মালদায় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগ

মালদায় আবারও তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। সমবায়ের জমি নিজের মনে করে গোপনে বেচে দিলেন বিধায়ক (Trinamool MLA)। তাও আবার জলের দরে, মাত্র ২১ লক্ষ টাকায়। রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখার্জির (Samar Mukherjee) বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন সমবায় সমিতির (Malda Co-operative Society) কর্মকর্তারা। গোটা ঘটনা নিয়ে বিধায়কের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। সমগ্র ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার সামসি এলাকায়। যদিও জমি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তবে তা নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমবায়ের চেয়ারম্যান সহ সকল সদস্যের অভিযোগ, ২০২১ সালে সোসাইটির স্পেশাল অফিসার থাকাকালীন চাঁচলের সিঙ্গিয়া মৌজার ৬১৩ খতিয়ানের ২১৯৬/২৬৭৭ নং দাগের ১৩ শতক জমি জলের দরে বিক্রি করেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। ওই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা বলে দাবি করেন সোসাইটির চেয়ারম্যান সহ অন্যান্যরা। অথচ, মাত্র ২১ লক্ষ টাকায় সোসাইটির সেই ১৩ শতক জমি বিক্রি করে দু’বছর পর্যন্ত সেই টাকা নিজের পকেটে রাখেন তৎকালীন স্পেশাল অফিসার তথা বিধায়ক। পরবর্তীতে বিষয়টি জানাজানি হতেই ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে মালদা ডিস্ট্রিক্ট সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের সামসি ব্রাঞ্চের এ্যাকাউন্টে জনৈক রেজাউল আলম নামক এক ব্যক্তি আরটিজিএস-এর মাধ্যমে সেই টাকা জমা দেন। সেই টাকার উৎস জানতে না পেরে ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে চাপ দেন সোসাইটির কর্ণধাররা। এরপরেই সম্পত্তি বিক্রির বিষয়টি নিয়ে নড়েচড়ে বসে সোসাইটি কর্তৃপক্ষ। সোসাইটির বক্তব্য, সমর মুখোপাধ্যায় জমিটি বিক্রি করতে পারেন না। কারণ সেই সম্পত্তির অংশীদার সোসাইটির ব্যক্তিসভ্য, সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ফলে সামসি কো-অপারেটিভ মার্কেটিং সোসাইটির রেজ্যুলেশন ছাড়া সেই জমি এককভাবে কেউ বিক্রি করতে পারেন না। সমস্ত সদস্যদের অন্ধকারে রেখে এই জমি বিক্রি করেছেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। দপ্তরের তরফে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং সেই তদন্তের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে তা পাঠানো হয়। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে রতুয়ার বিধায়ক তথা সামসি মার্কেটিং সোসাইটির তৎকালীন স্পেশাল অফিসার সমর মুখোপাধ্যায়কে দোষী সাব্যস্ত করা হলেও তার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ শুরু হয়েছে সোসাইটির পরিচালন সমিতিতে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা জমি বিক্রির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রতুয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা সামসি কো-অপারেটিভ সোসাইটির স্পেশাল অফিসার সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই। চক্রান্ত করে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে। আমার ছবি ও সিগনেচার জাল করা হয়েছে।”
রেকর্ড গড়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দশ নম্বর বার শপথ নিচ্ছেন নীতিশ

