মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার নব রূপকার আখ্যা মন্ত্রী মলয় ঘটকের

“বিধানচন্দ্র রায় যদি বাংলার রূপকার হন, তাহলে বাংলার নবরূপকারের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”—গাইঘাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মন্ত্রী মলয় ঘটক। বুধবার উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার শিমুলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল উত্তর শিমূলপুর এফ পি স্কুলে। সেই শিবিরে এসেছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম দপ্তরের মন্ত্রী মলয় ঘটক। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধানচন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় যা উন্নয়ন করেছেন, এর আগে বিধানচন্দ্র রায় ছাড়া কেউ করেনি।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “বিধানচন্দ্র রায় যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন তাঁর ঘাড়ে কোনও দেনা ছিল না, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন মুখ্যমন্ত্রী হন তাঁর ঘাড়ে বামফ্রন্ট সরকার ২ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকার দেনা চাপিয়ে গেছে। প্রতিবছর প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা সুদ দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। সেই সুদ দেওয়ার পরেও যে উন্নয়ন, যে কাজ তিনি করেছেন তা এক কথায় অকল্পনীয়। ডঃ বিধান চন্দ্র রায় যদি বাংলার রূপকার হন, তাহলে বাংলার নবরূপকারের নাম নিঃসন্দেহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বাংলাকে নতুন করে রূপ দিয়েছেন, নতুন করে গড়েছেন, বাংলার মানুষকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন।” মন্ত্রী মলয় ঘটকের এই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজাও। এ বিষয়ে বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার বলেন, “মলয় ঘটক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন পাওয়ার জন্য এসব আজগুবি কথাবার্তা বলেছেন। উনি নিজেও প্রকৃত সত্যটা জানেন। উনি জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কত বড় দুর্নীতিবাজ।”
বাগদায় ৭৭৫ জন ভুয়ো ভোটার, দাবি বিজেপির প্রাক্তন বিধায়কের

উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার প্রাক্তন বিধায়ক দুলাল বর বুধবার নিজ বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে একাধিক ভুয়া ভোটারের অভিযোগ তোলেন। দুলাল বরের দাবি, বাগদার বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা মিজানুর রহমান খানের মেয়ে বুশরা খান ও জামাই মাসুদ খান দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে থাকে, কিন্তু এখানকার ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে তাদের। এবং শ্বশুর মিজানুর রহমান খাঁনকে বাবা বানিয়ে এখানকার ভোটার হয়েছেন মাসুদ খান। তাঁর আরও অভিযোগ, বয়রা অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাভেদ খাঁনের বাবা আসপাকুর খাঁনকে বাবা সাজিয়ে কবিরুল খান ভোটার হয়েছেন। কবিরুল জাভেদের মামা, এখন তিনি এই এলাকায় থাকেন না। এছাড়াও শশুরকে বাবা সাজিয়ে এভাবে ভোটার তালিকায় নাম তোলার একাধিক অভিযোগ করেছেন বিজেপির এই প্রাক্তন বিধায়ক। বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েত সহ আরও কয়েকটি পঞ্চায়েতের ৭৭৫টি ভুয়ো ভোটারের অভিযোগ তুলেছেন দুলাল বর। এই বিষয়ে ইমেল মারফত নির্বাচন কমিশনের কাছে তিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে দাবি করেছেন। তাঁর করা অভিযোগের কপি অভিযুক্তরা পেয়ে যাচ্ছেন, এর ফলে তাঁর জীবন সংশয় হতে পারে বলেও দাবি করেছেন দুলাল বাবু। এই বিষয়ে তিনি বিডিও, থানার ওসি এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। যদিও বয়রা গ্রাম পঞ্চায়েতের মিজানুর রহমান খাঁন দুলাল বরের অভিযোগ সত্য বলে স্বীকার করেছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, তাঁর কোনও ছেলে নেই। ছোট থেকে ভাইপো মাসুদ খান তার কাছে থাকতেন। পরবর্তীতে জামাই হয়েছে, সেই কারণে তাঁকে বাবা বানিয়ে ভোটার হয়েছিলেন। এখন যেহেতু মেয়ে-জামাই এখানে থাকে না। তাই তিনি তাদের ভোট বাতিল করবার আবেদন করবেন। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা জাভেদ খাঁন জানিয়েছেন, “আমার বাবাকে বাবা বানিয়ে কোনও এক ব্যক্তি ভোটার হয়েছিলেন। আমরা জানতে পেরে ইতিমধ্যেই সেই ভোট কেটে দেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছি। বিজেপির তরফ থেকে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।” এই বিষয়ে বাগদা পূর্ব ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পরিতোষ কুমার সাহা জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস ভূতুড়ে ভোট কেটে দেওয়ার জন্য আগে থেকেই কাজ করছে। আমরা চাই ভূতুড়ে ভোটার কেটে দেওয়া হোক। কিন্তু অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে প্রবেশ করে কী করে ভোট দিচ্ছে। সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্ব তো কেন্দ্রীয় সরকারের। নির্বাচন কমিশনও কেন এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না।” অন্যদিকে দুলাল বরের অভিযোগ প্রসঙ্গে বাগদার বিডিও প্রসূন কুমার প্রামাণিক জানিয়েছেন, “আমরা যা অভিযোগ পাচ্ছি তার সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমি একজন সরকারি আধিকারিক। আমার কাছ থেকে কোনও তথ্য কোনও জায়গায় প্রকাশিত হয় না। যে কেউ তার মতামত জানাতেই পারেন।”
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ, মৃত মহিলার টাকা ঢুকছে অন্য এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে

রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল বাদুড়িয়া ব্লকের শায়েস্তানগর ২ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত গন্ধর্বপুর এলাকায়।বিথীকা দাস নামে এক মহিলার লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা ৪৬ মাস ধরে ঢুকছে দেবাশীষ বাছার নামে এক পুরুষের একাউন্টে। আর সেই ব্যক্তি দিব্যি টাকা তুলেও নিচ্ছেন। বিথীকা দাস নামে এক মহিলা যার বাড়ি বাদুড়িয়া ব্লকের শায়েস্তানগর ২ নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত গন্ধর্বপুর এলাকায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে তিনি তাঁর নাম নথিভুক্ত করেন। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাস কেটে গেলেও তিনি টাকা পাচ্ছেন না। এভাবে কয়েক মাস কেটে যাওয়ার পরে তিনি বাদুড়িয়া বিডিও অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করেন এবং তখন দেখেন যে তার নাম লক্ষী ভাণ্ডারে উঠে আছে এবং তার নামে প্রতিমাসে টাকাও ঢুকছে। তিনি তখন জানতে পারেন তাঁর নামে বরাদ্দ হওয়া টাকা ঢুকছে দেবাশীষ বাছার নামে এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। শুধুমাত্র ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটা সংখ্যার ভুলে এই ঘটনা ঘটেছে। বিথীকা দাসের অ্যাকাউন্টের শেষে ৫ কিন্তু ভুলবশত অ্যাকাউন্টের শেষে সংখ্যা দেওয়া রয়েছে ৬। আর এই নিয়েই যত সমস্যা। এই অ্যাকাউন্ট নাম্বার পাশের গ্রামের দেবাশীষ বাছার নামে এক ব্যক্তির। মহিলা টাকা প্রতি মাসে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে। আর ওই ব্যক্তি চুপচাপ সেই টাকা তুলেও নিচ্ছেন ব্যাংকে থেকে। বিথীকা দাস জানার পর বিডিও অফিসে দুবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি। এমনকি দীপিকা দাসের মৃত্যু হয়েছে গত জুন মাসে। তারপরেও