কুণাল ঘোষের উপস্থিতিতে নাগরিক সভার প্রস্তুতি বৈঠক হল বনগাঁয়

বিজেপির বাংলা এবং বাঙালি বিরোধী মনোভাব ও কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নাগরিক সভার আয়োজন করতে চলেছে বনগাঁর তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই নাগরিক সভার প্রস্তুতি অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার হাজির ছিলেন কুণাল ঘোষ। অধ্যাপক প্রদীপ্ত মুখার্জি এবং সমাজসেবী অমিতাভ দাসের আহ্বানে এদিন বনগাঁয় এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। মূলত বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার এবং আক্রমণের প্রতিবাদ জানাতেই এই কর্মসূচি বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর যেভাবে আক্রমণ নেমে আসছে, এই আক্রমণের মধ্য দিয়ে বিজেপি তাদের বাঙালি বিদ্বেষী মনোভাব আরও স্পষ্ট করছে, এমনই অভিযোগ এনে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল। বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও বিজেপির বিরুদ্ধে এই ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। আগামীতে বনগাঁয় তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে অরাজনৈতিক ব্যানারে নাগরিক সভা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। সেই নাগরিক সভায় কী কী পরিকল্পনা হবে, সর্বস্তরের মানুষকে কীভাবে সেই নাগরিক সভায় অংশগ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানানো হবে— এসব নিয়েই এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ দাস, গোপাল শেঠ সহ অন্যান্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে এই প্রস্তুতি সভায় আলোচনা করা হয়। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, “বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে এই যে সন্ত্রাস চালাচ্ছে কেন্দ্র এবং বাঙালি শিকড় ধরে টান মারার চেষ্টা করছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সর্বস্তরের নাগরিক একত্রিত হয়ে বনগাঁতে একটি নাগরিক সভা আয়োজিত করতে চলেছে, তারই প্রস্তুতি সভা আজ অনুষ্ঠিত হল।” নাগরিক সভা আয়োজনের জন্য বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ ও বিশ্বজিৎ দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্বদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, “আমরা আগামীতে যাতে ঠিকমত এই নাগরিক সভা আয়োজন করতে পারি, তারই প্রস্তুতি আজ নেওয়া হল। আশাকরি আজকের বৈঠকে যেভাবে পরিকল্পনা করা হয়েছে নাগরিক সভা আয়োজনের, তা ঠিকমত বাস্তবায়ন করতে পারব।”
মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে নয়া মোড়, খোঁজ মিলল রহস্যময়ীর
মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণ কাণ্ডে নয়া মোড়। এবার এই ঘটনায় ‘রহস্যময়ী’ এক তরুণীর সন্ধান পেল পুলিশ। যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মৃত যুবক সচ্চিদানন্দ মিশ্রের— এমনটাই দাবি বারাসত জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়ার। তাঁর কথায়,”মৃত যুবকের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ঘেঁটে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এখানকার এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তাঁর। প্রেমের টানেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা ওই যুবক ছুটে এসেছিলেন মধ্যমগ্রামে।” যদিও ‘রহস্যময়ী’ ওই তরুণীর নাম প্রকাশ করতে চাননি পুলিশ সুপার। তবে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া খোলসা করে কিছু না বললেও পুলিশের একটি সূত্রের খবর, বিস্ফোরণের তিন দিন আগেই উত্তরপ্রদেশের এই যুবক ঘাঁটি গেড়েছিলেন মধ্যমগ্রামে। আগেও প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে এখানে এসেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয় সচ্চিদানন্দের। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারণে সেই মহিলার স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্যে নিয়েই সচ্চিদানন্দ মিশ্র মধ্যমগ্রামে এসেছিলেন। খুন করতে এসে নিজে মরে গেলেও এই ঘটনায় তার প্রেমিকা ওই রহস্যময়ী মহিলার জড়িত বলেই মনে করছে পুলিশ। সে কারণেই এই ঘটনার তদন্তকারী এসটিএফ টিম মহিলাকে আটক করেছে। তার স্বামীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাস্থলের আশেপাশেই ওই মহিলার বাড়ি। সচিদানন্দকে নিয়ে একাধিকবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছে। নিজের প্রেমিকার অপমান-অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তার স্বামীকে খুন করার প্ল্যান কষে সচ্চিদানন্দ। তবে তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন সচ্চিদানন্দকে তার প্রেমিকাও যথেষ্ট সহযোগিতা করেছে। মধ্যমগ্রাম বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে প্রথম থেকেই রহস্যের ঘনঘটা! বিস্ফোরণের