‘আগে কর্মচারীদের ডিএ-টা মেটান’—শুভেন্দু অধিকারী

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোরে পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে পুজোর অনুদান ২৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। গতবার পুজোর অনুদান বাবদ ৮৫ হাজার টাকা থাকলেও, এবছর তা বাড়িয়ে করা হল ১ লক্ষ্য ১০ হাজার টাকা। সাথে বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও ৮০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পুজো অনুদান বৃদ্ধি নিয়ে বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন বিরোধী দলনেতা বলেন, “১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা কেন, পারলে ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা দিন। কিন্তু তার আগে কর্মচারীদের ডিএ-র টাকাটা মেটান।” পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, “আগে চাকরি দিন। রাজ্য প্রায় ৬ লক্ষ পদ আছে সেই পদগুলো পূরণ করুন। আশা কর্মী, আইসিডিএস, কন্ট্রাকচুয়াল, সিভিক ভলেন্টিয়ার, ভিলেজ পুলিশ, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর এদের বেতন বাড়ান। তারপর যা ইচ্ছা তাই করুন।” শুভেন্দুর আরও সংযোজন, “দেখতে থাকুন, এবার উনি ইমাম মোয়াজ্জেমদের ভাতাও ৫০০ টাকা করে বাড়িয়ে দেবে।”
পরিযায়ী শ্রমিকদের পুজোয় নতুন জামা কাপড় দিতে উদ্যোক্তাদের অনুরোধ মমতার

শুধু রাস্তায় নয়, এবার সরাসরি ‘মা’য়ের মত তাদের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই বাংলার বাইরে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর লাগাতার নিপীড়নের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের বড়সড় কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুরু হয়েছে ‘ভাষা আন্দোলন’। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতি আর্জি জানালেন, ”ওঁদেরও (পরিযায়ী শ্রমিক) পুজোয় নতুন জামাকাপড় দেবেন।” ইতিমধ্যেই ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারগুলির দায়িত্ব নেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়েছেন, তাঁদের জন্য জব কার্ড দেওয়া হবে। কর্মশ্রী প্রকল্পের কাজ, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড– সবই দেওয়া হবে। এবার সেই পরিবারগুলোকে দুর্গা পুজোয় শামিল করে নেওয়ার ভাবনা ভেবেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা যাতে বাকিদের মতো নতুন জামাকাপড়েও সেজে উঠতে পারেন, সেদিকে নজর রেখে পুজো উদ্যোক্তাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা, ”ওঁদেরও পারলে পুজোয় নতুন জামাকাপড় দিন।” এভাবেই যে কোনও পরিস্থিতিতে সদাসর্বদা বঙ্গবাসীর পাশে অভিভাবকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন বাংলার ‘দিদি’।
কলকাতা ও রাজ্যর পুজো উদ্যোক্তারা এবার অনুদান পাবেন এক লাখ টাকার উপরে

সরকারের তরফে এবার শারদোৎসবের অনুদান পেরিয়ে গেল লাখ টাকা। বাংলা এবং বাঙালিকে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রী উপহার দিলেন। বৃহস্পতিবার পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই এই ঘোষণা করেন, কী সেই চমক? পুজো কমিটিগুলিকে এবার সরকারের তরফে দেওয়া হবে অনুদান বাবদ এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আগের বছরের তুলনায় ২৫ হাজার টাকা বৃদ্ধি করা হল। সেইসঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ ৮০ শতাংশ কমবে। ফায়ার লাইসেন্স ও যাবতীয় সরকারি ফি মকুব করা হয়েছে। সকলকে দুর্গাপুজোর আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি আরও ঘোষণা করেন, অক্টোবরের ২,৩, ৪ তারিখ বিসর্জন আর ৫ অক্টোবর হবে বিসর্জনের কার্নিভাল।
এবার পুজোর থিমের নামকরণ মুখ্যমন্ত্রীর

