুটো ওডিআই ম্যাচ বাকি রয়েছে। সেখানেও রোহিত এবং বিরাটের দিকেই যে সকলে তাকিয়ে তা বলাই বাহুল্য।