নরেন্দ্র মোদীর অবসর জল্পনায় মুখ খুললেন মোহন ভাগবত

বেশ কিছু মাস ধরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর অবসর নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ৭৫-এ পা দেবেন মোদী। তারপরই কি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি? বেশ কিছু মাস ধরে এই জল্পনাই ঘুরপাক খাচ্ছিল দিল্লির রাজনীতিতে। এমনকী বিরোধীরাও সরব হয়েছিল এই ইস্যুতে। অনেকেই যুক্তি দেখাচ্ছিলেন, বিজেপি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের মতাদর্শে পরিচালিত। দুই সংগঠনেই অলিখিত নাকি নিয়ম রয়েছে যে বয়স ৭৫ হলে, পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যেমনটা নাকি লালকৃষ্ণ আদবাণী, মুরলী মনোহর জোশীর ক্ষেত্রেও হয়েছিল। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৫ বছর বয়সে পা দিলে অবসর গ্রহণ করবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে বিজেপি বরাবরই না বলে এসেছে। তাদের যুক্তি ছিল, ৮০ বছর বয়সে জিতন রাম মাঝিও তো মন্ত্রিত্ব সামলাচ্ছেন। যদিও ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহই বলেছিলেন, ৭৫ বছর বয়স হলে দল আর কাউকেই প্রার্থী পদের জন্য নির্বাচন করবেন না। সেক্ষেত্রে সেপ্টেম্বরে নরেন্দ্র মোদীর ৭৫ বছর পূর্ণ হলে, তিনি কি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াবেন— এই নিয়েই বিতর্ক ক্রমশই দানা বাঁধছিল। অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত। গত বৃহস্পতিবার আরএসএসের শতবার্ষিকী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আমি কখনওই বলিনি আমি অবসর নেব, কিংবা অন্য কেউ ৭৫-এ পড়লেই সরে দাঁড়াবে। আমরা সেটাই করব যেটা সংঘ বলবে। সংঘে আমরা স্বয়ংসেবক। যে কাজ আমাদের দেওয়া হবে, চাই বা না চাই সেটা করে যেতে হবে।” এদিন মুখে নরেন্দ্র মোদীর নাম না নিলেও তাঁর এই বার্তা যে সে ইঙ্গিতই দেয়, তা স্পষ্ট। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, সংঘ যদি তাঁকে কাজে লাগাতে চান, তাহলে ৮০ বছর বয়সেও তা তিনি পালন করতে প্রস্তুত। যদিও এই মোহন ভাগবত-ই গত জুলাই মাসে নাগপুরের একটি সভায় বলেছিলেন, “যখন ৭৫ বছর বয়সে আপনাকে কেউ অত্যন্ত উৎসাহের সঙ্গে অভিনন্দন জানাতে আসবে, তখনই বুঝে যাবেন এবার আপনাকে থামতে হবে। অন্যের জন্য কাজের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।” যদিও গত বৃহস্পতিবার আরএসএসের অনুষ্ঠানে নিজের সেই বক্তব্যেরও স্ববিরোধিতা করলেন, যা দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষক মহল।