ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের জামিনের আবেদন খারিজ

যুবতীকে ধর্ষণের মামলায় (rape case) অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের (Trinamool Congress Councilor) জামিনের আবেদন খারিজ করল সিউড়ি জেলা জজ কোর্ট (Suri District Judge Court)। অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলরের নাম প্রিয়নাথ সাউ (Priyanath Shaw)। তিনি বীরভূমের রামপুরহাট পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর। গত ২৯ অক্টোবর বীরভূমের রামপুরহাট থানায় প্রিয়নাথ সাউ-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এক যুবতী। তারপর থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি রামপুরহাট থানার পুলিশ। এরপর জামিন চেয়ে গত ৩ নভেম্বর সিউড়ির জেলা জজ কোর্টে আবেদন করে অভিযুক্ত কাউন্সিলর। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৩ নভেম্বর হেয়ারিং ছিল। কিন্তু ১৩ নভেম্বর অভিযুক্তের আইনজীবী আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করেন। আজ সেই মামলার হেয়ারিং ছিল। মামলায় অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউ-এর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন বিচারক। এদিকে যুবতীর অভিযোগ, অভিযুক্ত কাউন্সিলর প্রকাশ্যে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকী তাঁকে নাকি হুমকিও দিচ্ছেন। অথচ রামপুরহাট থানার পুলিশ বা তদন্তকারী আধিকারিক তাকে খুঁজে পাচ্ছেন না। শাসক দলের প্রভাবশালী কাউন্সিলর হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করতে পারছে না রামপুরহাট থানার পুলিশ। অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ওই যুবতী।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে ধানক্ষেত থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার

কন্যা সন্তান বলেই সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে ব্যাগে ভরে ছুঁড়ে ফেলা হল। ব্যাগে ভরা সদ্যোজাত শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার। তার মাথার পেছনে চোট। ছুঁড়ে ফেলাতেই শিশুকন্যার মৃত্যু (child death) হয়েছে বলে অনুমান গ্রামবাসীদের। সোমবার মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর (Malda Harischandrapur) থানার ভিঙ্গল গ্রামে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হল সদ্যজাত একটি শিশুকন্যার মৃতদেহ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। সকালে ধান কাটতে এসে স্থানীয় কয়েকজন প্রথমে দেখতে পান একটি ব্যাগ পড়ে আছে ধানক্ষেতে। ব্যাগ খুলতেই নজরে আসে সদ্যজাত কন্যাশিশুর নিথর দেহ। শিশুটির শরীরে মিলেছে হাসপাতাল বা নার্সিংহোমের ট্যাগ। সঙ্গে ঘটনাস্থলেই পড়ে ছিল একটি ব্যাগ ও কাপড়। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, জন্মের পর শিশুটিকে ব্যাগে ভরে রাস্তার দিক থেকে ধানক্ষেতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এতে মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন গ্রামবাসীরা। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কন্যাসন্তান হওয়ায় কি এভাবে ফেলে দেওয়া হল? নির্মম ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। কে বা কারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটাল, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ভিঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা শেখ আলম বলেন, “এভাবে সদ্যজাত শিশুকে ফেলে যাওয়া সত্যিই হৃদয়বিদারক। সকালে আমরা গ্রামবাসীরা জেনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। মাথায় আঘাতের দাগ স্পষ্ট ছিল। এমন অমানবিকতার কোনও ক্ষমা নেই।” পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটির জন্ম কোথায় হয়েছে এবং মৃতদেহ ফেলার নেপথ্যে কারা রয়েছে— তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ।
বীরভূমের শ্রীনিকেতন কিষান মান্ডিতে চাষিদের বিক্ষোভ

সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী ধান জমা দিচ্ছেন কৃষকরা। কিন্তু বাস্তবে প্রতি কুইন্টালে প্রায় ৪ কেজি করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগে সোমবার উত্তাল হয়ে উঠল বীরভূমের (Birbhum) শ্রীনিকেতন কিষান মান্ডি(Sriniketan Kisan Mandi)। দীর্ঘদিন ধরেই এই কাটাকাটি, মাপজোকে গরমিল ও প্রশাসনিক আচরণে ক্ষুব্ধ ছিলেন চাষিরা। আজ সেই ক্ষোভই বিস্ফোরিত হল মান্ডির মধ্যে। কৃষকদের অভিযোগ, একজন কৃষকের ধান জমা দেওয়ার মোট অধিকার ৪৫ কুইন্টাল। অথচ পুরো ধান একবারে নেওয়ার পরিবর্তে তিন দফায় ১৫ কুইন্টাল করে জমা দিতে হচ্ছে। এর ফলে একেকজন কৃষককে দু’-তিনবার করে লেবার দিতে হচ্ছে। তার ফলে বাড়তি খরচ যেমন পড়ছে, তেমনই সময় নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি বাড়ছে ধান পরিবহনের ঝক্কি। এতে চাষিদের আর্থিক ক্ষতি যেমন হচ্ছে, তেমনি প্রশাসনিক নীতিকেও প্রশ্নের মুখে ফেলছে। এই ইস্যুতে কৃষকরা যখন সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে যান, তখনই শুরু হয় উত্তপ্ত তর্কাতর্কি। তাদের অভিযোগ, ধান কাটাকাটি ও মাপজোকের অসঙ্গতি নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই উত্তেজনা ছড়ায়। পরিস্থিতি এতটাই গরম হয় যে পুলিশের সামনেই এক সরকারি ফুড অফিসারের কলার ধরে ফেলেন ক্ষুব্ধ কৃষকরা। শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও পরিস্থিতি সামাল দিতে বেশ বেগ পেতে হয়। এই ঘটনার জেরে মান্ডি চত্বরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। কৃষকদের দাবি—একদিকে কম দামে ধান বিক্রি, তার ওপর মাপজোকের গরমিল ও প্রশাসনিক জটিলতা—সব মিলিয়ে তাঁদের নাজেহাল হতে হচ্ছে। অভিযোগের যথাযথ তদন্ত ও কাটাকাটি বন্ধ করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া চালুর দাবিতে আজকের বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
চলে গেলেন বলিউডের “বীরু”, শেষকৃত্যে তারকাদের ঢল

আর কয়েকদিন পরই ৯০ তম জন্মদিন। কিন্তু তার আগেই থেমে গেল “বীরু”। বসন্তীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ভেঙে এবার না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বলিউডের “ইয়ামলা পাগলা দিওয়ানা”। ৮৯ বছর বয়সে বার্ধক্যজনিত রোগে প্রয়াত হলেন বলিউডের কিংবদন্তী অভিনেতা ধর্মেন্দ্র(Dharmendra)। তাঁর প্রয়ানে শোকের ছায়া ভারতীয় সিনেমা জগতে। কারোর বন্ধু তো কারোর আবার মেন্টর। বীরুকে শেষযাত্রায় দেখতে উপস্থিত জয়ও। ধর্মেন্দ্রকে(Dharmendra) শেষ বিদায় জানাল গোটা বলিউড। গোটা ভারতবর্ষে ধর্মেন্দ্র সিং দেওলের(Dharmendra) ভক্তের সংখ্যা অগুন্তী। তাঁর রোমান্টিক সিনেমা থেকে অ্যাকশন হিরো হিসাবে প্রতিটি সিনেমাই জায়গা করে নিয়েছে ভারতীয় সিনেমা প্রেমিকদের মনে। তবে প্রতিটা ভারতবাসীর কাছে আজও তিনি সবচেয় প্রিয় শোলের বীরু হয়েই। তাঁর প্রতিটা ডায়লগ এখনও ঘোরে প্রতিটা প্রজন্মের সিনে প্রেমিদের মুখে মুখে। সেই মহা নক্ষত্রেরই এবর পতন হল। চলে গেলেন না ফেরার দেশে। গত অক্টোরের শেষেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র(Dharmendra)। সেই সময়ই বিভিন্ন মাধ্যমে রটে গিয়েছিল তাঁর প্রয়াত হওয়ার খবর। যদিও সেই সময় সেই রটনা মিথ্যা বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ধর্মেন্দ্র পরিবারের তরফে। মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলিউডের কিংবদন্তী। এই সোমবারই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর খবরে সকলেই শোকাচ্ছন্ন। ২০২৪ সালে শেষ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল ধর্মেন্দ্রকে। এছাড়াও আগামী ২৫ ডিসেম্বর আরও একট সিনেমা রিলিজ হবে ধর্মেন্দ্রর। এছাড়া তাঁর কেরিয়ারে রয়েছে ৩০০টিরও বেশি সিনেমা। বহু সুপার হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সেই তালিকায় শোলে যে ধর্মেন্দ্র সিনেমার কেরিয়ারের আলাদাই জায়গায় রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই ধর্মেন্দ্রই এবার চলে গেলেন চির নিদ্রায়। তাঁর মৃত্যুতে শোকাচ্ছন্ন স্ত্রী হেমা মালিনি। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন ছয় সন্তানকে। তারাও সিনেমা জগতের উল্লেখযোগ্য নাম। সানি দেওল, ববি দেওলরা যেমন উজ্জবল নক্ষত্র। তেমনই একসময় অভিনয়ে ছাপ ফেলেছিলেন তাঁরই কন্যা এষা দেওলও।