দুর্গাপূজায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে মায়ের চক্ষুদান আর নতুন কিছু নয়। প্রতিবছরই চেতলা অগ্রণী, সুরুচি সংঘের মত একাধিক পুজোয় চক্ষুদান করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, বাংলা তথা বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দেওয়ার স্বীকৃতি হিসেবে ইতিমধ্যেই ইউনেস্কোর তরফে শারদ উৎসব পেয়েছে বিশেষ স্বীকৃতি। তবে এই প্রথম কোনও পুজোর থিমের নামকরণ করলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। শতবর্ষের টালা প্রত্যয়ের থিমের নাম রাখলেন তিনি। সবুজের বাংলা। এবার শতবর্ষের পুজো উদযাপন করছে টালা প্রত্যয়। এই পুজো এই বছর সাজিয়ে তুলছেন প্রখ্যাত শিল্পী ভবতোষ সুতার। সেই পুজোর থিমের নামকরণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবারের থিম ‘বীজ অঙ্গন’। টালা প্রত্যয়ের তরফে শুভ বসুর বক্তব্য, “গতবছরই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চেয়েছিলেন শতবর্ষ নিয়ে ক্লাবের কী পরিকল্পনা। এরপর সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়। সেখানেই এবারের থিম নিয়ে আলোচনা হয়। থিমের মধ্যে দিয়ে সবুজ রক্ষার বার্তা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়। দীর্ঘক্ষণ মন দিয়ে সম্পূর্ণ থিমভাবনা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন, এই সৃজনের দারুণ একটা নাম হতে পারে। তা হল ‘বীজ অঙ্গন’।” আর নামকরণ যখন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করছেন, তাই এই সুযোগ লুফে নেয় ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পুজোর থিমের এই নামকরণ নিয়ে উচ্ছ্বসিত শিল্পী ভবতোষ সুতার। তার বক্তব্য, “দুর্গাপুজোর সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেককে উৎসাহ দিতে মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে এগিয়ে আসেন, পাশে দাঁড়ান, তা সত্যিই অত্যন্ত প্রশংসনীয়। পুজো শিল্পের প্রতি তাঁর এই ভালোবাসা আর আগ্রহ দেখে ভীষণই ভালো লাগে। নামটা আমারও পছন্দ হয়েছে।”
‘গেরুয়া সন্ত্রাসের ন্যারেটিভ মিথ্যে প্রমাণিত হল’—সাধ্বী প্রজ্ঞা

মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে বেকসুর খালাসের বিশেষ এনআইএ আদালতের রায় ঘোষণার পরই আদালতে আনন্দে প্রায় কেঁদেই ফেলেন প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা। বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের এনআইএ বিশেষ আদালতে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়ে যান মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত বলে চার্জসিটে নাম থাকা প্রাক্তন এই বিজেপি সাংসদ সহ আরো ৭ জন। আর এই রায় ঘোষণার পরই সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘বছরের পর ধরে আমায় হেনস্থা করা হয়েছে৷ সমানে লড়াই করে যেতে হয়েছে৷ নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও আমায় দোষী বলে চিহ্নিত করে দেওয়া হয়েছে৷ সেই বোঝা আমি বয়ে নিয়ে বেড়িয়েছি৷’’ বৃহস্পতিবার মুম্বাই এনআইএ স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি একে লাহোটি স্পষ্ট করে দেন যে প্রয়োজনীয় প্রমাণ না থাকায় প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ওরফে সাধ্বী প্রজ্ঞা, প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায় সহ ৭ জনকে এই মামলা থেকে বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল। বিচারক রায় ঘোষণা করার পরেই সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘আজ গেরুয়া পতাকার জয় হল, হিন্দুত্বের জয় হল৷ ‘গেরুয়া সন্ত্রাসে’র ন্যারেটিভ মিথ্যে প্রমাণিত হল৷’’ প্রসঙ্গত, মুম্বইয়ের এনআইএ-র বিশেষ আদালত ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডের ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস ঘোষণা করেছে৷ জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তদন্তকারীরা৷ সন্দেহের বশে কাওকে সাজা দেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেছে আদালত৷ এদিন এনআইএ কোর্টে বিচারকের সামনে দাঁড়িয়ে সাধ্বী প্রজ্ঞা বলেন, ‘‘আমি সেই প্রথম থেকেই বলছি, যাঁরা তদন্ত করার কথা বলেছে, তাদের যুক্তির পিছনে কোনও কারণ তো থাকবে? আমায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে ডেকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অত্যাচার করা হয়েছে৷ আমার সারা জীবন নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে৷’’ সাধ্বী প্রজ্ঞা আরও বলেন, ‘‘আমি সাধুর জীবন কাটাচ্ছিলাম, আমায় অপরাধী বানিয়ে দিল৷ কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি৷ আমি বেঁচে আছি কারণ আমি সন্ন্যাসী৷’’
তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের পর আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার এক তৃণমূলের নেতা

