তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে মারধোরের অভিযোগ বিরোধীদের বিরুদ্ধে, পাল্টা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তত্ত্ব বিরোধীদের

তৃণমূলের(TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর ওপর হামলা। মুর্শিদাবাদের(Murshidabad) জলঙ্গীপাড়া থানার অন্তর্গত ফরজিপাড়ায় ঘটেছে এই ঘটনা। ঘোষপাড়া তৃণমূল(TMC) পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী রাজদুল ইসলামকে বেধরক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের বিরুদ্ধে। এই রাজদুল ইসলাম নিজেও একসময় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। এই ঘটনা ঘিরে এলাকায় ব্যপর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। রাজদুল ইসলামের(Rajdul Islam) অভিযোগ বিরোধী দল নেতা কিবরিয়া ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলঙ্গীপাড়া থানার পুলিশ। এদিন রাজদুল ইসলামের(Rajdul Islam) ওপর হঠাৎই হামলা করে কিছু দুস্কৃতি। যদিও পরে তাদের বিদোধী শিবিরের লোক বলেই জানিয়েছেন রাজদুল ইসলাম। তাঁর ওপর হামলা হওয়ার পর তড়ঘড়ি তৃণমূলের(TMC) পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় লোকেরা। সেখানে চিকিৎসক তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করলেও, অবস্থার অবনতিই হতে থাকে রাজদুল ইসলামের। এরপরই তাঁকে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এই ঘটনায় এলাকায় কিন্তু বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর ওপর হামলা হয়েছে তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সেভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে তিনি তৃণমূল করেন বলেই এই হামলা হয়েছে বলে মনে করছেন রাজদুল ইসলাম। শুধুমাত্র তাই নয় তিনি নাকি জলঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের কাছেও তাঁর প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন বেশ কয়েকদিন আগেই। এবার এই হামলা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। যদিও পাল্টা বিরোধীরাও নেমে পড়েছে ময়দানে। বিরোধী দল নেতাকে ফাঁসানোর ছক বলেই জানানো হয়েছে বিরোধী দলের তরফে। রাজদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানিয়েছেন, “আমি তৃণমূলের অনুগামী আর সেই কারণেই আমার উপরে এই হামলা। বিগত দিনে জলঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক যিনি ছিলেন তাঁকে আমি একাধিকবার আমার প্রাণনাশের হুমকি এসেছে, সেটিও জানিয়েছিলাম”। ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগও করেছেন রাজদুল ইসলাম। যদিও বিরোধী নেতা কিবরিয়ারের দাবী তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই নাকি এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। তাঁর দাবি অনুযায়ী তিনি নাকি সেদিন এলাকাতেই ছিলেন না। আবার সিপিআইএমের প্রাক্তন বিধায়ক ইউনুস সরকার বলেন কিবরিয়া এবং রাজদুল নাকি একই দলের সদস্য। অর্থাৎ তিনি গোষ্ঠিদ্বন্দ্বের ছবিই নাকি দেখতে পাচ্ছেন এই ঘটনায়। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে এলাকার পরিস্থিতি যে বেশ উত্তপ্ত তা বলাই বাহুল্য।
স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা শুভেন্দু অধিকারীর

বিধানসভার ভিতর ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রবেশ নিয়ে এবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্ট অবমাননার মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারীরই(Suvendu Adhikari) করা এক মামলায় কলকাতার হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিধানসভার আইনের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করা যায় না। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশ করায় ফের একবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু(SuvenduAdhikari)। কেননা গত ১লা সেপ্টেম্বর স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় একটি নির্দেশিকা জারি করেন, সেখানে তিনি স্পষ্ট জানান— ‘মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কোনও মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা বিধানসভায় ঢুকতে পারবেন না।’ এক্ষেত্রে শুভেন্দুর(Suvendu Adhikari)দাবি, স্পিকার মুখ্যমন্ত্রীর রক্ষীদের বিধানসভায় প্রবেশের অনুমতি দিয়ে আদালতের নির্দেশকে অবমাননা করেছেন। শুভেন্দুর(Suvendu Adhikari) পক্ষের আইনজীবীর মন্তব্য— “স্পিকার জানিয়েছিলেন বিধানসভায় কোনও বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর প্রবেশের অধিকার নেই। তারপরেও বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে প্রবেশ করেছেন, যা আদালত অবমাননার সমান।” সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভায় প্রবেশের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, তৃণমূল বিধায়কদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে বিধানসভা এলাকার মধ্যে প্রবেশ করার অনুমতি রয়েছে। অথচ বিজেপি বিধায়কদের কেন্দ্রীয় নিরাপত্তারক্ষীদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি নেই। তাঁদের বিধানসভার বাইরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যদিও সেই মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করেনি। তবে বিচারপতি অমৃতা সিনহা বিধানসভার আইনের উল্লেখ করে সবার ক্ষেত্রেই সমান ভাবে নিয়ম বলবৎ করার নির্দেশ দেন, পাশাপাশি বিধানসভার সচিবকে তা নিশ্চিত করার কথাও জানান। শুভেন্দুর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থা করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে আদালতকেই অবমাননা করেছেন। সকলের জন্য সমান নিয়ম তিনি বলবৎ করেননি। এই মামলার প্রমাণ হিসাবে ওইদিনের ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণের দাবিও জানান শুভেন্দুর পক্ষের আইনজীবীরা। আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হতে পারে। সবে রাজ্যে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে ততই যে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও তীব্র হচ্ছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।