NRC আতঙ্কে আত্মহত্যা, সোশ্যাল মিডিয়ায় গর্জে উঠলেন মমতা

এনআরসি(NRC) আতঙ্কে আত্মহত্যা পাণিহাটিতে। আর এই ঘটনা নিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। ইতিমধ্যেই রাজ্যে এসআইআরের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তারই মাঝে এনআরসি আতঙ্কে পাণিহাটিতে এক প্রৌড়ের এই আত্মহত্যা কিন্তু ফের তৃণমূলের(TMC) হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ঘটনার পরই সোশ্যাল মিডিয়াতে গর্জে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। বেশ কয়েক মাস আগেই দক্ষিণ কলকাতায় এমনই এনআরসি আতঙ্কে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন এক প্রৌড়। সেই একই ঘটনা এবার উত্তর চব্বিশ পরগনার পাণিহাটিতেও। নিহত পঞ্চাশোর্ধ প্রদীপ কর(Pradeep Kar) উত্তর ২৪ পরগনার মহাজাতিনগরের বাসিন্দা। তাঁর হঠাৎ মৃত্যুতে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মঙ্গলবার তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে তাঁর দেহ। তাঁর ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানেই তাঁর মৃত্যুর জন্য এনআরসি(NRC) দায়ী বলেই লিখেছেন সেই প্রদীপ কর(Pradeep Kar)। আর সেই খবর পাওয়ার পরই ফে একবার বিজেপিকে নিশানা করেছেন মমতা। এই ঘটনা বিজেপির ভয় এবং বিভেদের রাজনীতির ফল বলেই সাফ বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। মমতা(Mamata Banerjee) সোশ্যাল মিডিয়াতে লিখেছেন, “পানিহাটির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মহাজ্যোতি নগরের সাতান্ন বছর বয়সি প্রদীপ কর আত্মঘাতী হয়েছেন। সুইসাইড নোটে লিখেছেন তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী এনআরসি। এই ঘটনা বিজেপির ভয় এবং বিভেদের রাজনীতির ফল। আমি ভেবে শিউরে উঠছি বিজেপি নিরীহ মানুষদের হুমকি দিচ্ছে, মিথ্যা প্রচার করছে, আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এবং ভোট নিয়ে নিরাপত্তাহীনতাকে অস্ত্র করেছে। গণতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই দুঃখজনক ঘটনা বিজেপি বিষাক্ত প্রচার কৌশলের ফল। দিল্লিতে বসে ভারতীয়দের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছে আর সাধারণ মানুষ বিদেশি বলে ঘোষণার ভয়ে আত্মহত্যা করছেন।” মমতার আর্জি, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আমার আর্জি এই হৃদয়হীন খেলা চিরতরে বন্ধ করুন। বাংলায় এনআরসি বরদাস্ত করবে না। আমাদের মাটি মা-মাটি-মানুষের। যারা ঘৃণার রাজনীতি করে তাদের সহ্য করে না। দিল্লির জমিদাররা স্পষ্ট করে শুনে নিন। বাংলা সুরক্ষা দেবে।”
আদিবাসি যুবতীকে কুপ্রস্তাব, গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে, বিক্ষোভ বিজেপির

আদিবাসি যুবতীকে কুপ্রস্তাব ও কুমন্তব্যের জেরে গ্রেফতার বীরভূমের(Birbhum) তৃণমূল(TMC) নেতার ছেলে। বেশ কয়েকদিন বীরভূমের এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। তৃণমূল(TMC) সহ সভাপতির ছেলে গ্রেফতার হওয়ার পরই আবার থানায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের দাবী ঘটনা ঘটে যাওয়ার এতদিন পর কেন গ্রেফতার। আগেই কেন তৃণমূল(TMC) সহ সভাপতির ছেলে গ্রেফতার হননি, প্রশ্ন তুলছে বিজেপি। বীরভূমের(Birbhum) রাজনগর(Rajnagar) ব্লক তৃণমূলের সহ সভাপতি রানা প্রতাপ রায়ের(Rana Pratap Roy) ছেলে কৌশিক রায়ের(Kaushik Roy) বিরুদ্ধে বেশ কয়েকদিন আগেই এক আদিবাসী যুবতীকে কু প্রস্তাব দেওয়ার দেওয়ার পাশাপাশি কু মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের সহ সভাপতি রানা প্রতাব রায়ের ছেলে কৌশিক রায়ের(Kaushik Roy) বিরুদ্ধে। রাজনগর থানায় কয়েকদিন আগে অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। এরপর অন্য এক যুবককে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। অবশেষে এবার তৃণমূল নেতার ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত প্রত্যেককে গ্রেপ্তার করতে হবে এবং তৃণমূল নেতা ছেলেকে এতদিন কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি এই অভিযোগ তুলে রাজনগর থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করল বিজেপি নেতা কর্মীরা। উপস্থিত রয়েছেন বিজেপি নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, বিজেপি বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা ও দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা সহ অন্যান্যরা। তারা জানান প্রত্যেককে গ্রেপ্তার না করা হলে বীরভূম জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আদিবাসীদের এনে রাজনগর থানা ফেরাও করা হবে।