হরিহরপাড়া থানার সোলুয়া আকুন্দো বেড়িয়া এলাকায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার কয়েক দিন পর অবশেষে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হলো তৃণমূল নেতা কাইয়ুম আলী শেখকে। জানা গেছে, গত ২২ জুলাই কাইয়ুম শেখের বাড়িতে হঠাৎ বিকট শব্দে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের জেরে তার বাথরুম ঘরের একাংশ ভেঙে পড়ে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ওই তৃণমূল নেতা। পুলিশ তদন্তে নেমে খুঁজছিল তার হদিস। অবশেষে বুধবার বিকেলে হরিহরপাড়া থানার ডলটনপুর আইটিআই কলেজ সংলগ্ন এলাকায় সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় কাইয়ুম শেখকে। তার হাতে ছিল একটি লাইলনের ব্যাগ। তৎক্ষণাৎ পুলিশ তাকে আটক করে তল্লাশি চালায়। ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি। পুলিশ সূত্রে খবর, আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অভিযোগে কাইয়ুম আলী শেখকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তাকে বহরমপুর জেলা আদালতে পেশ করে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে।
আন্দোলনের রূপরেখা কী? তা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠক অভিষেকের

একদিকে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিউ বা এসআইআরের মাধ্যমে রাজ্যে যেন ন্যায্য ভোটারের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ না পড়ে এবং এর পাশাপাশি বাংলার বাইরে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতে বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য বাঙালিদের উপর যে নির্যাতনের অভিযোগ আসছে ২০২৬-কে পাখির চোখ করে এই দুই ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলনের রুপরেখা তৈরি করতে ফের তৃণমূল নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৮ আগস্ট, শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় এই বৈঠক করবেন তিনি। ইতিমধ্যে বুধবার দলের তরফে গোপন সার্কুলার দিয়ে দলীয় স্তরে এই বৈঠকের কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। দলের সমস্ত সাংসদ, বিধায়ক, মেয়র, ডেপুটি মেয়র, চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান, সকল জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, কলকাতা পুরসভার সমস্ত কাউন্সিলরও ওই বৈঠকে অংশ নেবেন। এর পাশাপাশি তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী ছাড়াও সমস্ত শাখা সংগঠনের প্রধান, রাজ্য তৃণমূল কমিটির সকল সদস্য, জেলা তৃণমূলের (মাদার) চেয়ারম্যান ও সভাপতি ছাড়াও সমস্ত ব্লক সভাপতিও অভিষেকের এই বৈঠকে থাকবেন। ছাত্র-যুব মহিলা- সহ সমস্ত শাখা সংগঠনের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যানকেও এই ভার্চুয়াল বৈঠকে ডাকা হয়েছে। প্রসঙ্গত, প্রায় দুমাস আগে একবার ভোটার তালিকা নিয়ে এভাবেই বৈঠক করেছিলেন অভিষেক। ফের আরও একবার আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে বৈঠকে বসছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রমাণের অভাব মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে বেকুসুর খালাস ৭ অভিযুক্ত

