বনগাঁ-এ প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান, আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে অ্যাম্বুলেন্স ONGC-র

অশোকনগরের পর বনগাঁ(Bongaon) গোপালনগরের আকাইপুর(Akaipur)। বিপুল পরিমানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান পেল ওএনজিসি(ONGC)। এবং তেলের সন্ধান চালাচ্ছে তারা । স্থানীয় কামদেবপুরে কয়েকবছর আগেও খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান চালাচ্ছিল তারা । প্রায় চার বছর ধরে এই সন্ধান চালাচ্ছেন ওএনজিসি(ONGC) আধিকারিকরা। তাঁরা আশাবাদী কিছুদিনের মধ্যেই মিলবে প্রাকৃতিক গ্যাস। বুধবার আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েত(Panchayat) কে ওএনজিসি(ONGC) তরফ থেকে স্থানীয় মানুষের সুবিধার্থে একটি অ্যাম্বুলেন্স তুলে দেওয়া হয় । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কো -মেন্টর বিশ্বজিৎ দাস , বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতি ও আকাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা এবং ওএনজিসির তরফ থেকে ঊর্ধ্বতন কর্তারা উপস্থিত ছিলেন । ওএনজিসি কর্তা ও বিশ্বজিৎ দাস ফিতে কেটে অ্যাম্বুলেন্স এর সূচনা করেন । ওএনজেসি কর্তা মানস কুমার নাথ(Manas Kumar Nath) ( বেসিন ম্যানেজার ) জানিয়েছেন কামদেবপুর এলাকায় কয়েক বছর ধরে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের সন্ধান চালানো হচ্ছে । তারা আশাবাদী এখান থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন করা যাবে । ওএনজেসির(ONGC) তরফ থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল উত্তোলনের জন্য কাজ চলছে এতে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা । স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য জানিয়েছেন এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে । ইতিমধ্যে একটা বোরিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সব সময় সহযোগিতা করছি । গ্যাস উত্তোলন হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের কো -মেন্টর বিশ্বজিৎ দাস জানিয়েছেন ওএনজেসি কর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে । এখানে প্রাকৃতিক গ্যাসের সন্ধান মিলেছে । প্রশাসনিক কারণে ওনারা সবকিছু খোলাসা করে বলতে পারছেন না । এখানে গ্যাস তেল উত্তোলন হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে ।
ভোট অঙ্কে কংগ্রেসের অস্ত্রও এবার মতুয়া! ঠাকুরনগরে সত্যাগ্রহের ডাক কংগ্রেসের

বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয় কংগ্রেস পার্টি(Congress) অফিসে সাংবাদিক সম্মেলন করেন উত্তর ২৪ পরগনা গ্রামীন জেলা কংগ্রেসের সভাপতি ইন্দ্রানী দত্ত চ্যাটার্জি। সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানান, ভোটের আগে নাগরিকত্ব ইস্যুতে মতুয়াদের(Motua) বিপদে ফেলা হচ্ছে। ঠাকুর বাড়িতে ঘন্টার পর ঘন্টা তারা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি নিজে ঠাকুরবাড়িতে এসেছিলেন মতুয়ারা তার কাছে বিভিন্ন অভিযোগের কথা বলেছিলেন। মতুয়াদের(Motua) নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করতে মতুয়াদেত সার্বিক উন্নয়ন এবং জাতি গণনার দাবীতে ঠাকুরনগর স্টেশন সংলগ্ন ইন্দিরা গান্ধীর মূর্তির পাদদেশে সত্যাগ্রহ করবেন তারা। ইন্দ্রানির দাবি, কেন্দ্র সরকার যত তাড়াতাড়ি জাতি গণনা শুরু করবে তত তাড়াতাড়ি মতুয়ারা স্বীকৃতি পাবে। কংগ্রেসের এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে শান্তনু ঠাকুর পন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন গাইন। তিনি বলেন, মতুয়া উদ্বাস্তু মানুষেরা হয়রানি হয়েছে কংগ্রেসের কারণে। পূর্ব বাংলার মানুষেরা উদ্বাস্তু হওয়ার পেছনেই কংগ্রেস। আজকের মতুয়া দরদী হয়েছেন সামনে ভোট আসছে তাই মতো। মতুয়াদের ভোট দরকার? মতুয়াদের জন্য কি করেছেন? অন্যদিকে মমতা ঠাকুর পন্থী অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুকেশ চৌধুরী বলেন, দেশ ভাগের পরে ওপার বাংলা থেকে আসা মতুয়া উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব সুনিশ্চিত করার জন্য কংগ্রেস কখনো ভাবেনি। কংগ্রেস এই পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে মতুয়া এবং উদ্বাস্তু মানুষেরা বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিতে হয়েছে । হয়রানি হচ্ছে। এই হয়রানির দায় কংগ্রেসও এড়াতে পারে না। এখন যদি তারা রাজনীতি করতে না এসে সত্যি সত্যি মতুয়াদের অসুবিধা নিয়ে পাশে দাঁড়াতে চায় তাহলে তাদের স্বাগতম। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেন, এভাবে রাজনীতিতে ভেসে থাকা যায় না। কংগ্রেসের কথা কেউ শোনেনা। মতুয়ার নাগরিকত্বের জন্য ঠাকুরবাড়িতে যাচ্ছে এবং তারা নাগরিকত্ব পাচ্ছে।
