ভূটানের জল ছাড়াতেই উত্তরবঙ্গ বিপর্যস্ত, ক্ষতিপূরণের দাবি মমতার

উত্তরবঙ্গে(North Bengal Flood) দু্র্যোগ। বন্যা কবলিত উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত সেখানকার সাধারণ জীবন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর ভূটানের(Bhutan) বিরুদ্ধেই জল ছাড়ার অভিযোগ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)। তাদের তরফ থেকেই ক্ষতিপূরণের দাবীও করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। ভূটানের জল ছাড়ার জন্যই উত্তরবঙ্গে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে এদিন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের চাকরির অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও তুলে দিলেন তিনি। গত রবিবারই ফের উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee)। সোমবার দিয়েছিলেন নাগরাকাটায়(Nagrakata)। সেখানেই ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের একজন সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজ্য সরকারের চাকরির নিয়োগপত্র। আলিপুরদুয়ার সহ উত্তরবঙ্গের আরও বেশ কয়েকটি জায়গা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এমন পরিস্থিতির জন্য ভূটানের জল ছাড়াকেই দুষছেন তিনি। নাগরাকাটায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “ভূটানের জল ছাড়ার জন্যই এমনটা হয়েছে। তাদেরই উচিৎ ক্ষতুপূরণ দেওয়া। এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, আমরা বারবারই বলে এসেছি ইন্দো-ভূটান কমিশন তৈরির কথা। যেখানে সদস্য হিসাবে থাকবে বাংলাও। গোটা ঘটনাটাই হয়েছে ভূটানের জল ছাড়ার জন্যই”। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারকেও দুষেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। কেন্দ্র্রের বিজেপি সরকারকে নিশানা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, “আমরা আমাদের তরফ থেকে সবটাই করছি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের একটাও টাকা দিচ্ছে না”। গত রবিবারই বন্যা কবলিত উত্তরবঙ্গে(North Bengal Flood) পৌঁছে আলিপুরদুয়ার সহ বন্যা কবলিত প্রতিটি এলাকাই পরিদর্শন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবারি তিনি গিয়েছিলেন নাগরাকাটায়। সেখানেই তিনি প্রথম যান বামনবাড়ি। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সাত সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন চাকরির নিয়োগপত্র। একইসঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে যা যা সাহায্য করা যায় সমস্ত প্রতিশ্রুতিই দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। শুধুমাত্র চাকরিই নয়, “মৃতদের পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথাও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজ যে শুরুও হয়ে গিয়েছে তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারপিছু একজনকে সরকারী চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছিল। এদিন সেই সমস্ত নিয়োগপত্র আমরা তুলে দিয়েছি”। একইসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন অবশেষে রাজ্যের তরফে ক্রমাগত চাপের ফলে আগামী ১৬ অক্টোবর কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বৈঠকে বসার কথা জানানো হয়েছে। সেখানেই শেষপর্যন্ত কী হয় সেটাই দেখার অপেক্ষায় সকলে।
হঠাৎই অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি শমীক ভট্টাচার্য

গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রাজ্য বিজেপির(BJP) নতুন সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য(Shamik Bhattacharyya)। আর তাতেই খানিকটা উদ্বিগ্ন রাজ্য বিজেপির(BJP) নেতারা। শোনা যাচ্ছে জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি। জ্বর না কমা এবং মাত্রাতিরিক্ত ভাবে তাপমাত্রা বাড়ার কারমেই শেষপর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে শমীক ভট্টাচার্যকে(Shamik Bhattacharyya)। কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে রয়েছেন বিজেপির(BJP) রাজ্য সভাপতি। আপাতত চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই রাখা হয়েছে তাঁকে। শোনা যাচ্ছে বেশ কয়েকদিন ধরেই নাকি অসুস্থ ছিলেন শমীক ভট্টাচার্য(Shamik Bhattacharyya)। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পর কয়েকদিন আগেই উত্তরবঙ্গে সফরে গিয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। সেখান থেকে ফেরার পরই আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। অবস্থার আরও অবনতি হলেই এরপর তাঁকে কলকাতার এক বেসরকারী হাসপাতালে ভর্তি করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখনও পর্যন্ত অবশ্য তাঁর শরীর কেমন রয়েছে তা জানা জায়নি। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট গুলো হাতে পাওয়ার পরই তা জানা যাবে। শোনা যাচ্ছে গতকাল থেকেই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন শমীক ভট্টাচার্য। এরপর তাঁর তাপমাত্রা হঠাৎই অস্বাভাবিক ভাবে বাড়তে থাকে এবং শারীরিক অবস্থা তাঁর আরও অবনতি হতে থাকতে হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়। তবে কী থেকে এই জ্বরের সূত্রপাত তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। হাসপাতালে ভর্তি করার পর শোনা যাচ্ছে শমীক ভট্টাচার্যের ডেঙ্গু সহ বেশ কয়েকটি রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট আসেনি। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই জানা যাবে যে কেন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তবে সূত্রের খবর এখনও পর্যন্ত নাকি ঠিকভাবে খেতে পারছেন না বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আপাতত কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই নাকি তাঁকে রাখা হবে।
কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক পঞ্চায়েত প্রধান

দীর্ঘদিন ধরেই অন্তর্দলীয় কোন্দলে জেরবার তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব। ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ম করেই নিজের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন। সেই বৈঠকে নির্বাচনের রণকৌশল সাজানোর পাশাপাশি জোর দেওয়া হচ্ছে দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়ে। কিন্তু তার পরেও গোষ্ঠীকোন্দল মিটছে কই! ফের একবার দলের বিরুদ্ধেই সরব হলেন মাস দুই আগে খুন হওয়া তৃণমূল নেতা অমর রায়ের মা। তাঁর অভিযোগ, দলের প্রভাবশালী কিছু রাঘববোয়ালদের কারণেই তাঁর ছেলের প্রকৃত খুনিকে আড়াল করা হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের একজন প্রধান হয়েও তিনি তাঁর ছেলের ন্যায় বিচার পাচ্ছেন না। তাই প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগের হুঁশিয়ারি দিলেন নিহত অমর রায়ের মা, তথা কোচবিহারের দাওয়াগুড়ি অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কুন্তলা রায়। উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলায় এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ঠিক সেই সময় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ছেলের খুনের বিষয়ে যাবতীয় অভিযোগ জানানোর আর্জি করলেন কুন্তলা দেবী। প্রয়োজনে তিনি যে পদত্যাগ করতেও রাজি, সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাও স্পষ্ট করে দিলেন দাওয়াগুড়ি অঞ্চলে তৃণমূলের দীর্ঘদিনের এই নেত্রী তথা পঞ্চায়েত প্রধান। কুন্তলা দেবীর অভিযোগ, “আজ দুই মাস পেরিয়ে গেছে কয়েকজন চুনোপুঁটি ছাড়া পুলিশ এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করেনি।” তাঁর আরও অভিযোগ, প্রভাবশালী খুনিরা তাঁর চোখের সামনেই ঘুরে বেড়াচ্ছে, উল্টে নাকি তাঁকেই ভয় দেখানো হচ্ছে। সোমবার সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যেভাবে তাঁর ছেলের খুনিদের আড়ালের প্রসঙ্গ টেনে এনে তির্যক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলের এই নেত্রী, তাতে কোচবিহার জেলার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। দীর্ঘদিন ধরেই অন্তর্দলীয় কোন্দলে জেরবার তৃণমূলের অন্দরে একের পর এক মারাত্মক অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন জেলা থেকেই। সেখানে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বর্তমান প্রধানের আজকের এই বিস্ফোরক বক্তব্য তৃণমূলকে রীতিমত অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।