সম্প্রীতিতে জোর তৃণমূলের, সমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন মমতা ও অভিষেক

ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের এক বছরেরর কম সময় বাকি। এই মুহূর্তে রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর(SIR) প্রক্রিয়া। সেই পরিস্থিতিতেই সংহতি ও সম্পৃতির ওপর জোর তৃণমূল কংগ্রেসের। আগামী ৬ ডিসেম্বর রাজ্যে বিরাট ভাবে পালিত হতে চলেছে সংহতি দিবস(Sanhati Divas)। সেখানেই উপস্থিত থাকতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্বোভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এখন থেকেই কোমড় বাঁধছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। প্রতিবছরই ৬ ডিসেম্বর রাজ্যে পালিন করা হয় সংহতি দিবস। এবারও যে তার অন্যথা হবে না তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে সেই দিনকে কেন্দ্র করে এবার তৃণমূলের(TMC) তরফে মলা সমাবেশ করারই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে মেয়ো রোডের এই সমাবেশ উপস্থিত থাকতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়(Abhishek Banerjee)। এই সমাবেশ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের ছাত্র যুব ও সংখ্যা লঘু সংগঠনকে। দলের অন্যতম মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদারের তরফে জানানো হয়েছে, ”প্রতি বছর ৬ ডিসেম্বর সংহতি দিবস পালিত হয়, এটা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের দিনটিতে জাতীয় ঐক্য, সম্প্রীতি দিবস হিসেবে পালন করা হয় প্রতি বছর। এবারও সেটাই হবে। আমাদের ছাত্র, যুব সংগঠন, সংখ্যালঘু সংগঠন মিলে তার আয়োজন করছে। সকলে আমরা ওই অনুষ্ঠানে অংশ নেব।” সেদিনের সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরই যে সবচেয়ে বেশি নজর রয়েছে সকলের তা বলাই বাহুল্য। সেদিনের সমাবেশ থেকে তারা কী বার্তা দেন সেটাই দেখার।
এসআইআরের জন্য ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না, সতর্ক করল নির্বাচন কমিশন

এসআইআরের(SIR) জন্য কোনওরকম ওটিপি পাঠানো হচ্ছে না। মঙ্গলবার সরকারীভাবে জানিয়ে দেওয়া হল নির্বাচনী কমিশনের(Election Comission) তরফে। এই মাসেই রাজ্যে শুরু হয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। এই নিয়ে সকলের মনে নানান প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতেই আরও এক সমস্যা দেখা দিয়েছিল। হঠাৎ করেই এসআইআরের(SIR) জন্য কমিশনের তরফ থেকে নাকি ফোন করে ওটিপি(OTP) চাওয়ার অভিযোগ উঠতে থাকে। এসআইআরের জন্য যে কোনওরক কোনও ওটিপি নির্বাচন কমিশনের তরফে চাওয়া হচ্ছে না সেই কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। মঙ্গলবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের(Election Comission) তরফে। সেখানে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে এসআইআরের(SIR) জন্য কোনওরকম ওটিপি কিছু চাওয়া হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরেই বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে এসআইআরের নাম করে ওটিপি চাওয়ার একটা অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এটা যে নির্বাচন কমিশনের তরফে একেবারেই হচ্ছে না তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কোনও অসাধু সংস্থাই যে নির্বাচন কমিশন এবং এসআইআরের নাম করে জালিয়াতি করার ফাঁদ পেতেছে তাও বেশ স্পষ্ট। এদিন নির্বাচন কমিশনেক তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, ‘‘সবার অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে, ভারতের নির্বাচন কমিশন বা পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কার্যালয়ের তরফে কোনও ওটিপি চাওয়া হচ্ছে না। স্পেশ্যাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা ভোটার তালিকা সংশোধন সম্পর্কিত কোনও কাজের জন্য কোনও মোবাইল নম্বরে কোনও ওটিপি চাইবে না ৷’’ গত ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়েছে এসআইআর(SIR) প্রক্রিয়া। ফর্ম বিলি করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এবার জমা নেওয়ার কাজ শুরু করবেন বিএলও-আধিকারিকরা।