মুম্বাইয়ের বিতর্কিত মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন ৭ মূল অভিযুক্ত। যার মধ্যে অন্যতম প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা ঠাকুর। এই ঘটনার চার্জশিটে নাম থাকা ৭ অভিযুক্তকেই বেকসুর খালাস ঘোষণা করল মুম্বাইয়ের এনআইএ-র বিশেষ আদালত। প্রায় ১৭ বছর ধরে চলা মামলার রায় প্রদান করে বিচারপতি একে লাহোটি জানালেন, “কেবল সন্দেহের বশে মামলা এগোনো যায় না। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যুক্তিসঙ্গত প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার পক্ষ।” আর তাই কার্যত প্রমাণের অভাবেই মুম্বইয়ের এনআইএ বিশেষ আদালত ৭ অভিযুক্তকে রেহাই দিল। অভিযুক্তর তালিকায় প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর ছাড়াও সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, অবসরপ্রাপ্ত মেজর রমেশ উপাধ্যায়, সুধাকর চতুর্বেদী, অজয় রাহিরকর এবং সুধাকর ধর দ্বিবেদী। ২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মোটরবাইকে রাখা দুটি বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে মালেগাঁও। বিস্ফোরণে ৬ জনের মৃত্যু হয়, জখম হন ১০১ জন। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথমে স্থানীয় থানায় মামলা হয় পরে এই তদন্ত ভাগ নেয় আন্টি টেররিজম স্কোয়াড (এটিএস)। মোট ১৬ জনের নাম চার্জশিটে দেওয়া হয়। এই ঘটনার কারণে ২০০৮ সালের ২৩ শে অক্টোবর প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১১ সালে এই মামলা এটিএস এর হাত থেকে এনআইএর হাতে যায়। ২০১৮ সাল থেকে শুরু হয় সওয়াল জবাব। মোট ৩২৩ জন সাক্ষীর তালিকা তৈরি হলেও মোট ২৮২ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করে এন আই এ। মামলা চলাকালীন ২৬ জন সাক্ষী মারা যান, ৩৯ জন হাজিরা দেননি। তবে ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রী হিসেবে অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুরজামিন পাওয়ার পর মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে বিজেপির সাংসদ নির্বাচিত হন। ‘মালেগাঁও বিস্ফোরণে ৩ থেকে ৪টি সংস্থা কাজ করছে। সরকার পক্ষ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়েছে যে বিস্ফোরণটি বাইকেই হয়েছিল। তদন্তে অনেক ত্রুটি ছিল। ঘটনাস্থল থেকে আঙুলের ছাপ পাওয়া যায়নি। বাইকের চেসিস নম্বর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর বিশেষজ্ঞরা প্রমাণ সংগ্রহ করেননি। প্রমাণ নষ্টের ঘটনা ঘটেছে’, জানাল মুম্বইয়ের এনআইএর বিশেষ আদালত।
ব্যাঙ্গালোরে কাজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ফের অনুপ্রবেশ, গ্রেপ্তার ৬ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী

সীমান্ত এলাকার থানায় গ্রেফতার ছয় বাংলাদেশি, সঙ্গে গ্রেপ্তার এক ভারতীয় দালাল। ধৃত মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (২০), মোহাম্মদ জুয়েল রানা (২৪) বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাসিন্দা। কেতাবুল(২৬), কামাল উদ্দিন (২৮), কলিমুদ্দিন (২৫) বাংলাদেশের রাজশাহীর বাসিন্দা। মোহাম্মদ সেলিম (২৪) বাংলাদেশের নুসরাতপুর ফেনী জেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে দ্রুত আশরাইল শেখ মুর্শিদাবাদের রানীনগর থানার রাধাগোবিন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা। গতকাল রাতে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রানীনগর থানার অন্তর্গত কাতলামারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। ধৃতদের সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়ে লালবাগ আদালতে তোলা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ব্যাঙ্গালোরে কাজে যাওয়ার জন্যই বাংলাদেশ থেকে রানীনগর থানা সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রবেশ করেছে এই অনুপ্রবেশকারীরা।
মেয়ের প্রেমিকের বাড়িতে বন্দুক নিয়ে হানা, অবশেষে গ্রেপ্তার ‘ভিলেন’ বাবা

