কানপুরে খুন বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিক, অভিষেকের নির্দেশে পরিবারের পাশে তৃণমূল

এই মুহূর্তে রাজ্য রাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হল বাংলা ও বাঙালি। বারবারই ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিরদের(Migrant Labour) ওপর অত্যাচারের কথা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। এবার কানপুরে খুন বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিক। আর তাতেই ফের একবার সরব তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। যোগারীজ্যে বাঙালি বিদ্বেষের ফলেই এমনটা হয়েছে বলে দাবী করে সরব হয়েছে তৃণমূল। উত্তরপ্রদেশের কানপুরে নির্মমভাবে খুন হওয়া বীরভূমের পরিযায়ী শ্রমিক পথিক হেমব্রমের(Pathik Hembram) ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া। পথিক হেমব্রমের(Pathik Hembram) মৃত্যু ঘিরে রহস্যের গন্ধই পাচ্ছেন সকলে। এমনকি তাঁর পরিবারের সদস্যরাও এই খুনের পিছনে ষড়যন্ত্রেরই যুক্তি দিচ্ছেন। কর্মসূত্রে তিনি ছিলেন চেন্নাইয়ে। কিন্তু কানপুরে কেমনভাবে পথিক পৌঁছলেন সেটাই বুঝতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই পথিকের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) নির্দেশে ইতিমধ্যেই তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। পরিবার জানিয়েছে, পথিক(Pathik Hembram) আসলে চেন্নাইয়ে চামড়ার কারখানায় কাজ করতেন, তবে কীভাবে তিনি কানপুরে গেলেন তা এখনও রহস্য। খবর জানাজানি হতেই সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস(TMC) সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) নির্দেশে ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল পাঠানো হয় মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারে। এদিন তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে দামোদরপুর গ্রামে যান রাজ্য সভার সাংসদ ও পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ দপ্তরের সভাপতি সামিরুল ইসলাম, নয়া গ্রামের বিধায়ক ও রাজ্য আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি দুলাল মুর্মু, অ্যাসিস্ট্যান্ট লেবার কমিশনার শেখ মোহাম্মদ রিজওয়ান, বোলপুরের ভিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাসসহ অন্যান্য সরকারি আধিকারিকরা। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, “যোগীর জঙ্গলরাজে বাঙালি শ্রমিকরা নিরাপদ নয়। বীরভূমের যুবক পথিক হেমব্রমের মৃত্যু বাঙালি বিদ্বেষের ফল।” এদিকে বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনের আধিকারিকরা মৃত শ্রমিকের পরিবারকে সমস্ত রকম সরকারি সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। চেন্নাই থেকে কানপুর — এই রহস্যময় যাত্রাপথ ও নির্মম খুন ঘিরে এখন আরও বাড়ছে প্রশ্ন, আর উদ্বেগও বাড়ছে দেশজুড়ে কর্মরত বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।
আম আদমি পার্টি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ সভাপতি সহ নেতৃত্বদের

ইন্ডি জোটে তারা সরিক। কিন্তু বংলায় সেই আম আদমি পার্টিরই(Aam Admi Party) ঘর ভাঙছে কংগ্রেস। এবার সেই ঘটনা ঘটল মুর্শিদাবাদে(Murshidabad)। মুর্শিদাবাদ জেলা আম আদমি পার্টির(Aam Admi Party) জেলা সভাপতি থেকে নেতৃত্বরা সোমবার যোগদান দিল কংগ্রেসে(Congress)। আর তাতেই যে রাজনৈতিক মহলে যে বেশ শোরগোর পড়ে গিয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সোমবাপ দুপুরে অধীর চৌধুরীর(Adhir Chowdhury) হাত ধরেই কংগ্রেসে যোগ দিল আম আদমি পার্টির জেলা সভপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। তৃণমূলের(TMC) বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেই আম আদমি পার্টির(Aam Admi Party) সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল মুর্শিদাবাদ জেলা আম আদমি পার্টির সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা। একটাই অভিযোগ যে তৃণমূলের(TMC) দূর্ণীতির বিরুদ্ধে বিরোধিতা করার অনুমতি নাকি আম আদমি পার্টির তরফ থেকে পাওয়া যেত না। আর সেই কারণেই নাকি শেষপর্যন্ত আম আদমি পার্টি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের সিদ্ধান্ত। আম আদমি পার্টির জেলা সম্পাদক রাজ্যের মুখপাত্র সোহেল রানা(Sohail Rana) সহ মুর্শিদাবাদ জেলা সংগঠনের সমস্ত নেতাকর্মীরা সোমবার দুপুরে অধীর চৌধুরীর হাত ধরে কংগ্রেসের যোগদান করেন। সোমবার দুপুরে বহরমপুরে জেলা কংগ্রেস ভবনে এই যোগদান সভার আয়োজন করা হয়।। কংগ্রেসের যোগদানকারী সোহেল রানা বলেন আম আদমি পার্টি(Aam Admi Party) করতাম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, সেখানে আমাদের সংগঠন তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার অনুমতি দিত না।। তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য স্বচ্ছ মুর্শিদাবাদ তৈরির জন্য আজ আম আদমি পার্টি ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করলাম।
আরজি করের চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যু!

আবারও খবরের শিরোনামে আরজি কর(RG Kar) হাসপাতাল। রহস্যজনক মৃত্যু আরজি কর(RG Kar) হাসপাতালের চিকিৎসক শুভজিৎ আচার্য(Shubhajit Acharya)। তাঁর মৃত্যুতেই হঠাৎ শোরগোল পড়ে গিয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল হাসপাতালে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎই তাঁর মৃত্যু যেন অনেক প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পাওয়ার পরই বোঝা যাবে তাঁর মৃত্যুর আসল কারণ। জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসক উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের শিশির কুঞ্জের(Shishir Kunj) বাসিন্দা ছিলেন। রবিবার রাতেই তাঁকে বারাসতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, হার্ট রেট কমানোর জন্য বেশ কয়েকটি ওষুধ খেতেন তিনি। রবিবার রাতে বুকে ব্যথা নিয়ে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিকভাবে অনুমান, ওষুধের অধিক মাত্রার কারণেই শরীরে বিষক্রিয়া তৈরি হয়। আর তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে ওই চিকিৎসকের। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত সঠিক মৃত্যুর কারণ বলা যাবে না। তবে পরিবারের তরফ থেকে বিষক্রিয়ার কারণে যে মৃত্যু তা মানতে রাজি নয়। এদিন শুভজিৎ আচার্যের(Shubhajit Acharya) কাকা সুভাষচন্দ্র ঘোষ জানান কিভাবে ঘটনাটি ঘটেছে আমরা এখন বুঝতে পারছি না। এরকম একটি ছেলে যেই ঘটনা ঘটতে পারে সেটা আমাদের এখনো বিশ্বাসযোগ্য নয়। যেখানেই সে ডাক্তারি চেম্বার করতো না কেন কোন সমস্যা হতো না। আরজি করে(RG Kar) চাকরি করার সময় একটু ডিউটির চাপ ছিল সেটা কোন ব্যাপারই না। পাশাপাশি তার বাবা শ্যামল কুমার আচার্য জানায় বৌমা এবং ছেলে একই বাড়িতে থাকতো পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। আমরা এখনো বুঝে উঠতে পারছি না এরকম ঘটনা কেন ঘটলো। হয়তো মানসিক দিক দিয়ে কোন একটি চাপ ছিল এমনটাই কিন্তু দিন জানান তার বাবা। মৃত চিকিৎসকের দেহ বারাসত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।