মালদার কালিয়াচক থেকে উদ্ধার প্রায় আড়াই কোটা টাকার মাদক

প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাদক উদ্ধার। মালদার কালিয়াচক থানা এলাকায় উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ মাদক। সোমবার সকালে পৃথক পৃথক দুই অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাদক সহ ধৃত তিন মাদক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল কালিয়াচক থানার পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃত তিন পাচারকারীর নাম যথাক্রমে সামেদ সেখ (২০) বছর, সামিমা আক্তার (৩০) বছর এবং অপরজনের নাম মহম্মদ রফিকুল ইসলাম। তিনজনেরই বাড়ি মালদার কালিয়াচক থানা এলাকায়। এদের মধ্যে সামেদ সেখ এবং সামিমা আক্তারকে কালিয়াচক থানার পুলিশ জালালপুরের নতিবপুর এলাকায় ১২ নং জাতীয় সড়ক থেকে পাকড়াও করে। তল্লাশিতে ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ১ কেজি ৫৩৯ গ্রাম ব্রাউন সুগার। এবং রফিকুল ইসলামকে গোলাপগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ পাকড়াও করে সুজাপুর এলাকা থেকে। তার হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় ৫২০ গ্রাম ব্রাউন সুগার। সব মিলিয়ে পৃথক পৃথক দুই অভিযানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার মাদক উদ্ধার হয়। ধৃতরা বিপুল পরিমাণ মাদক কোথা থেকে পেল? কোথায় পাচার করতে যাচ্ছিল? এই পাচার চক্রে আরও কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতদের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে আজ মালদা আদালতে তোলা হয়।
পঞ্চায়েত প্রধানের সই ও স্ট্যাম্প নকল, থানায় অভিযোগ দায়ের

পঞ্চায়েত প্রধানের স্ট্যাম্প এবং সই নকল করার অভিযোগে এবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন খোদ পঞ্চায়েত প্রধান। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকে বেনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। বেনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেসের প্রধান জাকির হোসেনের অভিযোগ, তাঁর কাছে পাইকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ফারুক নামের এক যুবক ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্পের ডেথ ক্লেমের ফর্ম নিয়ে আসেন এবং তাঁকে সেই ফর্মে সই করার জন্য অনুরোধ করেন। সেসময় ফর্ম হাতে নিতেই তিনি দেখেন যে, ওই ফর্মে আগে থেকেই প্রধানের সই এবং স্ট্যাম্প রয়েছে। যদিও বেনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জাকির হোসেনের অভিযোগ ফর্মে প্রধানের ওই সই এবং স্ট্যাম্প নকল। প্রধানের আরও দাবি, কোনো দালাল চক্র এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। বেনিয়াগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহ: জাকির হোসেন ফরাক্কা থানায় লিখিত অভিযোগ করেন এবং এবিষয়ে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদনও জানান।
ছবি ও ঠিকানা পাল্টে ভোট কারচুপির অভিযোগ রাজারহাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে

ছবি এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে ভোট হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রাজারহাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে, এই ঘটনায় চরম বিপাকে গাইঘাটার পরিমল দাস। ভোটার কার্ডে নাম, বাবার নাম এবং এপিক নাম্বার এক রেখে শুধুমাত্র ছবি এবং ঠিকানা পরিবর্তন করে ভোটার কার্ড বানানো অভিযোগ উঠল রাজারহাট নিউটাউনের এক যুবকের বিরুদ্ধে। যার ফলে গাইঘার পরিমলের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে বলেই অভিযোগ। সূত্রের খবর, গাইঘাটা থানার সুটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঘরিয়ার বাসিন্দা পরিমল দাস। ২০০৩ সালে ১৯ বছর বয়সে তিনি ভোটার হন। তার পর থেকে তিনি ভোট দিচ্ছিলেন সমস্ত নির্বাচনে। পরিমল বাবুর আরও অভিযোগ, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তিনি ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারে ভোট তালিকা থেকে তার নাম কাটা গিয়েছে। খোঁজ নিয়ে পরিমল জানতে পারে, তার এপিক নম্বরে রাজারহাট নিউটাউনের এক ব্যক্তি ভোট দিচ্ছে। যেখানে পরিমলের নাম, বাবার নাম এবং এপিক নম্বর এক, শুধুমাত্র ছবি এবং ঠিকানা পরিবর্তন হয়েছে। পরিমলের অনুমান এর পিছনে বড় কোনও চক্র কাছ করেছে। বিভিন্ন নেতাদের জানিয়েও কোনও সুরাহা মেলেনি। ভোটার কার্ড ফিরে পেতে তাই গাইঘাটার বিডিও-র কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে পরিমল দাস। তার অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার নীলাদ্রি সরকার। বিষয়টি সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর বলেন, “তৃণমূলের আমলে সব কিছুই সম্ভব। পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটির উপরে ভুয়ো ভোটার আছে। প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে ভুয়ো ভোটার, মৃত ভোটার রেখে নির্বাচনে জেতার কৌশলের তৃণমূল কংগ্রেস পারদর্শী হয়ে গেছে। এটা পাহারের চূড়া মাত্র। এর নিচে পুরো পাহাড় রয়েছে।” পাশাপাশি এই প্রসঙ্গে রাজ্যে এসআইআর করার প্রয়োজনীয়তার কথা জানান তিনি। অন্যদিকে সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি নরোত্তম বিশ্বাস বলেন, “এটা দেখা তো কেন্দ্র এবং নির্বাচন কমিশনের কাজ। এ ধরণের কাজ যদি হয়ে থাকে, তাহলে কি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ঘুমাচ্ছে? বিরোধী থাকতে গেলে শাসককে অনেক কিছু বলতে হয় তাই গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক প্রলাপ বকছেন।”
আবারও তামিলনাড়ুর পুলিশের হাতে আটক বাংলার পরিযায়ী শ্রমিক

