আগামী মঙ্গলবার বর্ধমান সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

২৬শে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে আগামী মঙ্গলবার বর্ধমান সফরে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৬ আগস্ট মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর ঘিরে প্রশাসনিক বৈঠকের পাশাপাশি থাকছে একগুচ্ছ দলীয় কর্মসূচি। বিধানসভা ভোটের প্রস্তুতি যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস অনেক আগেই শুরু করে দিয়েছিল তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা সফর থেকেই স্পষ্ট। এর আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে ভাষা আন্দোলন উপলক্ষ্যে বীরভূম এবং ঝাড়গ্রাম সফর করেছিলেন মমতা। এবার তাঁর লক্ষ্য পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা। সেখানে একাধিক প্রকল্প উদ্বোধনের পাশাপাশি প্রশাসনিক বৈঠকও করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ২৬ আগস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান পৌঁছেই প্রশাসনিক সভা করবেন বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল বয়েদ হাইস্কুলের মাঠে। মুখ্যমন্ত্রীর সেই সভায় উপস্থিত থাকার কথা দুই জেলার প্রশাসনিক কর্তা, বিধায়ক ও সাংসদদের। এই সভা থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকজন উপভোক্তার হাতে পাট্টা তুলে দেবেন। দুই জেলার প্রশাসনিক বৈঠক শুরু হবে দুপুর ১২টা থেকে। এই বৈঠকের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুই জেলার মোট ৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রশাসনিক বৈঠক সেরে আবার ওই দিনই কলকাতায় ফেরার কথা মুখ্যমন্ত্রীর। অন্তত এখনও পর্যন্ত নবান্ন সূত্রে এমনটাই জানা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর এই একদিনের সফর ঘিরে নিরাপত্তা আঁটোসাটো করতে বর্ধমান জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি হয়ে গেছে। ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সরিয়ে সংগঠনকে আরও মজবুত করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের কাছে। তাই দলের গোষ্ঠীকোন্দল রুখতে ইতিমধ্যেই দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি সপ্তাহে তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে নিয়ম করে ডেকে পাঠাচ্ছেন বিভিন্ন জেলা নেতৃত্বদের। তাঁদের সঙ্গে বৈঠকে জেলার সমস্যা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি নির্বাচনী রণকৌশলও তৈরি করে দিচ্ছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। এমনকী সম্প্রতি বীরভূম সফরে গিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেও দেখা গেছে কাজল শেখ ও অনুব্রত মণ্ডলকে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিতে। এর ফলে এটা স্পষ্ট যে, ২৬শে নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে অলআউট ঝাঁপানোর আগে দলের গোষ্ঠীকোন্দল যেন বিড়ম্বনায় না ফেলে তৃণমূল কংগ্রেসকে। তার সব রকম প্রস্তুতি এখন থেকেই সেরে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রীর ঘন ঘন জেলা সফরও সেই সম্ভাবনাকেই জোরালো করছে।
উত্তরাখণ্ডে আবারও বিপর্যয়, হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক দোকান-বাড়ি

আবারও বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ডের দেবভূমি৷ অতিভারী বৃষ্টির কারণে হড়পা বান চামোলি জেলার থারালিতে৷ যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু বাড়ি-দোকানপাঠ এবং একাধিক গাড়ি৷ এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দু’জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে প্রশাসন সূত্রে খবর৷ শুক্রবার ভোররাত থেকে মেঘভাঙা বৃষ্টিপাতের ফলে চামোলি জেলার থারালির কোটদ্বীপ, রাদিবাগ, আপার বাজার, কুলসারি, চেপডো, সাগওয়ারা সহ থারালির অন্যান্য অংশের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বহু এলাকা বালি, পাথর ও কাদায় ঢেকে গিয়েছে। শহুরে এলাকায় পার্কিংয়ে থাকা বহু গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত। চেপদাঁও বাজার ও থারালি বাজারের অনেক দোকানে বালি-কাদা-জল ঢুকেছে। ধ্বসের ফলে বন্ধ একাধিক রাস্তা। এমনকী হরপা বানে থারালি সরকারি অফিস এবং আশেপাশের বাড়িঘর-দোকানপাট ভেঙে কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। চামোলি জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সাগওয়ারা গ্রামে ২0 বছরের এক তরুণী ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে মারা গিয়েছেন। অন্যদিকে, চেপডন বাজার এলাকার এক বাসিন্দার খোঁজ মিলছে না। যদিও প্রশাসনিক ভাবে উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে বলেই খবর। এমনিতেই উত্তরাখণ্ডে এবার অতিবৃষ্টির কারণেই ফুঁসছে অধিকাংশ নদী। এমনকী হরিদ্বারেও গঙ্গার জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সম্প্রতি ধারালি এলাকায় হড়পা বানে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু খবর সামনে এসেছিল। সেখানেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গিয়েছিল। এরপর আবার চামোলিতেও ঘটল একই ঘটনা। সব মিলিয়ে হড়পা বানের ফলে দেবভূমি এখন রীতিমত আতঙ্কপুরীতে পরিণত হয়েছে।