দুবরাজপুরে মিলল ‘নরেন্দ্র মোদি’ ও তাঁর দিদি ‘মমতা’ — কাকতালীয় নামেই শহরজুড়ে হাসির রোল

দুবরাজপুরে খোঁজ মিলেছে এমন এক ভাই-বোনের, যাদের নাম শুনে অবাক হচ্ছেন সবাই। ভাইয়ের নাম নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi), আর দিদির নাম মমতা আগরওয়াল মোদি(Mamata Agarwal Modi)। ফলে এলাকায় এখন মজা করে সকলে বলছেন—“যা রাজনৈতিকভাবে সম্ভব নয়, তা দুবরাজপুরে সত্যি হয়েছে!” দুবরাজপুর পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সি নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) পেশায় মুদিখানার ব্যবসায়ী। তিন বোনের মধ্যে এক দিদির নাম মমতা(Mamata)। তাঁদের নাম প্রকাশ্যে আসতেই শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ও হাস্যরসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। স্থানীয়দের মতে, চায়ের দোকান বা বাজারে গেলেই নরেন্দ্র মোদিকে মজা করে ‘প্রধানমন্ত্রী’ বলে ডাকা হয়। দোকানেও লোকজন তাঁকে বসতে দেয়, বলেন—“নরেন্দ্র মোদি এসেছেন, জায়গা দিন।” নরেন্দ্র মোদির(Narendra Modi) মতে, নামটি তাঁর জেঠু রেখেছিলেন বহু বছর আগে, যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রী কেউই আলোচনায় আসেননি। সম্পূর্ণ কাকতালীয় এই নামের মিল এখন তাঁকে এলাকায় জনপ্রিয় করে তুলেছে। দিদি-ভাইয়ের সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ঠ। মাঝে মাঝে ঝগড়া হলেও উৎসব-অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বিনিময় আর উপহার দেওয়া-নেওয়া লেগেই থাকে। দোকানের কর্মচারীদের কাছেও নরেন্দ্র মোদি খুব প্রিয়। তাঁরা বলেন, এই ‘নরেন্দ্র মোদি’ যেমন সৎ ও হাসিখুশি মানুষ, তেমনই সবার আপন। তাই এলাকার মানুষ রসিকতার ছলে বলেন—“দুবরাজপুরেই দেখা মিলল আসল মমতা আর মোদির।”
চিকিৎসার গাফিলতির বলি সদ্যজাত! সিউড়ি সদর হাসপাতাল চত্তর উত্তাল

চিকিৎসায় গাফিলতিতে সদ্যজাতের মৃত্যুর(New Born Baby Death) অভিযোগে উত্তাল সিউড়ির সদর হাসপাতাল(Siuri General Hospital)। বীরভূমের(Birbhum) সিউরি সদর হাসপাতালে এক সদ্যজাতের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই নাকি মৃত্যু হয়েছে এই নবজাতকের। সদ্যজাতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর হাসপাতালেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা থেকে স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ একটাই বারবার বলা সত্ত্বেও নাকি সেই সদ্যজাতের চিকিৎসার কোনওরকম ব্যবস্থা করেনি হাসপাতাল ও চিকিৎসকরা। যদিও বিক্ষোভ দেখালে পাল্টা হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের তরফেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ উঠে এসেছে। ইতিমধ্যেই সুপারের তরফে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেন এমনটা হয়েছে সেটাই দেখা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, সিউড়ির(Siuri) বাঁশঝোড় গ্রামের এক মহিলা চার দিন আগে ওই হাসপাতালে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। জন্মের পর থেকেই শিশুটি অসুস্থ থাকলেও চিকিৎসা না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। তাদের দাবি, একাধিকবার চিকিৎসকদের জানানো সত্ত্বেও বারবার বলা হয় শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ আছে। কিন্তু আজ হঠাৎই মৃত্যু হয় নবজাতকের। এরপরই পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা হাসপাতালে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিযোগ, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কিছু চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা। এমনকি, গালিগালাজেরও অভিযোগ ওঠে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত জনতা। ঘটনা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, “ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত্যু দুঃখজনক, তবে শিশুটিকে বাঁচানো সম্ভব ছিল কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে।” উল্লেখ্য, গত কয়েক মাসে সিউড়ি সদর হাসপাতালে একের পর এক চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠছে। পরপর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ফলে সিউড়ি ও আশপাশের এলাকায় বাড়ছে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও উদ্বেগ
তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, রামপুরহাটে চাঞ্চল্য

বীরভূমে হঠাৎই অস্বস্তিতে তৃণমূল(TMC)। তৃণমূল কাউন্সিলরের(TMC Councellor) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে এলাকায় চাঞ্চল্য। রামপুরহাটের(Rampurhat) তৃণমূলের কাউন্সিলর প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিংকুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন এক তরুণী। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও নাকি এক তরুণীকে অববাহিত হতে পরিচয় দিয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলেই অভিযোগ এই তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। কিন্তু এরপরও প্রশাসনের উদাসীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূলের এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হওয়া সত্ত্বেও কেমনভাবে তিনি দলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকেন তা নিয়েই উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। শোনাযাচ্ছে সেই তরুণীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করার ফলে তিনি নাকি গর্ভবতীও হয়ে পড়েন এবং সন্তানেরও নাকি জন্ম দেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তের নাম প্রিয়নাথ সাউ ওরফে টিংকু। তিনি রামপুরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের দু’বারের কাউন্সিলর এবং দলের টাউন কমিটির সহ-সভাপতি। নির্যাতিতা তরুণী রামপুরহাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, যেখানে ধর্ষণ, প্রতারণা ও প্রাণনাশের হুমকির কথা উল্লেখ আছে। তরুণীর দাবি, ২০১৫ সালে ভোটার তালিকায় নাম তুলতে গিয়ে প্রিয়নাথ সাউয়ের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ভোটার কার্ডের কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে তিনি তরুণীকে নিজের বাড়িতে ডেকে নেন এবং পরে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তরুণী গর্ভবতী হয়ে পড়লে অভিযুক্ত বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রিয়নাথ সাউ। তিনি দাবি করেছেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরও অভিযুক্ত কাউন্সিলরকে দেখা যায় রামপুরহাটের তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে দলের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার ও রামপুরহাটের বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এদিকে, রামপুরহাট থানা সূত্রে জানা গেছে— তরুণীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যে মামলা রুজু হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রামপুরহাট ও আশপাশের এলাকায়।