আবারও বাংলায় কথা বলার অভিযোগে ভিন রাজ্যে পুলিশের হাতে আটক পরিযায়ী শ্রমিক, এমনটাই অভিযোগ পরিবারের, নাগরিকত্বের সমস্ত রকম তথ্য দেওয়ার পরেও আজ ২১ দিন আটকে রেখেছে তাদের, বাড়ির মানুষকে বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার আর্জি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। টাকি পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা রাজিব শেখ নামে এক ব্যক্তি তামিলনাড়ুতে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে। বিগত পাঁচ বছর ধরে সেখানে কাজ করছে সে। হঠাৎই আজ থেকে একুশ দিন আগে অর্থাৎ গত ২২ জুলাই রাজিব শেখ সহ বেশ কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায় তামিলনাড়ুর পেরেমবালা থানা পুলিশ। যদিও সেখানে পুলিশের হেফাজতে থাকার পরেও রাজিব শেখ তাঁর পরিবারের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারছিল বা পরিবার তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল বলেই জানা যাচ্ছে। এরপর সেখানকার থানার পুলিশ বিভিন্ন নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ায় সমস্ত রকম নাগরিকত্বের প্রমাণ তার পরিবার পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরেও ২১ দিন কেটে গেছে, এখনও রাজিব শেখকে ছাড়েনি তামিলনাড়ুর পুলিশ। এমনকী এখন আর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না তার পরিবারের লোকজন, এমনই জানানো হয়েছে তাঁর পরিবার সূত্রে। এই অবস্থায় রীতিমতো দুশ্চিন্তায় পড়েছে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানরা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের দাবি, বাংলায় কথা বলার কারণেই রাজিব শেখকে সেখানকার পুলিশ আটক করেছে। সংসারের একমাত্র উপার্জনের রাস্তাও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছে গোটা পরিবার। তাঁর স্ত্রীর পক্ষে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কী করে সংসার চলবে সেটাই বুঝতে পারছেন না তাঁর স্ত্রী মোনোরা বিবি এবং ছেলে জাহিদুল ইসলাম শেখ। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তার স্ত্রীর কাতর আবেদন, তাঁর স্বামীকে অবিলম্বে রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। যদিও এই বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন টাকি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোবিন্দ সরকার।
‘আরজি কর কাণ্ডে প্রকৃত দোষী শাস্তি পায়নি’— বিস্ফোরক দাবি চিরঞ্জিতের

আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু অভয়া কাণ্ডের ন্যায় বিচার নিয়ে দড়ি টানাটানি এখনও অব্যাহত। অভয়ার বাবা-মায়ের দাবি, তাঁদের মেয়ে ন্যায় বিচার পায়নি। প্রকৃত অপরাধী এখনও ধরা পড়েনি। এর জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিত ভাবেই পুরো বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে চাইছেন। এক্ষেত্রে সরকারের উদিচ্ছার অভাবকেই দায়ী করছেন তাঁরা। সেকারণেই ৯ আগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দেন অভয়ার বাবা-মা। এবার অভয়ার মা-বাবার সুরেই সুর মেলালেন তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও মনে করেন, আরজি কর তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনে প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়েনি। তাঁর বক্তব্য, “আমি আমার দিক থেকে বলতে পারি, এর কিন্তু সমাধান হতেই হবে। আমার মনে হয় না, দোষীরা এখনও সাজা পেয়েছে। আমার কেন, কারও মনে হয় না। সিবিআই চোখ বন্ধ করে আছে।” পাশাপাশি নবান্ন অভিযানে গিয়ে অভয়ার মায়ের কপালে আঘাত লাগার প্রসঙ্গে দুঃখপ্রকাশ করে চিরঞ্জিৎ সরাসরি বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন, “কে করেছে তা তো বোঝা যাচ্ছে না। যাঁরা নিয়ে গিয়েছিলেন ওঁদের, তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া উচিত ছিল। বিজেপি ঘিরে ছিল ওঁদের, তারপরেও যদি উনি আহত হন তাহলে বুঝতে হবে সেই ঘেরাটা সঠিক হয়নি। তবে আমি খুব দুঃখিত, আমি মর্মাহত, যে ওঁর লেগেছে। একেবারেই উচিত ছিল না।” যদিও চিরঞ্জিতের বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় অভয়ার বাবা কিছুটা কটাক্ষের সুরেই বলেছেন যে, দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে চিরঞ্জিৎ এভাবে মন্তব্য করায় তাঁকে না আবার শাস্তির মুখে পড়তে হয়। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, “গত ৯ তারিখ যেদিন আমার মেয়ের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে, সেদিন কলকাতা পুলিশ, আরজি কর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং তৃণমূল দল আমাদের ওপর যে অত্যাচার চালিয়েছিল, তার সমাধান যদি না হয়, আমরা এর বিচার পাব না। বিশ্বের সেরার সেরা তদন্ত কমিটিও যদি আসে, এর বিচার পাওয়া মুশকিল। কলকাতা পুলিশকে আগে সঠিকভাবে তথ্যপ্রমাণ দিতে হবে। আদালত চাইলেই সিবিআইকে দিয়ে সঠিক তদন্ত করাতে পারে। কিন্তু সেই আদালতেই রাজ্য সরকার আমাদের বিরোধিতা করছে, যাতে আমরা ন্যায় বিচার না পাই। এমনকী গত শনিবার নবান্ন অভিযানে আমাদের উপর অহেতুক পুলিশি আক্রমণ করে সরকার আরও একবার প্রমাণ করে দিল, এক বছর আগে আমরা যে তিমিরে ছিলাম সেখানেই আছি। সরকারকে তার অবস্থান থেকে টলাতে পারিনি।” যদিও তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে। তাঁর মতে এই কেসের দায়িত্ব তো সিবিআইয়ের হাতে আছে, তাহলে তারা কেন প্রকৃত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পারছে না?
তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ডেকে পাঠাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

চলতি মাসের শুরুতেই দলের মধ্যে থেকেই কার্যত বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তিনি স্পষ্ট করেই জানিয়ে দিয়েছিলেন দলে গুরুত্ব না পেলে নতুন দল খুলবেন তিনি। তিনি যে শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রীক দল খুলতে চান না—সেখানে উত্তর দিনাজপুর, মালদা এবং নদীয়ারও যে একটা বড় অংশ থাকবে তাও স্পষ্ট করেছিলেন হুমায়ুন। এমনকী দলের হাইকম্যান্ডকে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য ১৫ আগস্টের ডেটলাইনও বেঁধে দিয়েছিলেন। এবার তৃণমূলের সেই বিক্ষুব্ধ বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ডেকে পাঠাল তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত সপ্তাহ থেকেই তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড তাঁর ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে প্রতিটি জেলা ধরে ধরে তার নেতৃত্বের সঙ্গে একান্ত বৈঠক করছেন। সেই বৈঠকে যেমন দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তেমনই ২৬শে বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশলও তৈরি করে দিচ্ছেন অভিষেক। সেই মতো গত সপ্তাহে উত্তরের চার জেলা যেমন আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি এবং মালদহ জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে দু-দফায় বৈঠক সারেন তিনি। আজ, অর্থাৎ সোমবার তিনি বৈঠকে বসবেন উত্তর দিনাজপুর, বহরমপুর এবং মুর্শিদাবাদের জেলার সাংগঠনিক নেতৃত্বদের নিয়ে। এই বৈঠকে ডাকা হয়েছে হুমায়ুন-সহ তিন জেলার দশ বিধায়ককে। সেক্ষেত্রে হুমায়ুন কবীরের বেঁধে দেওয়া ১৫ আগস্টের আগেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাক পেলেন ডেবরার বিধায়ক। এই বৈঠক প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীর বলেছেন, “সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক দশদিন আগেই এই বৈঠকের ডাক দিয়েছিলেন। সুতরাং, আমি যাব না এমনটা হতে পারে না। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।” যদিও এই বৈঠকের আগে নতুন দল গঠন নিয়ে মুখ খুলতে চাননি হুমায়ুন। তিনি মনে করেন তাঁর সম্মানের কথা মাথায় রেখেই দল যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবে। সেক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তের পরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন তিনি। অতএব সব মিলিয়ে সোমবারের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই বৈঠকে ডেবরার বিদ্রোহী বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে কোনও বোঝাপড়াতে যাবে তৃণমূল হাইকমান্ড, নাকি হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে অন্য কোনও পরিকল্পনা আছে দলের, তাও স্পষ্ট হয়ে যাবে এদিনের বৈঠকে। তাছাড়া একদা অধীর গড় বলে পরিচিত বহরমপুর নিয়ে সাংগঠনিক নেতৃত্বদের কী বার্তা দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তাও দেখার। সব মিলিয়ে ক্যামাক স্ট্রিটে সোমবারের হাইভোল্টজ বৈঠক ঘিরে ক্রমশই উত্তেজনার পারদ চড়ছে।
আবারও মেট্রো বিভ্রাট, ভোগান্তিতে নিত্যযাত্রীরা