এ যেন হিন্দি সিনেমাকেও হার মানায়। প্রেম আসলে যুগ যুগ ধরে ঘাত-প্রতিঘাতের হাত ধরে পূর্ণতা পায়। কিন্তু সব প্রেম কি তাই? এই হাইটেক যুগেও প্রেম এখনও কারো কারো কাছে অপরাধ। ঠিক যেমন এন্টালির পটারি রোডের ভোলানাথ করের। আর তাই রিভলভার নিয়ে সোজাসুজি হাজির মেয়ের প্রেমিকের বাড়ি। কেন? কোন সাহসে মেয়ের সঙ্গে প্রেম? আর তাই মেয়ের প্রেমিককে খুন করতে প্রেমিকের বাড়িতে রিভলবার নিয়ে হাজির ‘ভিলেন’ বাবা। কিন্তু বিধি বাম। নিজের ছেলেকে বাঁচাতে মায়ের তীব্র চিৎকারে প্রায় একশো মিটার তাড়া করে গৃহবধূর ছেলের প্রেমিকার বাবাকে আগ্নেয়াস্ত্র ও বুলেট-সহ গ্রেপ্তার করলেন পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা থানার আধিকারিকরা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ভোলানাথ করের মেয়ের সঙ্গে কয়েক মাস আগে পরিচয় হয় ট্যাংরার শীল লেনের বাসিন্দা এক তরুণের। দু’জনের মধ্যে প্রেম জমে ওঠে। কিন্তু তা চাপা থাকেনি। মেয়ে প্রেম করছে, জানতে পেরেই প্রথমে বাবা চোটপাট করে মেয়ের উপর। বাড়িতে একপ্রস্থ কান্নাকাটির পর মেয়ের প্রেমিকের উপর যত রাগ গিয়ে পড়ে ‘ভিলেন বাবা’র। এলাকায় গুন্ডামির জন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘোরাঘুরির বদনাম ছিল ভোলানাথের। তাই মঙ্গলবার বেশি রাতে রিভলভারে বুলেট ভরে বাবা প্রতিশোধ তুলতে রওনা দেয় শীল লেনে। গভীর রাতে মেয়ের প্রেমিকের বাড়ির দরজায় ধাক্কা বাবার। পরিবারের লোকেরা দরজা খুলতেই ভিতরে ঢুকে পড়ে ওই ব্যক্তি। পকেট থেকে রিভলভার বের করে বাড়ির গৃহবধূকে বলে, কোন সাহসে তাঁর ছেলে তার মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছে? তাঁর ছেলেকে গুলি করে খুনের হুমকিও দেয় সে। তার সঙ্গে চলে গালিগালাজ। গোটা ঘটনায় হতভাগ ছেলে প্রথমে প্রতিবাদ করে ওঠেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু না হওয়ায় চিৎকার করতে শুরু করেন প্রেমিকের মা। আর সেই চিৎকারে কিছুটা ভয় পেয়ে মেয়ের প্রেমিকের বাড়ি থেকে অস্ত্র নিয়ে বেরিয়ে যায় ওই ব্যক্তিটি। চিৎকার করতে করতেই ভোলানাথকে তাড়া করেন ওই গৃহবধূ। কাছেই গাড়ি নিয়ে টহল দিচ্ছিলেন ট্যাংরা থানার আধিকারিকরা। মহিলাকে ওই ব্যক্তির পিছনে দৌড়তে দেখে পুলিশ তাকে তাড়া করে। অন্তত ১০০ মিটার তাড়া করে ভোলানাথকে পুলিশ ধরে ফেলে। তাকে জেরা করে কোথা থেকে সে অস্ত্র পেল, তা জানার চেষ্টা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।