আবারও হরিয়ানায় আটক বসিরহাটের পরিযায়ী শ্রমিক

আবার আক্রান্ত হলেন বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক। তামিলনাড়ুর পর এবার হরিয়ানায় বাংলা বলায় বাংলাদেশী সন্দেহে আটক বসিরহাটের যুবক। বসিরহাট পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্যাবলার বাসিন্দা গফফার মণ্ডল। পরিযয়ী শ্রমিকের কাজ করতে গত ১৫ দিন আগে সে হরিয়ানায় যায়। সেখানেই বাংলা ভাষায় কথা বলায় বাংলাদেশী বলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তার পরিবারের। মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পর তাকে আটকে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাকে আটকে রাখার অভিযোগ ওখানকার স্থানীয় লোকজনের বিরুদ্ধে। হরিয়ানা থেকে গত তিন দিন আগে ১১ আগস্ট রাত্রি সাড়ে এগারোটার সময় তার শেষ ফোন এসেছিল স্ত্রীর মনোয়ারা বিবির কাছে। লুকিয়ে শৌচালয় থেকে ফোনে কাঁদতে কাঁদতে গফফার জানায়, তাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করছে বাংলা ভাষায় কথা বলায়। তারপর থেকে তার মোবাইলের ফোন সুইচ অফ। তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারছে না তার পরিবার। স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় রয়েছে তার পরিবারের লোকজন। তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যাতে সুষ্ঠুভাবে তাদের পরিবারের সদস্য ফিরে আসে। ইতিমধ্যে বসিরহাট থানা এবং বসিরহাট পৌরসভার কাছে লিখিতভাবে আবেদন জানিয়েছে গফফারের পরিবার। যাতে সুস্থ, স্বাভাবিক ও সসম্মানে গফফার মণ্ডল বাড়ি ফেরে তার জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন তার পরিবার। স্ত্রী মনোয়ারা বিবি বলেন, “আমার স্বামীর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, এটিএম ও প্যান কার্ড সহ উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে দেখালে তারা মানতে চায়নি। আমাদের আবেদন আমার স্বামী যেন তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসে।”
মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান

সরকারি প্রকল্পকে একেবারে তৃণমূল স্তরে পৌঁছে দিতে গত মাসে নবান্ন থেকেই ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রান্তিক মানুষ যেন সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয় সেকারণেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্পের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান। ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ প্রকল্পের প্রশংসা করলেন খোদ বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা ব্লকের কোনিয়াড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান সমীর বিশ্বাস বুধবার কোনিয়াড়া ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের করঙ্গ প্রাইমারি স্কুলে ‘আমাদের পাড়া আমাদের সমাধান’ ক্যাম্পে উপস্থিত হন। ওখান থেকেই এই প্রকল্পকে জনমুখী প্রকল্প বলে আখ্যা দেন। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকার যদি আমাদের ট্যাক্সের টাকা গ্রামের উন্নয়নের জন্য ব্যবহার করে তাহলে অবশ্যই ভালো কাজ। আমি এটাকে পূর্ণ সমর্থন করি। এতে করে গ্রামের প্রান্তিক মানুষ উপকৃত হবে। যেটা ভালো সেটাকে ভালো বলতেই হবে। আবার খারাপ কাজের সমালোচনা করতে হবে। আগে কোন সরকার এমন কাজ করেনি। এই সরকার মনে করেছে সাধারণ মানুষের এই কাজ প্রয়োজন, তাই করছে।আমি এ কারণে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।” যদিও এই বিষয়ে বনগাঁ জেলা বিজেপি সভাপতি বিকাশ ঘোষ সম্পূর্ণ ঘটনা না জেনে মন্তব্য করতে চাননি। তিনি জানিয়েছেন, “বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান কোন পরিপ্রেক্ষিতে এ ধরনের মন্তব্য করেছেন তা আমার জানা নেই। আমি পুরো বিষয়টা জেনে তবেই বলতে পারব।” অন্যদিকে এই ঘটনায় বিজেপি প্রধানের দূরদর্শীতার বাহবা দিয়েছেন বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি জানিয়েছেন, “বিজেপিতে নিশ্চিত কিছু ভালো মানুষ আছে। তার মধ্যে সমীর একজন। ও বুঝতে পেরেছে বাংলা ও বাঙালির প্রতি বঞ্চনার প্রতিবাদ করা উচিত। তাই তো অন্তর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে।” আসলে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদী মনোভাবের তারিফ করে পরোক্ষে যে বিজেপির বাংলা বিরোধিতার প্রতিবাদ করতে চেয়েছেন বলেই মনে করছেন তৃণমূল সভাপতি।
পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে উঠল পাক সেনা বিরোধী শ্লোগান

