রাজ্যের মন্ত্রীর কেন্দ্রেই বেহাল হাসপাতাল, কটাক্ষ বিরোধীদের

এবার মন্ত্রীর গড়ে সরকারি হাসপাতালের কঙ্কালসার চেহারা প্রকাশ্যে এলো সামাজিক মাধ্যমে, সাপে কাটা রোগীকে নিয়ে এসে বেড না পেয়ে স্যালাইন চালানো অবস্থায় শুইয়ে রাখা হলো ব্যক্তিগত গাড়িতে, সেই পরিস্থিতিতে ফেসবুক লাইভ করে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ রোগীর দাদার, এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে ধান্দাবাজ বলে আক্রমণ, সামাজিক মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে ভাইরাল ভিডিও, পাল্টা প্রতিবাদী কে পাগল বললেন মন্ত্রী, আক্রমণের সুর চড়িয়েছে বিজেপি, শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। হরিশ্চন্দ্রপুরের সোনাকুল এলাকায় এক যুবককে এদিন সাপে কামড়ায়। সাথে সাথে তার দাদা ওয়াসিম আক্রম ব্যক্তিগত গাড়িতে করে তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রথমে জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। তারপর বলা হয় তাকে কয়েক ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।স্যালাইন চালিয়ে দিয়ে বলা হয় বসতে।কিন্তু কোন বেড মেলে না। এমন কি ছিল না বসার জায়গা পর্যন্ত । হাসপাতালের চারিদিকে ছিল ছাগল কুকুর। সেই পরিস্থিতিতে বাধ্য হয়ে রোগীকে নিয়ে তার দাদা স্যালাইন চালানো অবস্থাতে নিজের ব্যক্তিগত গাড়িতেই নিয়ে যান। তারপর সামাজিক মাধ্যমে লাইভ করেন। সেখানে তিনি হাসপাতালের চূড়ান্ত অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন কে তীব্র আক্রমণ করেন।তাজমুল হোসেন আবার এই হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদেরকেও নিশানা করেন। এই ওয়াসিম আক্রম একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। তার ফেসবুক লাইভ দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়ে পড়ে।এছাড়াও তিনি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।এই ঘটনা সামনে আসতে বিজেপির অভিযোগ অযোগ্য মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। তৃণমূলের নেতা জন-প্রতিনিধিরা চুরি করতেই ব্যস্ত। যদিও এই নিয়ে মন্ত্রী তাজমুলের দাবি যে পরিষেবা বাংলায় পাওয়া যায় তা সারা ভারতে কোথাও পাওয়া যায় না। প্রতিবাদী আইনজীবীকে পাগল বলেন তিনি। প্রসঙ্গত এই হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বেহাল দশা এর আগেও সামনে এসেছে। সীমানা প্রাচীরবিহীন হাসপাতালে ঘুরে বেড়ায় গরু-ছাগল। চারিদিকে আবর্জনা। যদিও এত কিছুর পরেও টনক নড়েনি প্রশাসন বা মন্ত্রীর।যিনি এই হাসপাতালের রোগী কল্যান সমিতির চেয়ারম্যান। সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।
SIR আতঙ্কে আত্মহত্যা ৯৫ বর্ষীয় প্রৌঢ়ের

এসআইআর-এর(SIR) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই মানুষের মধ্যে যেন এক অচেনা আতঙ্ক বাসা বাঁধতে শুরু করেছে। এবার এসআইআরের(SIR) আতঙ্কে আত্যহত্যা করলেন ৯৫ বর্ষীয় এক প্রৌড়। বুধবার রাতেই ইলমবাজারের(Ilambazar) সুভাসপল্লীতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন ৯৫ বর্ষীয় খিসিত মজুমদজার(Khisit Mazumder)। এরপরই তাঁর পরিবারের তরফে অভিযোগ এই এসআইআর(SIR) আতঙ্কেই নাকি তিনি শেষপর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন। এমন পরিণতিতে পরিবার এবং এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মুখে, একটি ভুল ধারণা, একটি আতঙ্ক — শেষ করে দিল এক প্রবীণ মানুষের জীবন।” পশ্চিম মেদিনীপুরের(West Midnapore) কোতালি থানার কোরা পাড়া গ্রামের বাসিন্দা খিসিত মজুমদার(Khisit Mazumder) (৯৫) প্রায় পাঁচ-ছয় মাস আগে মেয়ের বাড়িতে এসেছিলেন ইলামবাজারের স্কুলবাগান সুভাষপল্লীতে। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি মেয়ের কাছেই থাকছিলেন। কিন্তু গত রাত্রে ঘটে যায় এক মর্মান্তিক ঘটনা। এমন ঘটনার পর এসআইআরকেই(SIR) কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে তাঁর পরিবার। তাদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই নাকি এলআইআর নিয়ে একটা অজানা আতঙ্কে ভুগছিলেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, “SIR আতঙ্ক”-ই কেড়ে নিল তাঁর প্রাণ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি তিনি বারবার বলতেন, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই, তাহলে কি আবার বাংলাদেশে ফিরে যেতে হবে? এই আতঙ্কই তাঁকে মানসিকভাবে ভীষণভাবে কাবু করে দেয়। জানা গিয়েছে প্রায় ৩০ বছর আগে খিসিতবাবুর পরিবার পশ্চিমবঙ্গে এসে মেদিনীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। ভোটার তালিকায় নামও ছিল, ভোটও দিয়েছেন বহুবার। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আশেপাশের মানুষজনের মুখে শোনা — “২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলে বাংলাদেশে ফেরত যেতে হবে”— এই কথাই গভীর ভয় সৃষ্টি করে তাঁর মনে। পরিবারের দাবি, সেই ভয় থেকেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হন খিসিত মজুমদার। ইতিমধ্যেই মৃতদেহ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।