বিহারের(Bihar) রাজনীতিতে নতুন ইতিহাস তৈরি করলেন নীতিশ কুমার(Nitish Kumar)। শুধুমাত্র বিহারেই নয়, গোটা ভারতের রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশিবার মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন নীতিশ কুমার(Nitish Kumar)। বুধবারই তাঁকে সর্ব সম্মতিক্রমে এনডিএ-র(NDA) নেতা হিসাবে বেছে নেওয়া হল। আগামী বৃহস্পতিবারই ঐতিহাসিক গান্ধী ময়দানে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন নীতিশ কুমার। বুধবার রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন নীতিশ(Nitish Kumar)। এসআইআর(SIR) পরবর্তী প্রথম ভোট হয়েছে বিহারে। সমস্ত এক্সিট পোল থেকে হিসাব নিকাশকে ভুল প্রমাণ করে বিহারে(Bihar) ফের একবার ক্যমতায় এসেছে এনডিএ(NDA) জোট। তাও আবার ঐতিহাসিক ফলাফল হয়েছে তাদের। এনডিএ জোট এবার ২০০-এর ওপর আসন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। সেখানে আবার জোট শরিক হিসাবে এনডিএ-র মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট পেয়েছে বিজেপি(BJP)। এরপর থেকে আরেকটা নতুন গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এনডিএ জোট থেকে কী এবার বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছে। এমনই নানান প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে সেই নীতিশ কুমারের(Nitish Kumar) ওপরই আস্থা রাখল এনডিএ জোট। বুধবারই সর্ব সম্মতিক্রমে বিহারে এনডিএ-র নেতা হিসাবে নীতিশ কুমারকেই বেছে নেওয়া হল। এই নিয়ে দশবার মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে চলেছেন নীতিশ কুমার। যা এখনও পর্যন্ত ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এর আগে কোথাও দেখা যায়নি। সেটাই এবার বিহারে দেখা যেতে চলেছে। ভারতীয় রাজনীতিতে এবার এক নতুন ইসিহাস লিখলেন নীতিশ কুমার। বুধবারই রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন নীতিশ। বৃহস্পতিবার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ গ্রহন করবেন নীতিশ কুমার।
SIR-এ বলি ২৮! নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রাজ্যে এসআইআর(SIR) শুরু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক চাপানউতোর বাড়তে শুরু করেছে। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এবার এসআইআরের জন্য তৈরি হওয়া আতঙ্ক এবং একের পর এক আত্মহত্যার ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের(Election Comission) বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কার্যত নির্বাচন কমিশনের অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের জন্যই নাকি এখনও পর্যন্ত ২৮ জনের প্রাণ গিয়েছেন বলেই মনে করছেন মমতা(Mamata Banerjee)। রাজ্যে এসআইআর(SIR) প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে আত্মহত্যার ঘটনা শোনা যাচ্ছে। এমনকি বিএলও-রাও নাকি অত্যন্ত বিধ্বস্ত। ইতিমধ্যেই বুধবার সকালে মালবাজারে এক মহিলা বিএলও-র(BLO) ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবী নাকি এই কাজের চাপের জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন সেই বিএলও। এই সমস্ত ঘটনা নিয়েই এবার সরব হয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। তাঁ সাফ বার্তা, নির্বাচন কমিশনের এমন অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের জন্যই নাকি মূল্যবান প্রাণগুলো চলে যাচ্ছে। বুধবারই এক্স হ্যান্ডেলে এই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, “আজ আরও একজন বিএলওকে হারালাম। অঙ্গনওয়াড়িতে কাজ করতেন ওই মহিলা। এসআইআরের এত চাপ নিতে পারেননি।’ সেখানেই মমতা লেখেন, ‘অপরিকল্পিতভাবে একটা কাজ শুরু করে, কর্মীদের এত চাপ দেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফে যার জেরে মূল্যবান প্রাণ চলে যাচ্ছে। যে কাজ করতে আগে ৩ বছর সময় নেওয়া হয়েছে, রাজনীতির কারণে এবার তা ২ মাসে করা হচ্ছে।“ এই মাস থেকেই শুরু হয়েছে এসআইআর(SIR)। তার আগে নির্বাচন কমিশনের তরফে বলে দেওয়াই হয়েছে যে ২০০২ সালে যাদের নাম রয়েছে বা আত্মীয়দের নাম রয়েছে। তাদের কোনওরকম চিন্তা নেই। তবুও মানুষের মনেন নানান প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। সেইসঙ্গে চলছে নানান হিসাব নিকাশও।