নভেম্বরেই রাজ্যে শুরু SIR প্রক্রিয়া!

নির্বাচনের(Assembly Election) আগে এই রাজ্যেও যে এসআইআর(SIR) হবে তা আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন(State Election Commision)। অবশেষে রাজ্যে এসআইআর শুরুর দিন ঠিক করে ফেলল নির্বাচন কমিশন। আগামী ১ নভেম্বর থেকেই শুরু হচ্ছে এসআইআর(SIR)। কয়েকদিনের মধ্যেই ডাকা হতে পারে সর্ব দলীয় বৈঠক। গত দুদিন ধরে পশ্চিমবঙ্গ সহ ছয় রাজ্যের সিইওদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। আভাসটা তখনই পাওয়া গিয়েছিল। আগামী ১ নভেম্বর থেকেই শুরু এসআইআর প্রক্রিয়া। শোনাযাচ্ছে তিন মাসে এই প্রক্রিয়া শেষ করা হতে পারে। সেই মতোই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শুধুমাত্র বাংলাতেই(West Bengal) নয়, নির্বাচন মুখী অন্যান্য রাজ্য সহ আরও কয়েকটি জায়গাতে এসআইআর(SIR) প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর আগামী সপ্তাহেই নাকি জারি হয়ে যেতে পারে নোটিশ। ইতিমধ্যেই এসআইআর(SIR) প্রক্রিয়া শুরুর আগে সমস্তরকম ব্যবস্থাপনা সেরে রাখার নির্দেশ জেলা শাসকদের দেওয়া হয়েছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে। শুক্রবার থেকেই নাকি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকবে। শোনাযাচ্ছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের স্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হতে চলেছে। একইরকম ভাবে বিভিন্ন জেলায় জেলা শাসকরাও সর্বদলীয় বৈঠক ডাকবেন। এবারের রাজ্য নির্বাচনে এসআইআর যে প্রধান বিষয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যেই চাপান উতোর বাড়ছিল। এবার দিন ঘোষণা হয়ে গিল। রাজ্য রাজনীতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।
নির্বাচনের আগে অস্বস্তিতে শুভেন্দু, মামলা খারিজ হলেও রক্ষরকবচ হারালেন বিরোধি নেতা

নির্বাচনের আগেই বড় ধাক্কা খেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি(Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু অধিকারির অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের রায় দিলেন হাই কোর্টের(Calcutta High court) বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এর ফলে শুবেন্দু অধিকারির(Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর করতে আর কোনওরকম বাধা থাকল না। বিধানসভা নির্বাচনের আগে হাইকোর্টের এই রায় যেমন শুভেন্দু অধিকারির অস্বস্তি অনেকটাই বাড়াল, তেমনই এটা যে শাসক দলের কাছে নির্বাচনের আগে বড়সড় অস্ত্র হয়ে উঠল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ২০২২ সাল থেকে হাইকোর্টের থেকে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারি(Suvendu Adhikari)। অর্থাৎ হাই কোর্টের নির্দেশ ছাড়া শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে কোনওরকম মামলা এবং এফআইআর করা যাবে না। আর তাতেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনওরকম মামলার তদন্ত করাও যাচ্ছিল না। হাই কোর্টের এই রায়ে আপাতত সেই রাস্তা খোলা। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এই রায়ের ফলে রাজ্য সরকার এবং সিবিআইকে যৌথভাবে একটি বিশেষ তদন্তকারী দল(সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর স্পষ্ট বক্তব্য যে কোনও অন্তর্বর্তীকালীন রায় এমনভাবে দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। সেই কারণেই এই রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারির বিরুদ্ধে এদিন ১৫ মামলাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারি বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তিনি অভিযোগ করতে শুরু করেছিলেন যে তাঁকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র চলছে। শুধুমাত্র তাই নয় তাঁর বিরুদ্ধে নাকি একের পর এক এফআইআর দায়ের করা হচ্ছে। সেই সবগুলোকেই তিনি ভুয়ো আখ্যা দিয়ে দুবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। এরপরই হাইকোর্টের তরফে ২০২২ সালে অন্তর্বর্তীকালীন রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারি। এতদিন সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম মামলা বা এফআইআর করতে পারছিলেন না কেউ। হাইকোর্টের এই নতুন রায়ের ফলে সেই রাস্তাই এবার খুলে গেল।