দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, উদ্বেগ মোদীর, শোকপ্রকাশ মমতার

সোমবার সন্ধ্যায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল রাজধানী শহর দিল্লি। দিল্লির ঐতিহাসিক লালকেল্লার (Delhi Red Fort) কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে (explosion) মৃত্যু হল অন্ততপক্ষে ১০ জনের। আহতদের সংখ্যা ৩০ জনেরও বেশি। ঘটনাটি ঘটেছে লাল কেল্লা মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে পার্ক করা একটি গাড়িতে। বিস্ফোরণের মাত্রা এতটাই তীব্র ছিল যে আশপাশের দোকানগুলির দরজা-জানালা ভেঙে যায়, মুহূর্তে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ও ব্যাপক বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। দিল্লি পুলিশের (Delhi Police) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিট নাগাদ ওই গাড়ির ভেতরেই বিস্ফোরণ (explosion) ঘটে। মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আরও তিনটি গাড়িতে। দমকল বিভাগের অন্তত ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে এলএনজেপি (LNJP) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এখনও পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ৩০ জন। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে আটক করেছে। দিল্লি পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং এনআইএ (NIA) ও এনএসজি (NSG)-এর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে, গাড়িটির ভেতরে বিস্ফোরক পদার্থ রাখা ছিল। এই বিস্ফোরণের পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা অফিসাররা। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ হঠাৎ প্রবল শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “আমরা রাস্তার ধারে একটি গাড়িতে বসেছিলাম, হঠাৎ প্রবল আওয়াজে চারপাশ কেঁপে ওঠে। আমাদের পিছনের গাড়িটিতে মুহূর্তে আগুন জ্বলে যায়।” বিস্ফোরণের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় দিল্লি পুলিশ ও বোমা নিষ্ক্রিয়কারী টিম। পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে শুরু হয় চিরুনি তল্লাশি। এই ঘটনার পর গোটা দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। রেলস্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। ভারত-নেপাল সীমান্তেও জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। এই ঘটনা সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনেছেন। অমিত শাহ নিজেও দিল্লি পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং ঘটনাস্থলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের জেরে রাজধানীর নিরাপত্তা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও এই ঘটনার পেছনে কোনও সন্ত্রাসবাদী যোগ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে। অন্যদিকে দিল্লির এই বিস্ফোরণে মৃতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি এক্স-হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে লিখেছেন, “দিল্লিতে মর্মান্তিক বিস্ফোরণের খবর শুনে আমি গভীরভাবে শোকাহত। যাঁরা তাঁদের প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের প্রতি রইল আন্তরিক সমবেদনা। আহত সকলের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
বছর শেষের আগেই রাজ্যে বাড়ছে মদের দাম

বর্ষবরণের উৎসবের আগেই সুরাপ্রেমীদের জন্য খারাপ খবর। রাজ্যে বাড়ছে মদের(Wine) দাম। ডিসেম্বরের শেষেই বিরাট উৎসব। বর্ষবরণের(New Year Celebration) উদযাপনে রাত জাগবে গোটা শহর। কিন্তু তার আগেই বেড়ে যাচ্ছে মদের দাম। অর্থাৎ আগামী ১ ডিসেম্বর থেকেই বাড়তে চলেছে মদের(Wine) দাম। সেভাবেই ইতিমধ্যে আবগারি দফতরের(Excise Department) তরফে বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়ে গিয়েছে। আগামী মাসের শুরু থেকেই নয়া আবগারি শুল্ক কার্যকরী হতে চলেছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের আবগারি দফতরের পক্ষ থেকে মদ(Wine) প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে জানানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, যে সমস্ত হোলসেল এবং ডিস্ট্রিবিউটর আছেন তাঁদেরকেও এই বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে যে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে যাবতীয় পুরনো স্টক শেষ করে ফেলতে হবে। এরপর ১ ডিসেম্বর থেকে তুন দামেই বিক্রি করতে হবে মদ। যদি পুরনো স্টকের জিনিস থেকে যায়, তবে সেগুলোও এই নতুন দাম অনুযায়ীই বিক্রি করতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দেশি, বিদেশি সহ সব ব্র্যান্ডেই দজাম বাড়ছে। তবে আপাতত এই আওতার বাইরে রয়েছে বিয়ার। দেশি এবং বিদেশি ব্র্যান্ড গুলোতে সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়তে চলেছে। এছাড়া ক্রেতাদের মধ্যে যাতে কোনওরকম বিভ্রান্তি না ছড়ায় সেই দিকেও নজর রাখা হয়েছে। বলা হয়েছে যে সেখানেও নাকি প্রতিটা বোতলের উপরই নাকি স্টিকার লাগানো থাকতে হবে। শোনা যাচ্ছে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অনেকটাই রাজ্য সরকারের রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
SIR-এর নামে সুপার ইমার্জেন্সির চেষ্টাঃ কেন্দ্রকে তোপ মমতার

এসআইআর(SIR) নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। মন্তব্য-পাল্টা মন্তব্য জুড়ে নির্বাচনের আগে থেকেই যেন তেতে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতির আসর। এবার উত্তরবঙ্গ স্টেডিয়াম থেকে ফের একবার বিজেপি(BJP) ও অমিত শাহের(Amit Shah) বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এসআইআর নিয়ে কেন এত তাড়াহুড়ো তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন মমতা। এমনকি অমিত শাহের ইস্তফাও দাবী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। গত সপ্তাহের চার নভেম্বর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে এসআইআর(SIR)। সেই নিয়েই এখন কার্যত রাজনীতির উত্তাপের মাত্রা ক্রমশই চড়তে শুরু করেছে। যেদিন থেকে এসআইআর(SIR) শুরু হয়েছে, সেদিনই পথে নেমেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee), অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। এই মুহূ্র্তে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মমতা। সেখানে প্রসাসনিক বৈঠক থেকেও অমিত শাহ সহ বিজেপিকে নিশানা করতে ছাড়লেন তিনি। মমতার সরাসরি অভিযোগ এসআইআরের নাম নিয়ে নাকি রাজ্যে সুপার ইমার্জেন্সি পরিস্থিতি তৈরি করার পরিকল্পনা চলছে। এই মুহূর্তে রাজ্যে জোরকদমে চলছে এসআইআর প্রক্রিয়া। শোনাযাচ্ছে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারিই নাক চূড়ান্ত ফল প্রকাশ হতে পারে। খুব সম্ভবত তারপরই ঘোষণা হতে পারে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ। আর সেখানেই কেন এত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে সেটা নিয়েই এবার সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।