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তাল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর, স্বয়ং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ভাঙচুরের অভিযোগে রাস্তা অবরোধ

আবারও তৃণমূলের(TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এবার মালদার(Malda) হরিশচন্দ্রপুরে ঘটেছে এই ঘটনা। সাংগঠনিক রদবদল হতেই, তৃণমূল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে হামলা, আগুন, গাড়ি ভাঙচুর। পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীকে পিটিয়ে মারার চেষ্টায় কোনও রকমে পালিয়ে বাঁচলেন তিনি। আর অভিযোগের তির তৃণমূলের(TMC) দিকেই। অভিযোগ স্বয়ং মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ও তাঁর ভাই ও অনুগামীদের বিরুদ্ধে।নিরাপত্তা ও গ্রেফতারের দাবিতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলেরই বিক্ষোভ। রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ। কার্যত উত্তাল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর। অভিযোগ ব্লকের সাংগঠনিক রদবদলে পদ পেতেই নাকি মন্ত্রীর অনুগামীদের তান্ডব শুরু হয়। রাতের অন্ধকারে জেলা পরিষদ সদস্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে দোকানে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর,খুনের হুমকি, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবিতে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ তৃণমূলের। অপরপক্ষের, মন্ত্রীর ভাইয়ের নির্দেশে হামলার অভিযোগ দলেরই নেতাদের, খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস মন্ত্রীর, খোঁচা বিজেপির, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের শিরোনামে হরিশ্চন্দ্রপুর এরপরই তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। মন্ত্রীর ভাইয়ের নির্দেশেই নাকি যুব তৃণমূল নেতাকে খুনের চক্রান্ত। বিস্ফোরক অভিযোগ তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা। থানায় অভিযোগ দায়েরের পর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে ধর্ণা বিক্ষোভ তৃণমূলের অপরপক্ষের। ঘটনাস্থলে আইসি সহ বিশাল পুলিশবাহিনী।হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আইসি কে হাত জোড় করে অনুরোধ তৃণমূল নেতার।ক্রমশ অস্বস্তি বাড়ছে শাসক শিবিরে।গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কটাক্ষ বিজেপির।খোঁজ নিয়ে দেখছি সাফাই মন্ত্রীর। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে ফের শিরোনামে রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা এলাকা হরিশ্চন্দ্রপুর।সাম্প্রতিক কালে একাধিকবার মন্ত্রী তাজমুলের সঙ্গে এলাকার দাপুটে জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খানের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে।সংঘাতে জড়িয়েছেন দুই নেতার অনুগামীরা। দুই দিন আগে ব্লকের রদবদল হয়েছে।যা নিয়েও ক্ষোভ ছিল দলের অন্দরে।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (এ) ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদ খুইয়েছেন বুলবুল ঘনিষ্ঠ জিয়াউর রহমান। জায়গা পেয়েছেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ মোশারফ হোসেন।আবার যুব তৃণমূলে সভাপতির পদ পেয়েছেন মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বিজয় দাস।যাকে কোনদিনও দলের পতাকা হাতে দেখা যায় নি। এমনটাই অভিযোগ করে ছিল তৃণমূলের একাংশ। তারপরেই গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রী অনুগামীদের তান্ডব। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মন্দিরা দাসের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী পূজন দাস কে খুনের হুমকি। দরজা ভাঙার চেষ্টা। বাড়ির বাইরে রাখা গাড়ি ভাঙচুর। পূজন দাস বুলবুল ঘনিষ্ঠ এবং এলাকায় জনপ্রিয় নেতা। যুব সভাপতির দৌড়ে তিনিও ছিলেন। তারপরেই আরেক বুলবুল ঘনিষ্ঠ নেতা ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাহেব দাসের রেস্তোরাঁতে ভাঙচুর। অভিযোগের তীর মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অঞ্চল তৃনমূল সভাপতি সঞ্জীব গুপ্তা, ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি বিজয় দাস, তার ভাই দুর্জয় দাস, তৃণমূল কর্মী জাবির হোসেনের দিকে। আক্রান্তদের দাবি মন্ত্রীর ভাই জম্মু রহমানের নির্দেশেই হয়েছে এই হামলা। এদিন তারা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।তারপরে ৮১ নং জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। আক্রান্ত নেতারা ছাড়াও সেই বিক্ষোভে সামিল হয়ে ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের বিরোধী দলনেতা স্বপন আলী। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা মন্দিরা দাসের আরো অভিযোগ তিনি এর আগে জম্মু রহমানের বিরুদ্ধে তোলাবাজি, সিন্ডিকেটরাজ চালানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রীর ভাই জম্মু রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ছিলেন।তার জন্যই এই হামলা। দ্রুত হামলাকারীদের গ্রেপ্তার না হলে আরো বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে বুলবুল ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতারা। ঘটনাস্থলে রয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ক্ষোভে ফুঁসছে এলাকার মানুষ।ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দিয়ে তৃণমূলের শেষের শুরু। কটাক্ষ বিজেপির। ঘটনা খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন বিধায়ক তথা মন্ত্রী তাজমুল হোসেন।শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
নেপালের গণ-অভ্যুত্থান নেহাতই কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান করার কারণেই? উঠছে প্রশ্ন

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নেপাল (Nepal)। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান এবং সরকারের উপরে ক্ষোভ থেকেই পথে নামে যুব সম্প্রদায়। বিক্ষোভ আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুলি চালায় পুলিশ। এর ফলে মৃত্যু হয় কমপক্ষে ২০ জন আন্দোলনকারীর। এর পরেই নেপাল(Nepal) সেনার তরফে জারি করা হয় কার্ফু। যদিও তারপরও অশান্তির আগুন নেভানো যায়নি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সংসদ ভবন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালান কেপি শর্মা ওলি ও অন্যান্য মন্ত্রীরা। অর্থমন্ত্রী সহ একাধিক মন্ত্রীর মার খাওয়ার ছবিও সামনে আসে। অগ্নিদ্বগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রীর। পাশের রাষ্ট্র নেপাল(Nepal)-এর এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি তাঁর এক্স-হ্যান্ডেলে লেখেন, “হিমাচল প্রদেশ ও পঞ্জাব থেকে ফিরে নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে নেপালের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নেপালের হিংসা হৃদয় বিদারক। এত সংখ্যক যুবকের মৃত্যুতে আমি উদ্বিগ্ন। নেপালের শান্তি, স্থিতাবস্থা আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমি নেপালের ভাই-বোনদের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি আপনারা শান্তিকে সমর্থন করুন।” কিন্তু নেপালের এই গণ-অভ্যুত্থান শুধুই কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান করার কারণে— না, বিষয়টা একেবারেই তেমন নয়। শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করে দেওয়ায় রাতারাতি একটা গণ-অভ্যুত্থান ঘটানো সম্ভব নয়। আসলের নেপালে যুব সমাজের অন্দরে আগুনের সলতে পাকানোর কাজটা চলছিল বেশ কিছু বছর ধরেই। সরকার তাতে আমল দেয়নি। দুর্নীতি ও বেকারত্ব নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ জমছিল যুব সমাজের মনে। এরই