এসআইআর নিয়ে ফের সুর চড়ালেন শান্তনু, পাল্টা জবাব তৃণমূলেরও

নির্বাচনের দিন যত এগোচ্ছে ততই এসআইআর(SIR) নিয়ে সুর চড়াতে শুরু করেছে বিজেপি(BJP)। সেইসঙ্গে পাল্টা দিচ্ছে রাজ্যের শাসক দলও(TMC)। এই মুহূর্তে নির্বাচনের আগে যে এসআইআরই প্রধান আলোচনার বিষয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই নিয়েই এবার ফের একবার বিস্ফোরক বিজেপি(BJP) সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। আবারও তিনি বললেন এসআইআর-এ(SIR) নাকি এক কোটি ২০ লক্ষ ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যেতে চলেছে। সেইসঙ্গে এবারই নাকি ১৬০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। বেশ কয়েকদিন আগেও এই একই বিষয় নিয়ে সরব হয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর(Shantanu Thakur)। সেই সময় বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল কীভাবে তিনি এই সংখ্যাটা বলছেন। এসআইআর নিয়ে বিজেপির চক্রান্তের কথাও বলতে পিছপা হননি তৃণমূলের(TMC) নেতারা। কিন্তু শান্তনু ঠাকুর রয়েছেন তাঁর মেজাজেই। নির্বাচনের আগে বারবার সেই এসআইআর অস্ত্রেই শান দিচ্ছে বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ২ নাম্বার মণ্ডল বিজেপির উদ্যোগে হেলেঞ্চা বাজারে একটি লজে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল শুক্রবার । এই বিজয় সম্মেলনকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর , বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ , প্রাক্তন জেলা বিজেপি সভাপতি দেবদাস মন্ডল সহ বিজেপি নেতৃত্ব । এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে আবারো কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তু ঠাকুর বলেন এস আই আর হলে এক কোটি কুড়ি লক্ষ্য ভোট বাদ যাবে । আগে তার বক্তব্য নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধিতা করেছেন সে বিষয়ে তিনি বলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে থেকে এই বিষয়ে তার এত গাত্রদহ কেন ? এস আই আর হলে ১৬০ সিটের বেশি আসনে জিতে বিজেপি ২০২৬ সালে সরকারে আসবে । এবং উত্তর চব্বিশ পরগনায় বাগদা , বনগাঁ উত্তর, বনগা দক্ষিণ , গাইঘাটা এই চারটি আসনে বিজেপি জয়ী হবে এই বিষয়ে তৃণমূলকে তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন । এবং তিনি ডাক দিয়েছেন বাগদা থেকে তৃণমূল নিপাত যাক । শান্তনু ঠাকুরের এমন মন্তব্যের পাল্টা দিতে অবশ্য ছাড়েনি তৃণমূল কংগ্রেসও(TMC)। তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের(Bishwajit Das) সাফ বার্তা, ১৬০ আসন স্বপ্ন, এবার নাকি বিজেপি রাজ্যে বিরোধি দলের তকমাও হারাবে। নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই এসআইআর নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চাপান উতের বেড়েই চলেছে। ১৬০ আসনের বেশি পেয়ে রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে এই প্রসঙ্গে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস এই স্বপ্ন দূর স্বপ্ন এবার বিরোধীদলের তকমা হারাবে বিজেপি । কর্মীদের চাঙ্গা করতে এই সমস্ত বলছে । পার্থ ভৌমিকের প্রসঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের বক্তব্য নিয়ে বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন ও কুয়োর ব্যাংক সেই কারণে এই ধরনের মন্তব্য করেছেন । প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত সাহা পরিযায়ী ।
দলের নেতাদেরই ঢোরা সাপ বলে কটাক্ষ হুমায়ুন কবিরের, অস্বস্তি বাড়ছে দলে!

হুমায়ুন কবিরকে(Humayun Kabir) নিয়ে ফের অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেস(TMC)। বিস্ফোরক কথা বলার জন্য বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি। কখনও সেটা বিরোধি দলের উদ্দেশ্যে হোক কিংবা নিজের দলের নেতাদের বিরুদ্ধেই বলুন। এবার তৃণমূলেরই(TMC) নেতাদের বিরুদ্ধে ফের একবার বেফাঁস মন্তব্য করলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির(Humayun Kabir)। রেজিনগর, বেলডাঙা সহ নয়দার বিধায়কদের ঢোরা সাঁপ বলে কটাক্ষ করলেন হুমায়ুন কবির। নির্বাচনের আগে তাঁর এই বক্তব্য যে ফের একবার রাজ্যের শাসক দলকে খানিকটা অস্বস্তিতে ফেলল তা বলাই যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেজিনগর(Razinagar) বিধানসভার(Assembly) বিকলনগরে ব্লক সভাপতির নেতৃত্বে বিজয়া সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন ভারতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির(Humayun Kabir)। সেই সম্মেলন শেষেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন হুমায়ুন কবির। সেখানেই তাঁর সামনে রেজিলগরের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় একদিকে যখন যেখানে ব্লক সভাপতি বিজয় সম্মেলনি করছেন, সেই সময়ই আবার পাল্টা বিজয়া সম্মিলনী করছেন রেজি নগরেরই বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী। আর তার উত্তর দিতে গিয়েই ফের বেফাঁস মন্তব্য হুমায়ুনের। দলের এই সব নেতাদের ঢোরা সাঁপ বলেই কটাক্ষ করেছেন তিনি। হুমায়ুন কবির বলেন, “এরা আসলে ঢোরা সাপ। এদের যে কোনওরকম ভূমিকা নেই তা দলকে জানানো হয়ে গিয়েছে”। হুমায়ুনের এমন মন্তব্যের পরই কিন্তু রাজ্য রাজনীতি ফের সরগরম। বারবারই বেলাগাম কথা বলে শাসক দলের অস্বস্তি বাড়িয়েছেন হুমায়ুন কবির। এবার দলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব নিয়ে ফের একবার প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন হুমায়ুন। শুধু রেজিনগরই নয়, বেলডাঙা এবং নওয়দার বিধায়কদেরও নাম না করে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের এই বিধায়ক। দিন দুয়েক আগেও এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই একই ঘটনার পূণরাবৃত্তি ফের ঘটালেন হুমায়ুন কবির। শাসক দলের অস্বস্তি যে বাড়ল তা বলার অপেক্ষা রাখে না।