তাঁর লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে দেবাশীষ বাছারের অ্যাকাউন্টে। আর সেই মৃত মানুষের টাকাও তুলে নিলেন দেবাশীষ বাবু। মৃত বিথীকা দাসের স্বামী জানান, তাঁর স্ত্রীর প্রাপ্য টাকা তাঁকে দেওয়া হোক এবং তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে যে টাকা ঢুকেছে সেই টাকা সরকারকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সেই দেবাশীষ বাছার সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রথমে পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করলেও অবশেষে স্বীকার করেন যে, তিনি ফাল্গুন মাসে টাকা ফিরিয়ে দেবেন। আর এই বিষয়ে বাদুড়িয়ার ব্লক আধিকারিক পার্থ হাজরা জানান, তাঁর এই ব্যাপারে কিছু জানা নেই, তিনি সংবাদমাধ্যমের মারফত পুরো ঘটনাটি শুনলেন। এরকম কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে তিনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশ্বাস দেন। এখন দেখার এই সমস্যার আদৌ কোনও সমাধান হয় কী না।
বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আবর্জনার স্তূপ, ছড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগ— আতঙ্কে রোগীর পরিবার

বসিরহাটের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল যেন মশাবাহিত রোগের আঁতুড়ঘর। মশা বাহিত রোগে আতঙ্কিত রোগী সহ রোগীর আত্মীয়-পরিজনরাও। বসিরহাট মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের দশটি ব্লক সহ তিনটি পৌরসভার স্বাস্থ্যের মূল ভরসা বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। যার উপর নির্ভরশীল এলাকার প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ। সেই হাসপাতালে জ্বর, সর্দি-কাশি সহ একাধিক উপসর্গ নিয়ে আট থেকে আশি রোগীরা চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন। আর সেখানেই দেখা গেল নোংরা আবর্জনা ছবি। হাসপাতালের বাইরে যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে আবর্জনার স্তূপ। হাসপাতালের গেটের পাশে থার্মোকলের বড় বড় বাক্সে বর্ষার জল জমে তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা। তা থেকেই সাধারণত ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন মশাবাহিত রোগ যেমন ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি। হাসপাতালের তরফ থেকে যেসব বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছিল তার আশপাশে জল জমে মশার লার্ভা জন্ম নিচ্ছে। এমনিতেই শহরে ম্যালেরিয়া-ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। তার উপর খোদ হাসপাতালেই যদি এমন পরিবেশ হয় তাহলে রোগীর পরিবারের আতঙ্ক বাড়াটাই স্বাভাবিক। অন্যদিকে বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী যত্রতত্র ফেলে দেওয়ার জন্য তা থেকে বেরোচ্ছে দুর্গন্ধ। মোটের উপর একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। পুরো বিষয়টি নিয়ে বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ অন্যান্যরা পুরো দোষটাই চাপিয়ে দিলেন বর্ষার উপরে। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবিউল ইসলামের বক্তব্য, “প্রতিনিয়ত আমাদের হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। এখন বর্ষার সময় দু-এক জায়গায় জল জমে থাকতেও পারে। তবে পৌরসভার কর্মীরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গি জ্বরের প্রকোপ একটু বেশি থাকলেও আমরা পুরোপুরি কন্ট্রোলে রেখে দিয়েছি।” বসিরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূলের বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বুরহানুল মুকাদ্দিম এদিন হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করেন হাসপাতালের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ এবং পরিষেবা নিয়ে। তবে হাসপাতালের এই নোংরা পরিবেশ নিয়ে বেশ ক্ষুব্ধ রোগীর আত্মীয়রা। তবু বাধ্য হয়ে চিকিৎসা করাতে আসতে হচ্ছে হাসপাতালে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে হাসপাতালের চারপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করার ব্যবস্থা করুক পুরসভা।