মেট্রো বিপর্যয়ে নাকাল শহরবাসী। একের পর এক বিভ্রাটের ঘটনায় মেট্রো পরিষেবা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সোমবারের কর্মব্যস্ত সকালেও নোয়াপাড়া মেট্রো স্টেশনে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জেরে দীর্ঘ ৪০ মিনিট বন্ধ ছিল শহিদ ক্ষুদিরামগামী মেট্রো। শেষপর্যন্ত দমদম স্টেশন থেকে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে প্রথম মেট্রো ছেড়ে শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনের দিকে রওনা দেয়। যেখানে দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রতিদিন প্রথম মেট্রো ছাড়ে সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটে। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবেই চরম ভোগান্তির শিকার স্কুল-কলেজের পড়ুয়া থেকে অফিস যাত্রীরা। সপ্তাহের প্রথম দিনেই ধরনের ঘটনা ঘটায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাধারণ নিত্যযাত্রীরা। তাদের অনেকের অভিযোগ, প্রযুক্তিগত সমস্যার খবর আগাম না জানিয়ে কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের অসুবিধা আরও বাড়িয়েছে। কলকাতা মেট্রোর জনসংযোগ আধিকারিক রূপায়ণ মিত্র বলেছেন, “থার্ড লাইনে বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকার কারণে দক্ষিণেশ্বর থেকে প্রথম মেট্রো ছাড়েনি। প্রথম মেট্রো দমদম স্টেশন থেকে ছাড়ে ৭টা ৩০ মিনিটে। পরে পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।” কিন্তু তারপরেও মেট্রো পরিষেবা যে দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে, সেই অভিযোগ তুলে মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দুষছেন সাধারণ নিত্যযাত্রীরা।
তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্প, একাধিক পর্যটন কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত

২০২৩-এর পর আবারও ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তুরস্ক। সে সময় প্রায় পঞ্চাশ হাজারের উপর মানুষ মারা গিয়েছিলেন। গত রবিবার পশ্চিম তুরস্কে ইস্তানবুল সহ একাধিক জায়গায় জোরাল কম্পন অনুভূত হয়েছে। বেশ কিছু বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। রবিবার সন্ধে ৭ টা ৫৩ মিনিট নাগাদ, অর্থাৎ ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল ৪টে ৫৩ মিনিটে পশ্চিম তুরস্কের সিনদিরগি-তে ভয়াবহ এই ভূমিকম্প ঘটে বলেই তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৬.১। শুধুমাত্র সিনদিরগিতেই নয়, ইস্তানবুল, ইজমির সহ একাধিক পর্যটনকেন্দ্রে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বালিকেসির প্রদেশও। সেখানে একাধিক বড় বড় বিল্ডিং ভেঙে পড়েছে। ভূমিকম্পে দেশের বাকি অংশেও অল্প-বিস্তর ক্ষয়ক্ষতির খবর সামনে এসেছে। এমনকী ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে ইতিমধ্যেই উদ্ধারকাজও শুরু হয়েছে। তবে প্রশাসনের তরফে এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি এবং মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। তবে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলি ইয়েরলিকায়া জানিয়েছেন, উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত অনভিপ্রেত কোনও খবর মেলেনি।