এক ভোটার কার্ড দুই ব্যক্তির, চাঞ্চল্য শীতলকুচিতে

দুই ব্যক্তির এক ভোটার কার্ড(Voter Card)। এসআইআর(SIR) শুরু হওয়ার আবহে হঠাৎই একই ভোটার কার্ড নিয়ে দ্বন্দ্ব দেখা দিল শীতলকুচিতে। শেষপর্যন্ত ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দুই ব্যক্তির একই এপিক নম্বর থেকে একই কার্ড। আর এই নিয়েই গোলযোগ বাধে এলাকায়। সেখানেই সকলের অভিযোগ এই দুজনের মধ্যে একজন নাকি বাংলাদেশি। বুধবার এমনই ঘটনার চিত্র দেখা গেল শীতলকুচি ব্লকের ছোট শালবাড়ি অঞ্চলের অন্তর্গত বড় গদাইখোঁড়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে এস.আই.আর(SIR)- এর কাজ । আর এই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বি এল ও (BLO) বাড়ি বাড়ি ফর্ম ফর্ম পৌছে দেওয়ার কাজ শুরু করেছেন । আর ঠিক এই সময়ে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় এক যুবকের নাম মেহেবুব আলম তার এই ২০২৫ সালের আগে ভোটার লিস্টে নাম আছে । তবে তালিকায় বাবার নাম গরমিল রয়েছে । সেটাই যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়। একই এপিক নাম্বারে অন্য এক ব্যক্তির ছবি রয়েছে সঙ্গে বাবার নামও পরিবর্তন হয়েছে। তবে দুজনের ব্যক্তির নাম মেহেবুব আলম। কিন্তু স্থানীয়দের বক্তব্য ভোটার তালিকায় নতুন যে ছবিটি রয়েছে সেই ছবির ব্যক্তি বাংলাদেশি । কারচুপি করে এপিক নম্বর ঠিক রেখে বাবার নাম ও ছবি পরিবর্তন করে দেয়। এই ঘটনায় জানাজানি হওয়ার পর ঘটনাস্থলে মানুষ জড়ো হয় এবং চাঞ্চল্য তৈরি হয় ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শীতলকুচি থানার পুলিশ এবং অভিযুক্ত ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ জানাই গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।
অশান্তির জের! ছেলে বর্ডারে রেখে পালাল বাবা

বাবা-মায়ের অশান্তির জেরে অসহায় ১০ বছরের তমাল ঘোষ। নিজের সন্তানকে রাতের অন্ধকারে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ছেড়ে পালাল বাবা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এাকার লোকজনের নজর পড়ার পরই অবশ্য শিশুটিকে উদ্ধার করেছে বসিরহাচ থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই তাঁর বাবা-মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বসিরহাট থানার পুলিশ। এমন ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই এলাকায় বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাতের অন্ধকারে একজন বাবা কীভাবে তাঁর সন্তানের সঙ্গে এমনটা করতে পারে তা নিয়েও উঠেছে নান প্রশ্ন। রাত্রি বেলা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ বর্ষীয় তমাল ঘোষকে ছেড়ে দিয়ে চলে যান বাবা পিন্টু ঘোষ। তাঁর কান্নাকাটির শব্দেই ছুটি এসেছিলেন এলাকাবাসীরা। আপাতত পুলিশের কাছেই রয়েছেন সেই বাচ্চাটি। কিন্ত কেন এমনটা করা হয়েছে, তা নিয়ে খোঁজখবর নিতেই বেড়িয়ে আসছে অন্য তথ্য। শোনাযাচ্ছে পিন্টু ঘোষ এবং তাঁর স্ত্রীয়ের মধ্যে ঝামেলার জন্যই নাকি এমনটা হয়েছে। তমাল ঘোষ, বয়স ১০ বছর, চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে । মঙ্গলবার রাতে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা প্রসন্ন কাটি এলাকায় তাকে জামাকাপড় সহ ছেড়ে দিয়ে চলে যায় তার বাবা পিন্টু ঘোষ । অন্ধকার এলাকায় বাচ্চাটি কান্নাকাটি শুনতে পায় এলাকার মানুষ । তারা এসে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে এবং তাকে খাইয়ে-দাইয়ে সান্ত্বনা দিয়ে শান্ত করায় । এবং পরে বসিরহাট থানায় খবর দিলে বসিরহাট থানার পুলিশ গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে । বাবা ও মায়ের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে পুলিশের পক্ষ থেকে । জানা গেছে বাচ্চাটির বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার কাঠপোল এলাকায়। তার মা মাধবী ঘোষ এর সাথে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাবা পিন্টু ঘোষের সাথে ঝামেলা হতো। সেই ঝামেলা ছাড়াছাড়ির পর্যায় চলে যায় । সন্তান তোমাল ঘোষকে শশুর বাড়িতে রেখে মা মাধবী ঘোষ তার বাপের বাড়িতে চলে যায় । মাত্র কয়েকটা দিন কাটতে না কাটতেই বাবা পিন্টু ঘোষ বাচ্চাটিকে নিয়ে তার মায়ের কাছে দিতে যায়। কিন্তু মা নিতে অস্বীকার করায় বাচ্চাটিকে মোটরসাইকেলে করে তুলে এনে বসিরহাটের সীমান্ত এলাকা প্রসন্নকাটি এলাকায় ছেড়ে চলে যায় । এরপর এলাকার মানুষ বসিরহাট থানায় খবর দিলে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেছে বসিরহাট থানার পুলিশ। বাচ্চাটির কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে বাচ্চাদের বাবা ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছে বসিরহাট থানার পুলিশ।