পর বছর পঁচিশের ওই যুবকের গতিবিধি নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল, তেমনই প্রশ্ন উঠেছিল বিস্ফোরণের ধরন নিয়েও। কিন্তু সচ্চিদানন্দ নিজে আইটিআই-এর ছাত্র। তাই প্রযুক্তি, মেশিন, বিস্ফোরকের বিষয়ে তাঁর জ্ঞান থাকা অসম্ভব কিছু নয়। সেক্ষেত্রে পুলিশের অনুমান, ওই বিস্ফোরক নিজেই বানিয়েছিলেন সচ্চিদানন্দ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে একটি পেনের মত ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে বিস্ফোরক বানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভুল বাটন চাপ দিয়ে নিজেই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। এর আগেও একাধিকবার উত্তর প্রদেশ থেকে মধ্যমগ্রামে এসেছে এই সচ্চিদানন্দ। চলতি বছরের গত এপ্রিল মাসে এসে বেশ কয়েকদিন থেকে গেছে। এক্ষেত্রে পুলিশের অনুমান যখনই ওই মহিলার স্বামী বাইরে কোনও কাজের জন্য যায় তখনই সচ্চিদানন্দ মধ্যমগ্রামে এসে থাকতেন। গত তিনদিন ধরে সচ্চিদানন্দ মধ্যমগ্রাম এলাকাতেই ছিলেন। তার প্ল্যান ছিল গত পরশু রাতে ওই মহিলার স্বামীকে খুন করার। কিন্তু তার আগেই রবিবার মধ্যরাতে মধ্যমগ্রাম বয়েজ স্কুল সংলগ্ন রবীন্দ্র মুক্ত মঞ্চ এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের অভিযুক্ত যুবক সচ্চিদানন্দের বাঁ হাত এবং পা উড়ে যায়। শরীরজুড়ে তৈরি হয় একাধিক ক্ষত। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। জানা গিয়েছে, মৃত যুবক উত্তরপ্রদেশের বস্তি জেলার বাসিন্দা। তবে কাজের সূত্রে হরিয়ানাতে থাকতেন সচ্চিদানন্দ। সেখানকার একটি গ্লাস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন তিনি। পরিবারের সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল না। এমনকী তিনি যে মধ্যমগ্রামে এসেছিলেন তাও জানত না তাঁর পরিবার। বারাসত জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খড়িয়া জানান, “মৃতের কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ফরেন্সিক টিমের তরফে জানানো হয়েছে ইলেকট্রনিক ডিভাইসে ভুল করে চাপ কিংবা অসাবধানতার ফলেই বিস্ফোরণ হয়েছে। কী রকম বিস্ফোরক ছিল, তা নমুনা বিশ্লেষণের রিপোর্ট পাওয়ার পরেই জানা যাবে। ঘটনার তদন্ত চলছে। খুব শীঘ্রই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে। মৃতের পরিবারের লোকজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার ময়নাতদন্ত হলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে।” সব মিলিয়ে মধ্যমগ্রাম কাণ্ডে রহস্য ক্রমশই দানা বাঁধছে।
শুভেন্দু গড়ে ঘাসফুল ফোটাতে মরিয়া অভিষেক, তমলুক ও বারাসত নিয়ে আজ বৈঠকে বসছেন

বর্তমানে সংসদে তৃণমূলের চিফ হুইপের দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে স্বভাবতই ব্যস্ততা বেড়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু তার মধ্যেও ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে নতুন করে দলের সংগঠন সাজাতে তৎপর তিনি। আর সেই উদ্দেশ্যেই প্রতি সপ্তাহে এক একটা জেলা ধরে ধরে তাদের নেতৃত্বদের সঙ্গে নিজে বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের এই সেকেন্ড-ইন কমান্ড। সেই বৈঠকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে যেমন প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, তেমনই আগামী নির্বাচনের রণকৌশলও তৈরি করে দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেননা ২৬শে নির্বাচনের আগে দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করতে না পারলে বিজেপির সঙ্গে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা যে মোটেও সহজ হবে না, তা ভালো মতোই জানেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর তাই জেলা স্তরের নেতারাদের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক খামতি পূরণে মরিয়া তিনি। কেননা বিজেপিকে এই রাজ্যে এক ইঞ্চি জমিও ছেড়ে দেওয়া হবে না বলে যে চ্যালেঞ্জ তিনি নিয়েছিলেন তা কার্যকর করতে হলে সবার আগে তৃণমূল স্তরের সংগঠনকে যে আরও শক্তিশালী করতে হবে তা ভালো মতোই জানেন অভিষেক। তাই জেলা স্তরের নেতারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানোর দিকে জোর দিচ্ছেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে তাই নিয়ম মাফিক ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে জেলা স্তরের নেতারাদের নিয়ে মিটিং সারছেন তিনি। গত সপ্তাহে মালদা ও মুর্শিদাবাদ নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠকের পর আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার অভিষেক ডেকে পাঠিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক সাংগঠনিক কেন্দ্রের নেতৃত্বদের। সেই সঙ্গে আজ ক্যামাক স্ট্রিটের বৈঠক থাকবেন উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বও। এই বৈঠকে থাকার কথা দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিরও। সব মিলিয়ে আজকের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পূর্ব মেদিনীপুর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় নামে পরিচিত। এখানেই গত বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছিলেন শুভেন্দু। এমনকী গত লোকসভা নির্বাচনেও এই জেলার ১৪টির মধ্যে ১৩টি বিধানসভাতেই তৃণমূল হেরে গিয়েছিল। সব মিলিয়ে বঙ্গ রাজনীতির হাইভোল্টজ কেন্দ্র বলেই পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুর। তাছাড়া এখানে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দলের একাংশের বিরোধী দলের সঙ্গে যোগসাজশ রাখা নিয়ে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ ওঠে। সেসব নিয়েই আজ বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। শুভেন্দুর গড়ে ঘাসফুল ফোটাতে জেলা নেতৃত্বকে কী বার্তা দেন অভিষেক সেদিকেই নজর সকলের। পাশাপাশি বারাসতের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র নিয়েও নতুন কী রণকৌশল সাজান অভিষেক তা নিয়েও কৌতূহলী রাজনৈতিক মহল। কেননা এই কেন্দ্র থেকে নানান সময়ে নাগরিক পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের অভিযোগ সামনে এসেছে। ফলে এসবের বিরুদ্ধে জেলা নেতৃত্বকে কী দাওয়াই দেন অভিষেক, তাও তাৎপর্যপূর্ণ। গতকালই দিল্লি থেকে ফিরেই আজ হাইভোল্টজ বৈঠকে বসছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। এর থেকেই স্পষ্ট যে নির্বাচনের আগে নতুন করে বিজেপির বিরুদ্ধে রণকৌশল তৈরিতে তৎপর তৃণমূল। কেননা ২৬শে বিজেপির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াইয়ে সহজ জয় হাসিল করাই যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আর সেই লক্ষ্যের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যেন ভুলতে পারছেন না ট্রাম্প!

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি যে তাঁর মধ্যস্থতাতেই হয়েছে তা নিয়ে এর আগেও একাধিক বার সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকে রীতিমত বিবৃতি দিয়ে সেই দাবিকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে স্পষ্ট করেই বলা হয়েছিল পাকিস্তানের তরফ থেকে যুদ্ধ বিরতি চেয়ে ভারতের কাছে আবেদন জানানো হয়, তারই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সংঘর্ষ বিরতিতে যায়। ভারত অন্য কারও চাপে পড়ে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। যদিও ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির পরেই শান্তি পুরস্কারের জন্য পাকিস্তানের তরফ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম সুপারিশ করা হয়। এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকেও উঠে আসলো ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ। গত সপ্তাহেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাস্কায় একান্ত বৈঠক সারেন ট্রাম্প। সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে উভয় তরফ থেকেই দাবি করা হয়েছিল। সেই আবহে এবার জেলেনস্কির সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। এই বৈঠক শেষেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, “রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামবে। এটা কখন থামবে তা আমি বলতে পারব না। তবে জেলেনস্কি এবং ভ্লাদিমির পুতিন এই যুদ্ধ থামাতে চান। আমি ভেবেছিলাম, এই যুদ্ধ থামানো সবচেয়ে সহজ হবে। তবে এটাই সবচেয়ে কঠিন। এর অনেকগুলি কারণ আছে। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন কথা হবে। যেমন ভারত-পাক নিয়ে কথা হবে। আমরা এখানে বড় বড় জায়গা নিয়ে কথা বলছি।” এমনকী তিনি যে শান্তির দূত হিসাবে এখনও পর্যন্ত ৬টি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ থামিয়েছেন তার পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। ট্রাম্প বলেন, “আফ্রিকাতেও আমরা যুদ্ধ থামিয়েছি। রাওয়ান্ডা এবং কঙ্গোর যুদ্ধ দেখুন। ৩১ বছর ধরে সেই যুদ্ধ চলে আসছিল। আমরা এখনও পর্যন্ত ৬টি যুদ্ধ থামিয়েছি। আমরা ইরানের পরমাণু বোমা বানানোর ক্ষমতা নষ্ট করে দিয়েছি। আর আমার মনে হয় এই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও আমরা থামিয়ে দেব। আমি এই যুদ্ধ থামানোর বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী।” এভাবেই এদিন বৈঠক শেষে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও ভারতের উপর সাম্প্রতিক সময়ে বাণিজ্য শুল্ক ৫০ শতাংশ করেছেন ট্রাম্প। কিন্তু তার পরেও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সংসদে দাঁড়িয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, কোনও চাপের কাছেই ভারত মাথা নত করবে না। এখন পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সেটা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে স্পষ্ট হবে।