সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতেই বিজেপির জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত: অভিষেক

২২ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন জিএসটি(GST) কার্যকর হয়েছে। মহালায়ার সন্ধেতেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)। তাঁর মন্তব্যে পরিপ্রেক্ষিতে এবার প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক তথা সামসদ অভিষেক বন্দ্যোবাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কটাক্ষের সুরে অভিষেকের স্পষ্ট কথা, বিজেপির(BJP) ভোট কমেছে বলেই নাকি এবার জিএসটি(GST) কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। নতুন জিএসটি ঘোষণার পরই তৃণমূল নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee) কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেছিলেন। এই নতুন নিয়মকে স্বাগত জানালেও, রাজ্যের কতটা ক্ষতি হয়েছিল তাও বলতে দ্বিধা করেননি তিনি। এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পহেলগাম ঘটনার পরই প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইবে না। সেই কথা ধরেই অভিষেকের প্রশ্ন তবে এশিয়া কাপে ভারত বনাম পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছে কেমনভাবে। মহালয়ার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রদানমন্ত্রী বলেছিলেন, এই নতুন জিএসটির মাধ্যমে দেশের গরীব এবং মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ের পরিমাণ বাড়বে। নতুন সুযোগ তৈরি হবে, যার ফায়দা পাবে দেশের যুব সমাজ। শুধুমাত্র তাই নয় এই নিয়মের ফলে নাকি দেশের অর্থনীতিও আলাদা একটা গতি পাবে। এসব কিছু শোনার পরই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) পাল্টা প্রশ্ন মোদি সরকারকে। সেইসঙ্গে কটাক্ষও করেছেন তিনি। তাঁর মতে বিজেপিকে নির্বাচনে মানুষ প্রত্যাক্ষাণ করেছে। আর সেই কারণেই নাকি এখন জিএসটি কমানোর সিদ্ধান্ত। প্রত্যাক্ষাণ না করলে নতুন জিএসটির সিদ্ধান্ত কখনোই নাকি নিত না ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্বে চলা কেন্দ্রীয় সরকার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আসলে বিজেপির কোনওরকম দায়িত্ববোধই নেই। নোটবন্দীর সময় কী হয়েছিল আমরা সকলেই তা জানি। পহেলগাম ঘটনার সময় বলেছিল যে রক্ত এবং জল একসঙ্গে বইবে না। তবে কেমন করে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হচ্ছে এখন? একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তৃণমূল সাংসদ তথা সর্বভারতীয় সম্পাদকের প্রশ্ন, কর বাবদ বাংলা থেকে যে টাকা তারা নিয়ে গিয়েছে, রাজ্যকে কত টাকা দিয়েছে তারা”? কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন জিএসটি ২২ সেপ্টেম্বর থেকে লাগু হয়েছে। আর সেঙ্গেই রাজনৈতিক মহলে যে চাপানউতের শুরু হয়ে গিয়েছে তাও বেশ স্পষ্ট।
DA নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল রাজ্য?

গত ৮ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারোল ও বিচারপতি পিকে মিশ্রর ডিভিশন বেঞ্চে ডিএ (DA) মামলার শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত ছিল। আদালতের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল, এ বিষয়ে কারও কোনও নতুন বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে পারে। সেই মতো ডিএ (DA) সুপ্রিম কোর্টে লিখিত আকারে নিজেদের অবস্থান পেশ করল রাজ্য। সোমবার শীর্ষ আদালতে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, ডিএ (DA) দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন কোন রাজ্য কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্সকে মান্যতা দেয়, আদালত তা জানতে চেয়েছিল— সেই মতো রাজ্য তাদের অবস্থান লিখিত আকারে পেশ করল। যদিও রাজ্য সরকারের আইনজীবী কপিল সিব্বলের পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষে আইনজীবী করুণা নন্দী জানান, তাঁরাও পাল্টা তাঁদের বক্তব্য জানাবেন। তবে শীর্ষ আদালত এদিন আবারও জানিয়ে দেন, যার যা বক্তব্য তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই জানাতে হবে। তারপর আর কোনও বক্তব্য শোনা হবে না। যদিও সুপ্রিম কোর্ট আগেই রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছিল সরকারী কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ (DA)-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে। তার জন্য দেড় মাস বা ৬ সপ্তাহের কাছাকাছি রাজ্যকে সময়ও দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার সেই সময়ের মধ্যে সরকারী কর্মচারীদের প্রাপ্য ডিএ (DA) মেটাতে পারেনি। উপরন্তু তারা শীর্ষ আদালতের কাছে আরও কিছুটা সময় চেয়ে আর্জি জানায়। সেই মামলারই শুনানিতে রাজ্যের পক্ষে আইনজীবী কপিল সিব্বল আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ (DA) নিয়ে রাজ্যের উপরে কোনও ধরনের শর্ত আরোপ করতে পারে না। রাজ্য তার নিজের মতো করে ডিএ (DA) দেবে, কেন্দ্র দেবে কেন্দ্রের মতো। যদিও কপিল সিব্বলের পাল্টা মামলাকারীদের পক্ষের আইনজীবী জানান, কোনও রাজ্য তার নিজের ইচ্ছেমতো ডিএ (DA) দিতে পারে না। রাজ্যকে অবশ্যই বেতন কমিশনের সুপারিশ মেনেই ডিএ (DA) দিতে হবে। এখন দেখার এই বিষয়ে শেষপর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট কী রায় দেয়।