‘দাদা সাহেব ফালকে টেলিভিশন অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন অশোকনগরের গৃহিণী পলি ঘোষ

অশোকনগরেই থাকে বাংলার সেরা সুন্দরী! যিনি বাংলার সেরা সুন্দরী হওয়ার পাশাপাশি পেয়েছেন দাদা সাহেব ফালকে টেলিভিশন অ্যাওয়ার্ডও। মফস্বল শহর অশোকনগরের গৃহিণী থেকেই সংসার সামলে গ্ল্যামার জগতের সেরাদের তালিকায় উঠে আসা, পলি ঘোষ এখন রীতিমতো সেলিব্রিটি। অশোকনগরের এই গৃহিণী এখন টলিউড, এমন কি বলিউডেও সাড়া ফেলে দিয়েছেন। সিনেমায় অভিনয় থেকে মডেলিং, অ্যাড শুট সহ নানা অনুষ্ঠানে এখন সেলিব্রিটি হিসেবেই দেখা যায় তাঁকে। ইতিমধ্যে টলিউড ও বলিউডের পরিচালকরাও যোগাযোগ করছেন তাঁর সঙ্গে। সংসার সামলে এই সাফল্যে আজ রীতিমতো সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অশোকনগরের এই গৃহবধূ। এখন বহু নারীর কাছেই অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছেন তিনি। ভাবছেন তো কে এই পলি ঘোষ! ছোটবেলা থেকেই উত্তরবঙ্গে বড় হওয়া তাঁর। বাবার কর্মসূত্রে পড়াশোনা ফারাক্কাতে। মালদা উইমেন্স কলেজ থেকে গ্রেজুয়েশন, পরবর্তীতে কর্মসূত্রে শিলিগুড়ি যাওয়া। সেখানেই মিশন স্কুলে শিক্ষকতার কাজ করতেন পলি। পরবর্তীতে আবারও বাবার কর্মসূত্রেই বারাসাতে আসা। সেই কারণে শিক্ষকতার চাকরি ছাড়তে বাধ্য হলেও, ভেতরে ভেতরে কিছু করে দেখানোর ইচ্ছা ও চেষ্টা থেকেই গিয়েছিল তাঁর। ছোটবেলা থেকেই মডেলিং, গ্ল্যামার জগত আকৃষ্ট করত পলিকে। কিন্তু কোনদিনও ভাবেননি এই সাফল্য তিনি ছুঁতে পারবেন অনায়াসেই। এরপর বিয়ে হয়ে যায় তাঁর। অশোকনগরের শ্বশুরবাড়িতেই এরপর সংসারের হাল ধরতে হয় গৃহিণী পলি ঘোষকে। তবে হেঁসেলে আটকে থেকেই নয়, নিজেকে কিছু করে দেখানোর লড়াই থেকেই এরপর আবারও গ্ল্যামার জগত ও র্যাম্পে হাঁটার সাহস দেখান গৃহিণী পলি ঘোষ। মায়ের এই ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে সব রকম ভাবে তাঁর পাশে থেকেছেন মেয়ে সম্প্রীতি ঘোষও। স্বামী অতনু ঘোষ সব রকম ভাবেই স্ত্রীকে এগিয়ে যাওয়ার মানসিক শক্তি যুগিয়েছেন বলেও জানান পলি ঘোষ। ইতিমধ্যেই, ২০২৫-এ ‘মিস অ্যান্ড মিসেস বেঙ্গল’ কম্পিটিশনে অংশগ্রহণ করে বাংলার সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হয়েছেন গৃহবধূ পলি ঘোষ। এখানেই শেষ নয়, এরপর গ্ল্যামার জগতের আরও এক বড় মাইলফলক ছুঁয়েছেন অশোকনগরের এই গৃহিণী। গ্ল্যামার জগতের অন্যতম স্বীকৃতি ‘দাদা সাহেব ফালকে টেলিভিশন অ্যাওয়ার্ড’ হাতে উঠেছে তাঁর। মিসেস বেঙ্গল হওয়ার পরেই, বিশেষ কমিটি অ্যাওয়ার্ড দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেন পলিকে। মণিকা বেদীর হাতে বলিউড সুপারস্টার থেকে সাউথ ইন্ডিয়ান অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মাঝেই অ্যাওয়ার্ড তুলে দেওয়া হয় বাংলার এই সুন্দরীর হাতেই। বাংলার সেরা সুন্দরী হওয়ার ক্রাউন টলিউড অভিনেতাদের উপস্থিতিতে আগেই মিলেছিল। এবার লক্ষ্য আরও বড়। তাই মিসেস ইন্ডিয়া হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন সংসার সামলে গ্ল্যামার জগতে সাফল্যের সিঁড়িতে চড়া গৃহিণী পলি ঘোষ। পলি দেবী জানান, “অশোকনগরে যখন প্রথম আসি তখন আমাকে কেউ চিনত না। নিজের রান্না-সংসার নিয়েই থাকতাম। কিন্তু ভেতরে ভেতরে মনে হত কিছু একটা করি, যেখানে মানুষ আমাকে চিনবে। আর তাই হয়তো ঈশ্বর আমাকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন।” এখন সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি ভাইরাল। রিল থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, মাকে গ্ল্যামার জগতে এগিয়ে যেতে প্রয়োজনে ক্যামেরাও ধরতে হয় মেয়ে সম্প্রীতিকে। সেও এবার মাধ্যমিকের ছাত্রী। মায়ের এই সাফল্যে আজ যেন সকলের কাছে সেও বেশ গর্বিত। সংসার সামলে নিজেকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত রিল ভিডিও এবং পাবলিক কমিউনিকেশন বজায় রেখে চলেছেন গ্ল্যামার জগতের এই নতুন স্টার অশোকনগরের গৃহিণী পলি ঘোষ।