মধ্যে গত আগস্ট মাসে নেপালের ললিতপুর জেলার হরিসিদ্ধিতে ঘটে একটি দুর্ঘটনা। ১১ বছরের একটি শিশুকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায় মন্ত্রীর গাড়ি। কিন্তু সাধারণ মানুষ ধরে ফেলেন গাড়িটিকে। নেপালের এক মন্ত্রীর ড্রাইভার চালাচ্ছিলেন গাড়িটি। তাকে আটক করে পুলিশের কাছে দিলে রাতিরাতিই ছাড়া পেয়ে যায় সে। এমনকী নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি ওলি ওই ঘটনাকে ‘সামান্য ঘটনা’ বলে আখ্যা দেন। এরপরই ঘৃতাহুতি হয় আগুনে, ধিকিধিকি যুব সমাজের ভিতর বাড়তে থাকে ক্ষোভ। গুরুতর আহত ওই ১১ বছরের মেয়ের ছবি সমাজ মাধ্যমে ট্রেন্ডিং হতে শুরু করে। অবশেষে গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর নেপাল সরকারের তরফে ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো মোট ২৬টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরই বাঁধ ভাঙে যুব সমাজের। হড়পা বানের মতো সাধারণ মানুষের এতদিনের জমে থাকা ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। যে আগুন এত বছর ধরে ধিকিধিকি জ্বলছিল, তা পূর্ণতা পায় সরকারের একটিমাত্র সিদ্ধান্তে। আর তাই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের আঁচ সবার আগে গিয়ে পড়ে সংসদ ভবনে। সব মিলিয়ে নেপালে(Nepal) গণ-অভ্যুত্থানের চিত্রনাট্যের খসড়া রচনা চলছিল অনেক আগে থেকেই।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ মেনে আধারকে মান্যতা দিল কমিশন

সম্প্রতি বিহারে ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআর (SIR)-এর কাজ শেষ হয়ে। সেখানে এসআইআর (SIR)-এর ফলে বাদ গেছে প্রায় ৬৫ লক্ষ ভোটারের নাম। বিহারে এসআইআর (SIR)-এর ক্ষেত্রে যে গুরুত্বপূর্ণ ১১টি নথিকে মান্যতা দিয়েছিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন, তার মধ্যে আধারের উল্লেখ না থাকায় শুরু হয় রাজনৈতিক টানাপোড়েন। তা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও হয়। সেই মামলায় অবশেষে শীর্ষ আদালতের রায়কে মেনে নিয়ে আধার কার্ডকে মান্যতা দিল কমিশন। ফলে এসআইআর (SIR)-এর জন্য গ্রহণযোগ্য পরিচয়পত্র হিসাবে ১২ নম্বর যুক্ত হল আধার কার্ড। গত সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ আধার সংযুক্তিকরণের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি আদালত তার রায়ে এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছে, আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, শুধুমাত্র পরিচয় যাচাইয়ের নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। তবে নির্বাচন কমিশনকে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, এসআইআর (SIR)-এর ক্ষেত্রে আধার কার্ড গ্রহণযোগ্য করার বিষয়ে নির্দেশনা জারি করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা চাইলে ভোটারদের জমা দেওয়া আধার কার্ডের সত্যতা যাচাই করতে পারবেন। পাশাপাশি এসআইআর (SIR)-এর ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করা হয়েছিল যে, অভিযোগ জানানোর সময়সীমা বাড়ানো হোক। সেক্ষেত্রেও শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদি কোনও বৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন সেই অভিযোগ শুনতে বাধ্য থাকবে। এই মামলায় আরজেডির পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনিই সর্ব প্রথম এসআইআর (SIR)-এর ক্ষেত্রে আধার কার্ডের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে শীর্ষ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। তাঁর মতে আধার কার্ডের মতো সহজলভ্য নথিকে যদি গ্রহণ না করা হয়, তাহলে বিপদে পড়বেন সাধারণ দরিদ্র মানুষজন। তারপরেই সব দিক বিবেচনা বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন। অবশেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে (CEO) জানানো হয়েছে, এবার থেকে এসআইআর (SIR)-এর ক্ষেত্রে আধার কার্ডকেও সংযুক্ত করা হবে। যদিও কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আধারকে শুধুমাত্র পরিচয় যাচাইয়ের নথি হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। নাগরিকত্ব প্রমাণের ক্ষেত্রে এর কোনও বৈধতা নেই।