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিও রীতিমত ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে পাকিস্তান সেনা বিরোধী শ্লোগান দিতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজনকে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি প্যারালাল নিউজ। সেই ভিডিওতে তাদের বলতে শোনা গেছে— ‘আমেরিকার পালতু কুকুর, ইউনিফর্ম পরিহিতরা’। পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসের দিন পাক সেনাবাহিনী সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ। মনে করা হচ্ছে, পাকিস্তানের অন্দরেই পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। কেননা মুনির ঘন ঘন আমেরিকা সফর করছেন। এমনকী ট্রাম্পের সঙ্গেও নাকি মধ্যাহ্নভোজে অংশ নিয়েছিলেন। পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের কোথাও মনে হয়েছে পাক সেনাপ্রধান আমেরিকার গোলামি করছে, তাই তারা এটাকে ভালো চোখে দেখছেন না। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে সেই ক্ষোভেরই হয়তো বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে। সম্প্রতি আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতকে একের পর এক হুমকি দিয়েছেন পাক সেনা প্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। অথচ ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন এই পাক সেনাপ্রধানই সবার আগে বাঙ্কারে গিয়ে লুকিয়েছিলেন। অথচ এখন আমেরিকার মদতে নিজেদের পারমাণবিক শক্তিধর হিসেবে দাবি করে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। যদিও ভারত সরকারের তরফ থেকেও কড়া ভাষায় এর প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। এমনকী আমেরিকার মাটিতে দাঁড়িয়ে মুনির এ ধরনের মন্তব্য করায় আমেরিকার প্রতিও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে দিল্লি। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আবহে আমেরিকা তরফ থেকে বারবার দাবি করা হয়েছিল যে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতাতেই নাকি দুই দেশ যুদ্ধ বিরতিতে গেছে। এমনকী তারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের প্রবণতাকে রুখে দিয়েছে বলে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল। যদিও ভারত সরকার বিবৃতি দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছিল কারও মধ্যস্থতাতে নয়, পাকিস্তান যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল বলেই তারা সেটা গ্রহণ করেছিল। এই আবহে পাকিস্তান সেনা প্রধানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এমনকী ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেয় পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। এইসমস্ত বিষয় যে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশ ভালভাবে নেয়নি এই ভাইরাল ভিডিও তারই প্রমাণ।
‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ১২ বছর পূর্তিতে বাংলার মেয়েদের কী বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ?