অভয়ার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করলেন কুণাল ঘোষ

আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের একবছর পূর্ণ হলেও, তাঁদের মেয়ে ন্যায় বিচার পায়নি বলে সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরব হয়েছিলেন অভয়ার বাবা-মা। তাঁদের অভিযোগ রাজ্য সরকার সব রকম ভাবে চেষ্টা করছে যাতে সিবিআই এই তদন্ত ছেড়ে দিক। এমনকী সম্প্রতি দিল্লিতে গিয়ে তাঁরা সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদের সঙ্গেও দেখা করেন। তিনিও এই মামলার থেকে সরে যাওয়ার কথাই জানান তাঁদের। এই ইস্যুতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে নবান্ন অভিযানেরও ডাক দেন নির্যাতিতার মা-বাবা। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমের সামনে কুণাল ঘোষের নাম ধরেই তাঁরা অভিযোগ করেন যে, “সিবিআই-কে টাকা খাইয়েছে রাজ্য সরকার। কুণাল ঘোষ গিয়ে সেটেলমেন্ট করে এসেছেন।” এই অভিযোগের পাল্টা কুণাল ঘোষ নিজের সোস্যাল সাইটে লেখেন, “মিথ্যাচার ও নাটকের সব সীমা পার করেছেন উনি।” অভয়ার বাবা একাধিকবার অভিযোগ করেছেন যে, সিবিআই রাজ্য সরকারের থেকে টাকা খেয়ে এই তদন্ত চেপে রেখেছে। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগের তির ছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দিকে। তাঁদের বক্তব্য অনুসারে কুণাল ঘোষ সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়ে পুরো বিষয়টিই সেটেলমেন্ট করে এসেছেন। এরপর গত ১২ আগস্ট তিলোত্তমার বাবাকে আইনি নোটিস পাঠান কুণাল ঘোষ। সেই নোটিশে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, চার দিনের মধ্যে জবাব না পেলে আদালতে যাবেন তিনি। এবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তিলোত্তমার বাবার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করলেন কুণাল ঘোষ। কুণাল ঘোষের দাবি, একটি রাজনৈতিক দলের প্ররোচনায় তাঁরা এ ধরনের কথাবার্তা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনকী গত ৯ আগস্ট বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে নবান্ন অভিযান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ। পাশাপাশি তাঁর দাবি, অভয়ার বাবা-মায়ের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতি দেখিয়েছেন তিনি। কিন্তু সবকিছুরই তো একটা সীমা আছে। তাই লাগাতার তাঁর নাম করে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় অভয়ার বাবার বিরুদ্ধে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে মানহানির মামলা করলেন কুণাল ঘোষ।
১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে কেন্দ্রকে নিশানা অভিষেকের

বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। গ্রেফতার হওয়া জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের লক্ষ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন বিল। নতুন সংশোধনী এই বিলের আওতা থেকে বাদ যাবেন না প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীরাও। এবার এই বিল নিয়েই কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ তথা দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এই বিল নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণের মাঝে তিনি তুলে আনেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের প্রসঙ্গও। অভিষেক লিখেছেন, “বিরোধী দল এবং সমগ্র জাতির সমর্থন থাকা সত্ত্বেও, কেন্দ্রীয় সরকারের এখনও পিওকে পুনরুদ্ধার করার সাহস নেই। তারা কেবল ফাঁকা বক্তৃতা দেয়, কিন্তু যখন ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষা, আমাদের সীমান্ত রক্ষা এবং আমাদের শত্রুদের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে কাজ করার কথা আসে, তখন তারা কোনও প্রকৃত উদ্যোগ দেখায় না। কেন্দ্র জাতির সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্য সরকারকে ফেলতে সবরকম চেষ্টা করছে কেন্দ্র।” এমনকী এ প্রসঙ্গে তাঁর আরও বক্তব্য, “এই সরকার নিজেকে জনবিরোধী, কৃষকবিরোধী, গরিববিরোধী, তফসিলি জাতিবিরোধী, উপজাতিবিরোধী, ওবিসি-বিরোধী, ফেডারেলবিরোধী এবং সর্বোপরি ভারতবিরোধী হিসেবে প্রমাণ করেছে। দেশের সংবিধান বিক্রি করছে। দেশটাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি ভাবছে।” কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই বিল নিয়েই বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী সরকার ছলেবলে কৌশলে সিবিআই-ইডির মতো কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোকে কাজে লাগিয়ে বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীদের জেলে ভরছে। তাঁদের কারো বিরুদ্ধেই এখনও কোনও অভিযোগ প্রমাণ হয়নি, কিন্তু তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে জেলে ছিলেন। নতুন এই বিল আনার ফলে নির্বাচিত অ-বিজেপি সরকার ভেঙে দেওয়া সহজ হবে। এটা আদতে বিজেপির একটা হাতিয়ার। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পোস্টে সেই বিষয়ের উল্লেখ করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এই নতুন বিল পাশ হওয়ার ফলে কেন্দ্র সরকার, রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও সরকারে মুখ্যমন্ত্রী হন কিংবা যে কোনও মন্ত্রী— তিনি যদি কোনও গুরুতর অপরাধে গ্রেফতার হন, এবং টানা ৩০ দিন পুলিশ হেফাজতে থাকেন, তাহলে এই আইন তাঁর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। আর অন্যদিকে, রাজ্যের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল এই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। পাঁচ বছরের বেশি সাজা পেলে মন্ত্রিত্ব থেকেও সরিয়ে দেওয়া যাবে এই আইনের ফলে। আর সে কারণেই এই নতুন সংশোধনী আইন নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বিরোধীরা।
নিজের বাড়িতেই আক্রান্ত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা

খোদ রাজধানী দিল্লিতে নিজের সরকারি বাসভবনেই আক্রান্ত হলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। বুধবার সকালে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন তাঁর ওপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। যদিও ইতিমধ্যেই অজ্ঞাতপরিচয় ওই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। কী কারণে এই হামলার ঘটনা, তা জানতে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে নির্ধারিত সূচি মেনে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে চলছিল ‘জন শুনানি’ অর্থাৎ জনতার অভাব অভিযোগ শোনার সেশন। সে সময়েই ঘটে এই ঘটনা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা যখন উপস্থিত সকলের সঙ্গে কথা বলছিলেন, সেইসময়েই এক যুবক তাঁর দিকে এগিয়ে আসেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে টানেন, তাঁকে চড় মারার চেষ্টা করেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, রেখা গুপ্তাকে চুল টেনে থাপ্পড় মারেন অভিযুক্ত। শারীরিক আঘাত করারও চেষ্টা করা হয় বলেই অভিযোগ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা আহত হওয়ার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই তাঁকে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন চিকিৎসকদের একটি মেডিকেল টিম। এমনকী দিল্লি পুলিশ কমিশনারও নিজে রয়েছেন ঘটনাস্থলে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, ‘জন শুনানি’-এর সেশন চলাকালীন আচমকা চিৎকার করতে করতে সেই ঘরে ঢুকে আসেন এক বছর তিরিশের যুবক। আচমকা মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তার কাছে গিয়ে তাঁকে আক্রমণ করেন। যদিও বিষয়টা বুঝে উঠতেই আরও আঘাত করার আগেই হামলাকারীকে ধরে ফেলে পুলিশ। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য এবং গালিগালাজও নাকি করতে শোনা গিয়েছে অভিযুক্তকে। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রীর উপর হামলা করার আগে নাকি তাঁর হাতে কিছু কাগজপত্র দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ওই অভিযুক্ত। যদিও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর উপর এই হামলার কড়া সমালোচনা করেছেন বিজেপি নেতারা।
জোড়া ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল

এক ঘণ্টার ব্যবধানে দু’বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হিমাচল। বুধবার ভোরে হিমাচল প্রদেশের চাম্বা জেলায় অনুভূত হয় এই কম্পন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি (NCS)-র রিপোর্ট জানাচ্ছে, আজ ভোর ৩টা ২৭ মিনিটে প্রথম ভূমিকম্প হয়, রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৩.৩। এর ঠিক এক ঘণ্টা পর ভোর ৪টা ৩৯ মিনিটে ৪.০ মাত্রার আরও একটি শক্তিশালী কম্পন অনুভূত হয় সেখানে। স্বাভাবিক ভাবেই স্থানীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। প্রথম কম্পন ভোরের দিকে হওয়ায় অনেকেই প্রথমটায় বুঝে উঠতে পারেননি। যেহেতু প্রথম কম্পনের তীব্রতা কিছুটা কম ছিল, তাই ঘুমের মধ্যে অনেকেই তা অনুভব করতে পারেননি। কিন্তু প্রথম ভূমিকম্পের অনুভূতি বুঝে ওঠার আগেই, দ্বিতীয়বার কেঁপে ওঠে হিমাচল। দ্বিতীয়বারের কম্পনও প্রথম বারের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল। স্বাভাবিক ভাবেই ভয় পেয়ে যান স্থানীয় মানুষজন। তাঁরা প্রাণভয়ে ঘরবাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। এনসিএস-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল চাম্বায়, ৩২.৮৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৭৬.০৯ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে। যদিও এর ফলে চাম্বায় এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে এ বিষয়ে প্রশাসন এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী যথেষ্ট সতর্ক রয়েছে। যেকোনও ধরনের প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হলে তারা তৎপর হয়ে উঠবে। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার হিমাচল বিপর্যয়ের মুখে পড়ল। সাম্প্রতিক সময়ে কুলুর লাঘাটি এলাকায় মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল হিমাচলে। তবে এক্ষেত্রে চাম্বায় এখনও তেমন ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর মেলেনি। তবে এবছর অতি বৃষ্টির কারণেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে পড়েছে হিমাচল। হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের একটি রিপোর্ট অনুসারে, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে সেখানে। এর মধ্যে ধ্বস, বন্যা, মেঘ ভাঙা বৃষ্টি এবং সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী জুন মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষি, উদ্যানপালন এবং পরিকাঠামোগত উন্নতির কাজও। সব মিলিয়ে এবারের বর্ষা হিমাচল প্রদেশের অর্থনীতিতে খুব বড় প্রভাব ফেলেছে।