২০১৩ সালের ১৪ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের নারীদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্য রাজ্যে ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাঝে কেটে গিয়েছে ১২টা বছর। দীর্ঘ এই একযুগে এই প্রকল্প নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনাও কম হয়নি। শুনতে হয়েছে বিরোধীদের নানা টিপ্পনিও। তা সত্ত্বেও এই প্রকল্পের প্রভাবে কোনও ঘাটতি পড়েনি। দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও পুরস্কৃত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্প। ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের ১২ বছর পূর্তিতে সে কথাই স্মরণ করলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই প্রকল্পের খতিয়ান তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন— “আমাদের সকলের গর্বের কন্যাশ্রী প্রকল্প আজ ১২ বছরে পা দিল। সারা বিশ্ব, সারা দেশ এবং সারা বাংলার সব কন্যাশ্রীদের জানাই অভিনন্দন।” পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দিয়েছেন, ইউনেস্কো এই প্রকল্পকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি দিয়েছে ৬২টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে প্রথম স্থান পেয়ে কন্যাশ্রী জিতেছে ইউনাইটেড নেশনস পুরস্কার। এতদিনে যে রাজ্যের ৯৩ লক্ষের বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় এসেছে এবং তাঁদের হাতে পৌঁছে গেছে প্রায় সাড়ে সতেরো হাজার কোটি টাকা, সে কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ওই পোস্টে। রাজ্যের নারীদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন— “জীবনে বড় হও, দেশের ও রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করো। তোমরাই একদিন বিশ্ববাংলা গড়বে, বিশ্বে সম্মানের মুকুট মাথায় পরবে।” আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মেয়েদের উচ্চশিক্ষা ও স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে সামনে সারিতে তুলে আনতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় ২১ বয়সে পৌঁছনো ছাত্রীদের এককালীন ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়, যা সরাসরি তাঁদের নিজস্ব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এই প্রকল্পের ব্যাপ্তি ও প্রসারতা যে সর্বজনবিধিত তার উল্লেখ করে রাজ্যের মেয়েদের এদিন ‘কন্যাশ্রী’ দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পের একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন— “আমি কন্যাশ্রী, আমি ভবিষ্যতের অনন্যা।” সব মিলিয়ে ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই প্রকল্পকেও আরও একবার মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার এও এক কৌশল হিসাবে এই বিষয়টিকে দেখছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তৃণমূল সরকারের সাফল্যের খতিয়ানকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এও এক প্রয়াস।
মুখ্যসচিবকে তবল করে রাজ্য সরকারকে কড়া বার্তা কমিশনের, বেঁধে দেওয়া হল সময়সীমা

রাজ্য সরকার এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মধ্যে আবারও ঠান্ডা লড়াই অব্যাহত। ২৬শে বিধানসভা ভোটের আগে যে এই সংঘাত আরও চরমে উঠবে তার আঁচ পাওয়া গেল গত বুধবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে দিল্লিতে তলবের পরেই। সেখানে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ভোটার তালিকায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চার অফিসারকে সাসপেন্ড করার এবং এফআইআর দায়েরের যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হল। আগামী ২১ আগস্টের মধ্যে এই নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে আবারও কমিশনের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের আঁচ করছেন রাজনৈতিক মহল। প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকা সংক্রান্ত অভিযোগের জেরে গত সপ্তাহে চার সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠায় কমিশন। তার মধ্যে দু’জন ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার (ERO) এবং দু’জন সহকারী ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারকে (AERO) সাসপেন্ড করে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দু’জন ডব্লুবিসিএস অফিসারও ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নের তরফ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, একজন এইআরও এবং একজন ডেটা এন্ট্রি অপারেটরকে তারা নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেবে। পাশাপাশি বাকি অফিসারদের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার নিজে তদন্ত করবে। সেখানে দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে রাজ্য সরকার, নচেৎ নয়। যা একপ্রকার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশকে অমান্য করার সামিল। আর এর পরেই নড়েচড়ে বসে কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তড়িঘড়ি দিল্লিতে তলব করা হয়। সেখানে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ অমান্য করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি নিজের দায়িত্ব সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। পাশাপাশি তিনি এও জানান অভিযুক্ত অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের এক্তিয়ার তাঁর নেই, পুরো বিষয়টিই নির্ভর করছে রাজ্য সরকারের উপর। মুখ্যসচিব সচিব নাকি এও জানিয়েছেন কমিশনের নির্দেশ মতো ওই চার অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা, তা একান্তই মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করছে। তিনি বড়জোর মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ম জানিয়ে দিতে পারেন, কিন্তু তার বেশি কিছু করার এক্তিয়ার তাঁর নেই। এর পরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ওই চার অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আরও সাতদিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখার কমিশনের এই কঠোর নির্দেশের পর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কী ভূমিকা পালন করা হয়। তবে কমিশন ও রাজ্য সরকারের এই ঠান্ডা লড়াই যে আরও দীর্ঘায়িত হবে, সেই সম্ভবনাই দেখছে বিশিষ্ট মহল।